নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯ : ২১

দিন দুই আগেও একতা ভট্টাচার্য মেঘলা ছিল। মনখারাপের মেঘ আচ্ছন্ন করে রেখেছিল তাঁকে। সামাজিক পাতায় সেই ভার লাঘব করতে একটি ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন। তাঁর ‘বাবি’কে নিজে হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন। বিবরণীতে লিখেছিলেন, ‘এবার তুমি বাড়ি ফিরে এস বাবি।’ সন্তানের সেই আকুলতা বুঝি ঈশ্বরকে ছুঁয়ে গিয়েছিল। ঠিক দু’দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন প্রভাত রায়। একতা ক্রিয়েটিভ টেলস-এর কর্ণধার আজকাল ডট ইনকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার প্রবীণ পরিচালক বাড়ি ফিরেছেন। এবার তিনি স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পারছেন। টানা দু’সপ্তাহ তাঁর ‘বাবি’ বাড়ির বাইরে ছিলেন। রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারেননি তিনি।

একতার কথায়, ‘‘বাবি আগের তুলনায় অনেক ভাল আছেন। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনও বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। ওঁর কিডনির সমস্যা বহু বছরের। তাই পরিমিত জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। একই সঙ্গে নিয়মিত কিছু ওষুধ নিতে হবে।’’ তারকা পরিচালকের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে একতা প্রভাতবাবুর অনুরাগীদের উদ্দেশ্যেও একটি পোস্ট দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘টানা দু’সপ্তাহ লড়াইয়ের পরে প্রভাত রায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কঠিন পরিস্থিতিতে যাঁরা আমাদের পাশে ছিলেন তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই হাসপাতালের প্রত্যেক চিকিৎসককে। যাঁরা আমার ‘বাবি’কে সুস্থ করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা ডাঃ সুরেশ চোরারিয়া (ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট), ডাঃ জয়ন্ত বসু (নেফ্রোলজিস্ট), ডাঃ সুস্মিতা দেবনাথ, (ক্রিটিকাল কেয়ার), ডাঃ প্রসূন মিত্র (জেনারেল মেডিসিন), ডাঃ সপ্তর্ষি বসু এবং অবশ্যই ডাঃ রূপালি বসু, হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও।’

এও শোনা গিয়েছে, লিফট ছাড়া প্রভাত রায়ের ওঠানামা অসুবিধে। তাই তাঁর জন্য একতা একতলায় অবস্থিত ফ্ল্যাট খুঁজছেন। যেখানে লিফটের বন্দোবস্ত থাকবে। এই খোঁজ তিনি সামাজিক পাতাতেও জানিয়েছেন। 

২১ ফেব্রুয়ারি আজকাল ডট ইন প্রথম জানিয়েছিল, অসুস্থ প্রভাত রায়। ছ’দিন তিনি ভর্তি ছিলেন বাঙ্গুর হাসপাতালে। একতার বিবরণ অনুযায়ী, ছ’দিন আগে ঠাণ্ডা লেগে জ্বর আসে। সঙ্গে শ্বাসকষ্টও ছিল। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় সরকারি হাসপাতালে। এদিকে, প্রভাত রায়ের কিডনির সমস্যাও রয়েছে। যার থেকে আচমকা রক্তে ক্রিয়েটিনিন লেবেল বেড়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এরপরেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে মধ্য কলকাতার প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার তাঁর প্রথম ডায়ালিসিস হয়েছে। পরিচালকের শারীরিক পরিস্থিতি জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল একতার সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম ডায়ালিসিসের পরে ভাল আছেন তাঁর ‘বাবি’।

যদিও প্রভাতবাবু প্রথমে ডায়ালিসিস নিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি চিকিৎসকদের এও বলেছেন, ‘‘ডায়ালিসিস নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু মেয়ের মুখ চেয়ে রাজি হয়েছি। এখনও কাজ বাকি। ওর পাশে আমায় আরও কিছুদিন থাকতে হবে।’’ প্রভাত রায়ের মনের জোর দেখে আশ্বস্ত হয়েছিলেন একতা এবং চিকিৎসকেরাও। তাঁরা সেই সময় জানিয়েছিলেন, কয়েকটি ডায়ালিসিস নিলেই প্রবীণ পরিচালক আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন।