নিজস্ব সংবাদদাতা | ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৫ : ০৫

আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি হল সঠিক পরিচর্যা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বকের চাহিদা পরিবর্তিত হয়। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন প্রসাধনীর প্রয়োজন হয়। সর্বোপরি ত্বকের যত্ন একটি বিশেষ নিয়ম মেনে করা উচিত বলে মনে করেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনি ত্বকের যত্ন কীভাবে করেন, সেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দূষণ এবং ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এছাড়াও , বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক প্রাকৃতিক উপায়ে কম তেল তৈরি করে। তখন ত্বকের টেক্সচার এবং টোন বদলে যেতে থাকে। এই সময় কী করবেন?
২০ বছর বয়সে-
এই সময়কালে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং সানস্ক্রিনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই সময় কোলাজেন উৎপাদন যথাযথ থাকে। তাই নূন্যতম পরিচর্যাতেই ভাল থাকবে ত্বক। সেক্ষেত্রে ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার, আর সানস্ক্রিনই যথেষ্ট। খুব বেশি হলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যুক্ত সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
৩০ বছর বয়সে -
থেরাপিস্টের মতে, অ্যান্টিএজিং ট্রিটমেন্ট এই বয়স থেকেই শুরু করা উচিত। কারণ এই বয়সে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হতে শুরু করে। কোলাজেন কমতে থাকে। আই-ইরিটেশন, ফ্লাশিং, অ্যাকনে হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। এই বয়সেও ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার, সিরাম  আর সানস্ক্রিনের ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে। সপ্তাহে ১-২ দিন স্কিন এক্সফোলিয়েট করতে হবে। বিশেষ কোনও সমস্যা থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিন। 
৪০ পেরোলে -
এই সময়ে বলিরেখা গাঢ় হতে থাকে। তাই প্রয়োজন অতিরিক্ত যত্নের। ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার, সিরাম  আর সানস্ক্রিন তো থাকবেই। সঙ্গে চাই পিগমেন্টেশন ও হাইড্রেশনের যত্ন। এক্সফোলিয়েট করুন। বিশেষ আই ক্রিম ও পেপটাইড সেরাম ব্যবহার করুন।
৫০-এর পরে 
হরমোনের পরিবর্তনগুলি এই বয়সে আপনার ত্বকের সমস্যাকে জোরালো করতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনার মেনোপজ হয়ে গিয়ে থাকে। আপনার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাবে। তাই হাইড্রেশনের উপর নজর দিন। ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার, সেরাম আর সানস্ক্রিনের পাশাপাশি ব্যবহার করুন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পেপটাইড সিরাম, আইক্রিম, অয়েল। প্রয়োজনে নিন স্যালোঁ ট্রিটমেন্ট।