নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ০০ : ৫৭

দীপঙ্কর কালজয়ী অভিনেতা। বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের শিল্পী। সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহের ছবিতে যেমন অভিনয় করেছেন তেমনি তাঁকে দেখা গিয়েছে অঞ্জন চৌধুরী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতেও। ২০২৩-এ অভিজিৎ শ্রী দাসের ‘বিজয়ার পরে’ তাঁর শেষ বড় পর্দার কাজ। ২০২৪-এ তিনি আবার নতুন করে জেগে উঠলেন। উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার গরমের ছুটির ছবি ‘দাবাড়ু’ গ্র্যান্ডমাস্টার সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের এক টুকরো জীবন। পরিচালনায় পথিকৃৎ বসু। ছবিতে গ্র্যান্ডমাস্টারের ‘দাদু’ এই প্রবীণ তারকা। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে টিজার। সেখানেই তাঁর বলা সংলাপ "বড় প্লেয়ারের আসল পরীক্ষা জিতে আসায় নয়, ফিরে আসায় হয়!" ২৪ ঘণ্টায় লোকের মুখে মুখে ফিরছে! নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছোঁয়ায় ফের ভাইরাল তিনি! প্রযোজনা সংস্থা থেকে এই খবর প্রথম আজকাল ডট ইনকে জানানো হয়েছে।



এই সংলাপের পিছনেও গল্প রয়েছে। চিত্রনাট্যকার অর্পণ গুপ্ত আজকাল ডট ইনকে বলেছেন, ‘‘আমি ফুটবলের পোকা। লিওনেল মেসির অনুরাগী। একবার খেলায় আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ার পর সবাই হতাশ। মেসির পারফ্রমেন্স ভাল নয়। তখনই তিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার নিজের জায়গায় ফিরে এসেছিলেন। সেদিনই বুঝেছি, বড় প্লেয়ারের আসল পরীক্ষা জিতে আসায় নয়, ফিরে আসায় হয়! যা দীপঙ্কর স্যর বলেছেন।’’ কৌশিকের বিশ্বাস প্রবীণ অভিনেতাও নিশ্চয়ই এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী। তাই তিনিও অন্তর থেকে সংলাপ বলেছিলেন। যার জেরে টিজারেই সংলাপ হিট।




গত বছরে পুজোমুক্তি থ্রিলারের পর এ বছর এই প্রথম জীবনীমূলক স্পোর্টস ড্রামা উপহার দিতে চলেছেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ। ছবিতে সূর্যশেখরের ছেলেবেলা ফুটিয়ে তুলেছেন সমদর্শী সরকার। ‘বড় সূর্যশেখর’ অর্ঘ বসু রায়। তাঁর মায়ের ভূমিকায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দুই প্রশিক্ষক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, কৌশিক সেন। দাদু দীপঙ্কর দে। এছাড়াও রয়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ বসু প্রমুখ। সূর্যশেখরের জীবনের পাশাপাশি তাঁর মায়ের লড়াই উঠে আসবে ছবিতে।



এই প্রথম উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার হয়ে ছবি বানাচ্ছেন পথিকৃৎ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই ছবি নিয়ে চর্চা, আগ্রহ, তুঙ্গে। টিজার বেরোতে না বেরোতেই সংলাপ হিট। কী বলছেন পরিচালক? পথিকৃতের কথায়, ‘‘তখন আমাদের চিত্রনাট্যর ঘষামাজা চলছে। অনেক কিছু বদল ঘটেছে। কেবল এই সংলাপ বদলায়নি। জীবন থেকে উঠে আসা এই সংলাপ ছবির মোড় ঘুরিয়ে দেবে। দৃশ্যটাও তাই অতি গুরুত্বপূর্ণ। ছোট্ট একটা ঘরে শুট হয়েছিল। মনে আছে, সংলাপ বলার পরে দীপঙ্কর স্যরও বলেছিলেন, ‘এই সংলাপটা বলে খুব তৃপ্তি পেলাম। একদম জীবনের কথা। দেখো, এই সংলাপ সবার মুখে মুখে ফিরবে।’’