img

গুজব

' গুজব ' শব্দটার সঙ্গে বাঙালির একটা মিতালি আছে।এই কয়েকমাস হলো, এক সন্ধ্যায়, একটা রাজনৈতিক দলের সদর কার্যালয়ে বসে আছি।হঠাৎ দেখি হন্তদন্ত হয়ে এক যুবক এসে খবর দিলেন, অমর্ত্য সেন মারা গেছেন। যুবকটি যে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে বসে ছিলাম, সেই দলের সমাজমাধ্যমে কর্মরত ।ফলে তার কথাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।দলটির অফিসেও একটা বিমর্ষতার চাদর ছড়িয়ে পড়ল। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ রায়ের পরে এপার বাংলার বাঙালিকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় অমর্ত্য সেনের মত আর কেউ ই পরিচিতি এনে দিতে পারে নি।ওপার বাংলার নিরিখে বলতে গেলে , অবশ্য ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম করতে হয়।

অসীম সাহা: বাঙালিয়ানাকে আন্তর্জাতিকতায় স্থাপন করা কবি

আজ বিকেলে(১৮ ই জুন, '২৪) শামসুরদার ,' স্মৃতির শহর' এর টিকা লিখছিলাম। ' শব্রি আম' শব্দটার সঙ্গে এপারের পাঠক পরিচিত নয়।আবার যাঁরা নিজেদের ' বাঙাল' বলতে গর্ববোধ করেন, তাঁদের আজকের প্রজন্ম, ঢাকার এই কথ্য শব্দটার সঙ্গে পরিচিত নন। শব্দটা প্রথম আমি শুনেছিলাম, মুন্সিগঞ্জের এক বাউলের মুখে।

img
img

শ্যামরায়মঙ্গল- প্রতাপাদিত্যের গুপ্তধন

দশম অধ্যায় রবিবার লাঞ্চের নিমন্ত্রণে রবিবার লাঞ্চের নিমন্ত্রণে দুপুর বারোটার অনেক আগেই সজল আর চৈতালি চলেএল মনোময়ের ফ্ল্যাটে। খাওয়ার দেরি আছে। তাই চা নিয়ে আড্ডায় বসে গেল সকলে। সুজাতা রান্নাঘরে টুকটাক দেখভাল করতে করতে আলোচনায় যোগ দিচ্ছিল মাঝেমধ্যে এসে। স্বাতীর জন্য খেলনা নিয়ে এসেছে চৈতালি। সে সেটি নিয়ে খেলায় মত্ত। চায়ে চুমুক দিয়ে মনোময় বলল, ‘বলো, এই দুদিন কে কী তথ্য যোগাড় করে উঠলে ?’

মুক্তির দিশারী সুফিয়া কামাল 

বাঙালির  সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাসে সুফিয়া কামাল এক ঐতিহাসিক নাম। জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বাংলাদেশে কাটালেও, দেশ -ধর্ম নির্বিশেষে বাঙালি জীবনে  নতুন আলোর প্রত্যাশার সঙ্গে সুফিয়া কামালের নাম অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। কেবলমাত্র মুসলমান নারীর জাগরণের ক্ষেত্রেই সুফিয়া কামালকে আমরা স্মরণ করব না। হিন্দু -মুসলমান নির্বিশেষে নারীর স্বাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সুফিয়া কামাল যে অবদান রেখে গেছেন।  তা বাংলা তথা বাঙালির সামাজিক পরিকাঠামোর বিন্যাসকেই অনেকখানি বদলে দিয়েছে।

img
img

মহাজীবন উদ্যান

পাতা সরানোর খসখস শব্দ। শুকনো পাতার ওপর দিয়ে মচমচ করে হাঁটলে যদি পাতাদের ব্যথা হয় তখন যেমন আওয়াজ বেরোয় ঠিক তেমন যন্ত্রণার আখ্যান শুনতে পাচ্ছে শৌনক। গত কয়েকদিন ধরে ‘মহাজীবন উদ্যান’-এর এই অংশটায় এসে বসে শৌনক। সকালে আসছে ও। এই সময় পার্কটায় কেউ থাকে না। পরিত্যক্ত জীবনের মত পড়ে থাকে পার্কটা। ওই ছেলেটা এই সময়ে এসে শুকনো পাতা, ঘাস সব পরিষ্কার করে।

বদলে যাচ্ছি

প্রতিদিন আমি যেন  কেমন বদলে যাচ্ছি  শিশু থেকে কিশোর  কিশোর থেকে যুবক  যুবক থেকে বৃদ্ধ...  প্রতিদিন একটু একটু করে কেমন বদলে যাচ্ছি।

img
img

সুবোধ ঘোষের দৃষ্টিতে ‘অমৃত পথযাত্রী’মহাত্মা গান্ধী

“প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছে, ম্লান রক্তালোক গঙ্গার ওপারে পশ্চিমাকাশে। বোধি বৃক্ষের চারা বড় হয়েছে। প্রবেশ পথের দু’পাশে কলাবতী ফুল ফুটেছে...হলুদের ওপর রক্তছিটা, তা ছাড়া টকটকে লাল ফুল। উৎকীর্ণ চিত্রাঙ্কনগুলি সুনীল পালের আঁকা, বাংলার ‘মঠ’ পদ্ধতিতে স্মৃতিস্তম্ভ রচিত হয়েছে, কংক্রীটের ব্যবহার। নিকটে আর একটি দেউল। সানাই বাজছে বিয়ে বাড়িতে। ওপারের অন্ধকারে তারার মত আলো।

প্রিয়দর্শী চক্রবর্তীর তিনটি কবিতা

ভাবনার কেঁচো মেখে বঁড়শিতে শব্দ গাঁথার মোহ অপেক্ষা অনন্ত পুকুরপারে...।

img