কাঠামোটি তৈরি করতে বিবিধ
জ্যামিতিক কোণ ঢুকে পড়ে মাথায়
ঠিক কতটা কীভাবে আঁটোসাঁটো বাঁধলে
হয়ে দাঁড়াবে পোক্ত, দৃঢ়
বারবার খুলে ফেলে আবারও জুড়ে
রাখি দিনভর সরু গুনা বাঁশ
আর লোহার সংমিশ্রণ...
কামারশালার গনগনে আঁচে
হাঁপর টানার শব্দ একনাগাড়ে
আগুন বাড়ে, বাড়তেই থাকে...
ঘোড়ার নাল তৈরি করে মহাজন
ক্ষুর ক্ষয়ে গেলেও ছুটতে হবে
একই ছাঁচ একই ঢালাই
হিসেবের কড়া নজর
আমি শুকনো বিচালিগুলো জড়ো করে
কাঠামোতে তুলি এরপর মাটি ছেনে
মূর্তি গড়া বাঁশের খাঁচা আর মাটির
তালমিল করানো এখন মোক্ষম কাজ
একে অপরকে ধরে থাকবে
পাল্লায় সমকক্ষ
টিকে থাকার অস্তিত্ব, মর্যাদায়...
একটি মানব প্রজন্মের ইতিহাস যেমন
বহন করে হাড় মাংস অস্থি চামড়া
পূর্ণতার বহি:প্রকাশে
কাঠামোর নিঁখুত কারিগরিতে
জোট বাঁধতে লাগে
একটি শুক্লাদ্বিতীয়ার চাঁদ
একটি হলকর্ষণের ফলা
একটি রথযাত্রার সাক্ষী রথ
মূর্তিটি বিবেচ্য নয়, হয়ত বা
বিবেচনায় শুধু বহুকৌণিক শক্ত কাঠামো
যা একান্তে বহন করে ভার
মহাযুদ্ধের ঘোড়া হয়ে...
উচ্চৈঃশ্রবাঃ