img

যে প্রতিমার ভাসান নাই

যে প্রতিমার ভাসান নাই- প্রতিমা বড়ুয়া সম্পর্কে এখন এই বাক্যটা যেন একটা প্রবাদবাক্যে পরিণত হয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির এক আত্মনিবেদিত প্রাণ। 'আপোষ' গোয়ালপাড়ার গানের ক্ষেত্রে এই শব্দটি যাঁর অভিধানে ছিল না

সকলেই কবি নয়…

জীবনানন্দ —একটা নাম। একটা অনুভূতি বললেও মনে হয় না তাঁর সম্পর্কে ভুল কিছু মূল্যায়ণ করা হবে। কবিতার অনুভূতিতে যেন গড়া এক কবি মানস। সেই কবি সত্ত্বায় আছে এক চরম বিশুদ্ধতা। আছে এক নিবিড় অনুভূতি-

img
img

ভগিনী নিবেদিতা ও বিপ্লবী আন্দোলনের প্রথম যুগ

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নানা ধারার মধ্যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী ধারা ছিল একটা আন্দোলনের একটা বিশেষ প্রবাহ। ব্রিটিশের বুকে হৃৎকম্পন তুলতে ভগিনী নিবেদিতাও রেখেছিলেন বিশেষ অবদান। জ্বলন্ত অগ্নি, স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ প্রচারে নিবেদিতার সংযোজন ঐতিহাসিক

'তোমায় নতুন করে পাব বলে'

রবীন্দ্রভাবনার এক ব্যতিক্রমী বিশ্লেষণ। প্রথাগত রবীন্দ্র আলোচনার বাইরে, রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির ভিতর দিয়ে তাঁর প্রতিবাদী সত্ত্বার অন্বেষণ। এই খোঁজ রবীন্দ্রনাথকে নতুন করে চেনায় আমাদের

img
img

নিরাময়

সাগরের কাছে এলে, পাহাড়ের কাছে এলে যন্ত্রণা ছোট হয়ে আসে; থেমে যায় বেগবান কথার সেতু।

চলতে চলতে ভিয়েতনাম

ভিয়েতনাম। বাঙালির মনে শিহরণ জাগানো এক নাম। একটা সময়ে এখানকার অলিগলি মুখরিত হতো, ‘তোমার নাম, আমার নাম – ভিয়েতনাম - ভিয়েতনাম’ শ্লোগানে। সেই দেশের অন্দরের সুলুক সন্ধান

img
img

মাগরিবের ছায়া

তারামনের ছেলে হাফিজুল এখন ফাস্ট ইয়ারের ছাত্র। অনেক ঝড়ের পর, ঝড় থামা দমকা আবহাওয়ার ভিতর দিয়েই ঋষি বঙ্কিম কলেজে ছেলে ভর্তি করাতে পেরেছে তারা। ভোলা মিঞার বেওড়া থেকে ষড়ানন তর্করত্নের এক ছেলে চিরঞ্জীবের ছোট ছেলে বিশ্বজীবনের বাড়িতে বাসনমাজার বৌ ভারতী হতে অনেক অনেক পথ পেরোতে হয়েছে তারামনকে।

অমিয়ভূষণ: ধ্রুপদীয়া আর স্ববিরোধের সমন্বয়

সকল দ্বন্দ্ব আর বিরোধের মাঝে যে ভালো,  সেই ভালোই তো সম্পর্কের খতিয়ান। সে পথরেখা ধরেই তো চলবে ভবিষৎ পদশব্দের কম্পন। সাহিত্যে সেই কম্পনের কারিগর যাঁরা তাঁদের পথসন্ধানে অনিঃশেষ যাত্রা

img
img

জাতি- রাষ্ট্র ঘিরে কিছু ভাবনা

ঊনিশ শতকের রেনার জাতি ঘিরে আবেগঘন সজ্ঞায়ন। সেই সজ্ঞা কি আমাদের চিন্তার আরোহিনীকে আন্দোলিত করেছিল? জাতি গঠনে রোমান্টিক অভিযাত্রা কি দূর থেকে পিয়াসী হয়েছিল সুদূরের?প্রশ্ন আর উত্তরের অনুসন্ধানের প্রয়াস

বাংলার সঙ্গীতগুণীদের ‘আপন কথা’

নন্দনতত্ত্বের একটি মত বলে, স্রষ্টা আর রসের উপভোক্তা যদি এক হয়ে যান, তাহলে শিল্পের অপমৃত্যু ঘটে। সৃষ্টি করেই শিল্পীর কাজ শেষ, নিজের নান্দনিক ভাবনা বা জীবনবোধের ব্যাখ্যা শ্রোতা-দর্শক-পাঠকের কাছে খুলে বলার দায় তাঁর থাকে না। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল নয়, আবার এই মত যদি পুরোপুরি মেনে নিতে হয়, তাহলে আত্মকথা বা আত্মজীবনীকে সাহিত্যের পদবাচ্য বলে ধরাই চলে না। কোলরিজের ‘বায়োগ্রাফিয়া লিটারেরিয়া’, তলস্তয়-এর আত্মজীবনী থেকে রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’— এ জাতীয় সব কিছুকেই বাদ দিতে হয় মানুষজাতির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের মহাফেজখানা থেকে। ব্যক্তি-‘আমি’ বা ‘Individual self’ -এর ধারণা  পাশ্চাত্যের উনিশ শতকীয় রোমান্টিক ভাব-আন্দোলনের ফসল, আবার এই ‘আমি’ যে সমাজ-বহির্ভূত কোনও সত্ত্বা নয়, সে কথা বলে যাবার দায় অস্বীকার করতে পারেননি উত্তরসূরি শিল্পী-সাহিত্যিকরা। ব্যক্তি-সাহিত্যিক বা ব্যক্তি-শিল্পীর সঙ্গে সমাজের এই যোগসূত্রটুকু তুলে ধরার প্রয়োজনেই আত্মজীবনী-মূলক সাহিত্যের শৈল্পিক, বৌদ্ধিক এবং সামাজিক গুরুত্ববুঝে নিতে হয় আমাদের।  

img