নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: Syamasri Saha ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০ : ০৬Rahul Majumder

আজকাল ওয়েব ডেস্ক: লন্ডন থেকে গ্রিসগামী বিমানে মদ্যপ অবস্থায় এক ব্যক্তির চূড়ান্ত অসভ্যতামোর জেরে মাঝপথেই বিমান নামাতে বাধ্য হলেন পাইলট!  জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে এই জরুরি অবতরণের ঘটনাটি ঘটেছে।  জানা গিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে এক ব্যক্তি চূড়ান্ত মদ্যপ অবস্থায় উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ করেই ঝামেলা শুরু করেন। ককপিটের সামনে গিয়ে বিমানচালকের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। শত চেষ্টা করেও তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বিমানসেবিকার দল।

এরপর ওই মদ্যপ ব্যক্তির অসভ্যতামো উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে আরও। বিমানের বাকি যাত্রীদের কথা অনুযায়ী, বিমান টেক অফ করার পর থেকেই উৎপাত শুরু করেছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রথমে শুরু হয় চিৎকার, তারপর গালাগালি। এরপর পাইলটের কেবিনের সামনে গিয়ে তাঁর উদ্দেশে একচোট গালমন্দ করেন ব্যক্তি। ককপিট ভিতর থেকে 'লকড' থাকায় তা খুলতে ব্যর্থ হন তিনি। তারপর হঠাৎ করেই বিমানের 'ইমার্জেন্সি এক্সিট'এর দরজা ধরে টানাটানি শুরু করেন! সব দেখেটেখে ততক্ষণে আতঙ্কে সিঁটিয়ে বিমানের বেশ কিছু যাত্রী। সঙ্গে নাগাড়ে তো ছিলই অশ্রাব্য ভাষায় চিৎকার করে গালাগাল। এরপর বাকি যাত্রীদের মধ্যেও দ্রুত সঞ্চার হয় ভয় ও আতঙ্ক। পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিতে আর দেরি করেননি পাইলট। কাছাকাছি থাকা জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন বিমানের।

বিমানবন্দর থেকে খবর যায় জার্মান পুলিশের কাছে। দ্রুত হাজির হয়ে যান তাঁরা। অন্যদিকে, বিমানের মধ্যে হয়ে যাওয়া এই কাণ্ডটি ততক্ষণে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে বিমানের অন্দরে থাকা বিভিন্ন ক্যামেরায়। গোটা বিষয়টি জার্মান পুলিশের দল দেখে নিয়েই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। মডিপিটিকে পুলিশের খপ্পরে পড়তে দেখেই আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠেন বিমানের বাকি যাত্রীরা। কে যেন সিটি বাজাতে থাকে।

এরপর ওই বিমান সংস্থার তরফে গোটা বিষয়টি একটি বিবৃতির মাধ্যমে পেশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে জানানো হয় ঠিক কোন কারণে তাঁদের সংস্থার বিমানটি জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছিল। গোটা ঘটনায় কোনও কোনও নেটিজেন ওই বিমান সংস্থার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও দশ দিয়েছেন। কেন সামান্য মদ্যপ থাকা ওই ব্যক্তিকে ওই বিমানে উঠতে দেওয়া হল, উঠেছে প্রশ্ন।