নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২ : ২১

জীবনের প্রথম যা কিছু তাই তো পয়লা! বৈশাখের পয়লা দিনে তারই স্মৃতিচারণে জয় সরকার....

স্বরলিপি লিখছি। হঠাৎ ফোন আজকাল ডট ইন থেকে থেকে। জীবনের যা কিছু পয়লা তাই নিয়ে বলতে হবে। ‘কী বলি’ ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল প্রথম স্বরলিপি লেখার দিন। মা-বাবা, অন্যান্য পরিজনেরা ঠিক করেছেন, সবাই মিলে গোপালপুর বেড়াতে যাবেন। আঠারো-উনিশের আমি বেশ খুশি খুশি। সমুদ্র বেশ লাগে। নির্দিষ্ট দিনের আগের দিন সব হিসেব বদলে গেল। স্বরলিপি লেখার বরাত পেলাম। সেদিন ওই স্বরলিপি লেখার জন্য বেড়াতে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম! 

এই সূত্রে বলা যেতে পারে প্রথম গানের কথা। আমার প্রথম সুর দেওয়া গান, ‘ছেলেবেলার বৃষ্টি’। গেয়েছিলেন লোপামুদ্রা মিত্র। এই প্রথম গান আমার জীবনে প্রথম অনেক কিছু নিয়ে এসেছিল। সাল ১৯৯৮-এ এইচএমভির মতো বড় সংস্থায় প্রথম আমার গান রেকর্ড হয়েছিল। তখন লোপার সঙ্গে প্রেম চলছিল। সেটাও প্রথম! তবে তার আগে কাউকে যে ভাল লাগেনি এমন নয়। কিন্তু প্রস্তাব দেওয়ার সাহস হত না। মেয়েদের মুখোমুখি হলেই হাঁটু কাঁপত। আমার প্রথম প্রপোজটাও তাই ভয়ানক! লোপা বুঝতে পেরে রেকর্ডিংয়ের পরের দিন আমায় ডেকেছিল। জানতে চেয়েছিল, ‘‘তুমি কি আমায় কিছু বলবে?’’ মানে, লোপা আমায় দিয়ে বলিয়ে নিয়েছিল। এই আমার প্রথম প্রেমপ্রস্তাব!




তেমনি মনে আছে, এক বান্ধবীর সঙ্গে প্রথম চূড়ান্ত রসিকতা। যা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছিল। খুব ছোটবেলার বন্ধুত্ব। ওকে খ্যাপাতাম, তোকেই বিয়ে করব। বুঝিইনি, ও সেটা বিশ্বাস করে ফেলেছে! শেষে বন্ধুরা একদিন ডেকে জানাল, বিষয়টা সত্যি না হলে এই ধরনের রসিকতা যেন আর না করি! সে দিন থেকে সামলে চলি। 

জীবনে একটু আধটু নেশা থাকবে না, হয়! তারও হাতেখড়ি হয়। এবার সেই গল্প। আমি নেশা শুরু বিড়ি দিয়ে। তাও এক তুতো দাদার পাল্লায় পড়ে। মাধ্যমিক দিয়েছি। দাদা তার বাড়িতে নিয়ে গেল। ছাদে উঠে বিড়ি ধরিয়ে টান মারতে বলল। উৎসাহে, উত্তেজনায়, উদ্দীপনায় কী অবস্থা! মাথা ঘুরে, কেশে একাকার। ওই শুরু। কলেজবেলাতেও সিগারেট নয়, বিড়িই ফুঁকতাম। এখনও পাহাড়ে গেলে সেখানকার লোকেদের থেকে চেয়ে বিড়ি খাই! ওদের বিড়ি আমাদের থেকে একেবারে অন্যরকম।