img

বাগবাজারের পটলার ডালপুরি

বাগবাজার স্ট্রীটে পটলার ডালপুরি।যাকে বলে কিনা অমের্ত্য।এই পটলার ডালপুরি খেয়েই দেবকিশোর রেলগাড়িতে করে কু ঝিক ঝিক তালে সোজা চলে যায় দমদমার অর্ণবপোতের আশে পাশে।রেল গাড়ির হুইসেল তখন বাজতেই থাকে

একটা ভাল দিন, অন্তহীন

অন্তহীন সময়ের এক পরিক্রমা। সময় যখন থমকে দাঁড়াতে চায়,  মানুষ তখন মুক্ত করতে প্রয়াসী হয় সময়ের অবরুদ্ধ গতি। এই গতির মধ্যেই খুঁজে পেতে হয় জীবন -যা মৃত্যুর থেকেও বড় -  

img
img

পরিকাঠামো

কাঠামোটি তৈরি করতে বিবিধ জ্যামিতিক কোণ ঢুকে পড়ে মাথায় ঠিক কতটা কীভাবে আঁটোসাঁটো বাঁধলে হয়ে দাঁড়াবে পোক্ত, দৃঢ় বারবার খুলে ফেলে আবারও জুড়ে রাখি দিনভর সরু গুনা বাঁশ আর লোহার সংমিশ্রণ.‌.‌.‌

শূন্যের জাতক

শূন্যের ভেতর দাঁড়িয়ে শূন্যকে দৃশ্যমান করে তোলা  এখানে নিন্দিত। যেন বেড়ালের পায়ের ভেতর এই জন্ম পেয়েছি কোনো শব্দ না করেই চলে যাব। অথচ এই তীব্র  শীত  প্রকাশের মতো নির্জনতা নেই কোথাও। 

img
img

সিরিজ: পিকাসো

ঘুম একটি পতঙ্গ, যার ডানা আছে অথচ দেহ নেই। 

ডেলিভারিকাহন

ডেলিভারি-- এই শব্দটার বাংলা যে সরবরাহ, সেটা আমরা বাঙালিরা প্রায় ভুলতেই বসেছি।ইংরেজি উচ্চারণেই আমাদের তৃপ্তি।আর সেই তৃপ্তির ভিতরেই লুকিয়ে থাকে কিছু মানুষের গুমরে ওঠা কান্না

img
img

প্র্যাকটিস

বাজারের থলেটার দিকে হাত বাড়াতে গিয়েও একবার যেন পিছিয়ে এলো গদা। যাব বাজারে? মা তো বলেনি কিছু বাজারের কথা। কালকের যা আছে তা দিয়ে চলে যাবে না আজকের দিনটা?- একটু যেন বেমানান আলসেমিতেই ভাবে গদা। আসলে কাল নাইট শিফ্টে কাজের পরই লক আউট নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে মিল মালিক।

ভ্রমণের সাতসতেরো

পাঠকচিত্তকে বইয়ের অক্ষরে মানসভ্রমণের স্বাদ পাইয়ে দেওয়া, ভ্রমণ কথাকারের সবথেকে বড় সাফল্য। এই সাফল্য অর্জনের মুন্সিয়ানা যাঁর ঝুলিতে আছে,  তিনিই সফল ভ্রমণ কথাকার

img
img

মাগরিবের ছায়া

উনিশ শতকের বেরাদর কালো পাথরের মতো চেপে বসে আছে ভাটপাড়ার বুকে। আশেপাশের শহরগুলোতে বাইরের বাতাস ঢুকলেও এখানকার বামুনঠাকুরেরা বামনাইয়ের শুদ্ধাচার বজায় রাখতে বাইরের হাওয়া এতোটুকু ঢুকতে দেয়নি। তেমন দমবন্ধ করা পরিবেশে গরিব-বড়লোক, হিন্দু-মুসলমান সবাইকে বুকে ধারণ করে এই শহরটা গোটা বিশ শতকটাও কাটিয়ে দিল। এখন এই একুশ শতকের প্রায় মধ্যযামে বিশ শতকের প্রান্তিক কালের তারামন বিবি ভাটপাড়ার কুমোরপাড়া ছেড়ে চলে এসেছে সদরের উপকন্ঠে।