নিজস্ব সংবাদদাতা | ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৭ : ৪২

শুট করতে করতে পারমিতা মুন্সী অসুস্থ। সে খবর সামাজিক পাতায় নিজেই জানিয়েছিলেন হেমা মালিনীর পরিচালক। কারণ জানতে সামাজিক পাতাতেই প্রশ্ন রেখেছিলেন কবীর সুমন। সবিস্তার জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। অসুস্থতার কারণে পরিচালক কথা বলতে পারেননি। বদলে কথা বলেন তাঁর স্বামী সুদীপ ভট্টাচার্য। যিনি ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় শিল্প নির্দেশক। তিনিই প্রথম আভাস দিয়েছিলেন, আভ্যন্তরীণ গোলযোগে প্যানিক অ্যাটাক হয় পারমিতার। মঙ্গলবার পরিচালক প্রকাশ্যে আনেন সে কথা। গিল্ডের কোপে আটকে গিয়েছে তাঁর শেষ দু’দিনের শুটিং। তাঁর অভিযোগ সরাসরি ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের দিকে। পারমিতা লিখেছেন, ‘২৩ শে ফেব্রুয়ারি একটা চান্স ফ্যাক্টরকে কাজে লাগিয়ে, সাউথ সিটি আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তিনটে ফোন কাট শুট করি। ওখানে উপস্থিত সব টেকনিশিয়ান গিল্ড মেম্বার ছিল। প্রডাকশন ম্যানেজার সব জানা সত্ত্বেও, আমার শুটিং স্পটে লোকজন এসে ঝামেলা করে। পরদিন আমার শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা যায় ‘ঊর্ধতন অধিনায়ক’- এর নির্দেশ ছাড়া কিছু সম্ভব নয়।’ 

এরপরেই ২৩ তারিখ রাতে পরিচালক বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন ‘ঊর্ধ্বতন অধিনায়ক’ তথা ফেডারেশেন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি সাড়া দেননি। ফলাফল, পরিচালকের প্যানিক অ্যাটাক। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। ফেডারেশন সভাপতি সাড়া না দেওয়ায় ২৫ ফেব্রুয়ারির প্রিন্সেপ ঘাটের শুটও বন্ধ থাকে। পারমিতার আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও কাজ বন্ধ রাখার পক্ষপাতী নন। সেই জায়গা থেকে ফেডারেশন সভাপতির আচরণকে তিনি ‘অ্যান্টি টেকনিশিয়ান অবস্থান’ বলে চিহ্নিত করেন। দু-চারজন টেকনিশিয়ান না থাকায় পরের দু"দিনের শুটিং বন্ধ করে তিনি যে ৬০ জন টেকনিশিয়ানের দু"দিনের আয়ের পথ বন্ধ করে দিলেন সেই দিকেও আঙুল তোলেন। 

কী বলছেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ? আজকাল ডট ইনকে তাঁর সাফ জবাব, ‘‘কেউ অন্যায় করবেন। তারপর সেটা প্রকাশ্যে এলে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হবেন। হাসপাতালে ভর্তি হবেন। তার দায় ফেডারেশন কেন নেবেন?’’ স্বরূপের আরও বক্তব্য, পরিচালক ‘গুপি শুট’ বা গোপনে শুটিং করেছেন। মোবাইল নয় এম৩৭ ক্যামেরা নিয়ে। আগের দিন তিনি প্রোডাকশন ম্যানেজারকে জানিয়েছিলেন, শুটিং নেই। পরে তিনি নিজে কিছু টেকনিশিয়ানকে ডেকে নেন। তাঁরা গিল্ডের। প্রশ্ন তুলেছেন, একজন পরিচালক প্রোডাকশন ম্যানেজারের কাজ কেন করবেন? তার উপরে পরিচালক ডিরেক্টর গিল্ডের সদস্য নন। পাশাপাশি, গত বৈঠকে ফেডারেশনের অন্তর্গত ২৮টি গিল্ড একযোগে জানিয়েছে, কোনও ধরনের অনৈতিক কাজ হলে তার যথাযথ শাস্তি হবে। 



একথা পরিচালকও তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘কানাঘুষোয় শুনছি, ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার শুটিংয়ে উপস্থিত টেকনিশিয়ানদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাদের "সাসপেন্ড" করে দেওয়া হবে বলে। আমার একটি টেকনিশিয়ানও যদি কোনরূপ হেনস্থার কবলে পড়ে, আমি তার পাশে থাকব।’ সত্যিই কি এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে? প্রশ্নের জবাবে স্বরূপ বলেন, ‘‘আজ আমাদের বড় বৈঠক বসছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে। পরে সংবাদমাধ্যমকে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেব আমরা।’’