পুজো মানেই নিজেকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা। রোজের রুটিন থেকে বেরিয়ে একটু অন্যভাবে সময় কাটানো। পুজোর পাঁচদিনের ফ্যাশন, ডায়েট ভুলে জমিয়ে ভূরিভোজের গল্পে আজকাল ফ্যাশন ফ্লোরে শ্রীতমা ভট্টাচার্য, খেয়ালি মণ্ডল, হিয়া মুখোপাধ্যায়, দীপান্বিতা রক্ষিত।

 স্নিগ্ধা দে

শ্রীতমার পুজো-প্ল্যান

ছোটবেলার পুজোর সঙ্গে এখনকার পুজোর কোনও মিল পাই না। আগে শুধু ক’টা জামা হল, কোনদিন কোন জামাটা পরব, তা নিয়েই চিন্তা হত। এখন অনেক বেশি জটিলতা এসে গিয়েছে।

ফ্যাশন ওয়ার্ডরোব

শাড়ি খুব পছন্দের। তাই পুজোর পাঁচদিন শাড়ি পরব। সকাল থেকে বিকেল পুজোয় বরাবরই শাড়ি আমার ফার্স্ট চয়েজ। সেই সঙ্গে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া থাকবে লুকে।

ডায়েট

আমি ডায়েটে বিশ্বাসী নই। শুধু পরিমাণে কম খাই। পুজোর সময় নবমী পর্যন্ত আমার নিরামিষ থাকে। তারপর দশমীতে জমিয়ে বাড়ির খাবার দিয়েই ভূরিভোজ সারি।

খেয়ালির পুজো ফান্ডা

পুজো মানেই আমার কাছে বাঙালিয়ানাকে আরও একবার কাছ থেকে দেখা। আর পাঁচটা বাঙালি মেয়ের মতোই পুজোর পাঁচদিনের অপেক্ষায় থাকি। ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে পুজোর দিনগুলো কাটত। এখন পাড়ার প্যান্ডেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মাস্ট।

ফ্যাশন ওয়ার্ডরোব

ওয়েস্টার্ন পছন্দ করি। ইন্দো–ওয়েস্টার্ন ট্রাই করতেও পছন্দ করি। এই বছর ফ্যাশন লিস্টের প্রথমেই রয়েছে বাঙালি পোশাক। তাই ঠিক করেছি গড়িয়াহাট থেকে কয়েকটা কুর্তি কিনব। পুজোর সকালে পরব।

ডায়েট

এই দিনগুলোয় কোনও ডায়েট ফলো করিনা। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া করি। সকাল থেকে সন্ধে চোখের সামনে যা দেখি মনকে বাধা না দিয়ে আগে খেয়ে নিই।

হিয়ার পুজোর পাঁচদিন

পুজো মানেই আমার কাছে প্যান্ডেল হপিং। ছোটবেলায় বাড়িতে বিজয়া করতে অনেকে আসতেন। কিন্তু এখন আর তা হয় না। আনন্দটা আগে সবার সঙ্গে ভাগ করা যেত। এখন নিজেরটা নিয়েই ভাবে সবাই। 

ফ্যাশন ওয়ার্ডরোব

অন্যান্য পোশাকের থেকে আমার আলমারিতে প্রচুর শাড়ি রয়েছে। খুব ভালবাসি শাড়ি পরতে। পুজোর পাঁচদিনই সাবেকি পোশাক। অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি থেকে দশমীর ভাসান, শাড়ি মাস্ট।

ডায়েট

তেমনভাবে ডায়েট কোনওদিন মেনে চলি না। সবকিছু খাই তবে পরিমাণে অল্প। পুজোয় সারা কলকাতায় ঘুরে বেড়াই। স্ট্রিট ফুড খেতে খুব ভালবাসি। আর ক্যান্ডিফ্লস তো খেতেই হবে। সেই সঙ্গে রোজ মিষ্টি।

বাড়ির পুজোয় দীপান্বিতা 

এই বছর প্রথমবার বাড়িতে দুর্গাপুজো করছি। তাই এই বছর পুজোর খুশিটা অনেক বেশি। কোনওদিন ভিড় পছন্দ করি না বলে প্যান্ডেল হপিংটা হয় না। কিন্তু পাড়ার পুজোর আড্ডা মিস করিনা। 

ফ্যাশন ওয়ার্ডরোব

ঠিক করেছি এথনিক আর ইন্দো–ওয়েস্টার্ন মিশিয়ে সাজব। বেশিরভাগ সময় শাড়িটাই বেছে নেব। সাবেকি সাজে অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। 

ডায়েট

পুজোয় ডায়েট মানলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। মেনু ঠিক করা আছে। ষষ্ঠীর সকালে মুড়ি–ঘুগনি বা তেলে ভাজা। সপ্তমীতে লুচি, অষ্টমীতে নিরামিষ, নবমীতে মাটন। দশমীতে ভোগের খিচুড়ি। এছাড়াও টুকটাক স্ট্রিট ফুড আর ফুচকা।