নিজস্ব সংবাদদাতা | ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৫ : ২১

লোকের মুখে জয় লোকের মুখেই ক্ষয়— প্রাচীন প্রবাদের সত্যতা আরও একবার প্রমাণিত।

নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘রক্তবীজ’ মাত্র ১৪ দিনে দর্শকদের মুখে মুখে বাংলা থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে আজকাল ডট ইনকে জানানো হয়েছে, এই ক’দিনে মোট আয় ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ। ২.২৬ লক্ষ দর্শক ইতিমধ্যেই ছবিটি দেখে ফেলেছেন। তারপরেও প্রেক্ষাগৃহে হাউজফুল বোর্ড ঝুলছে। একেক জন একাধিকবার করে দেখছেন। অথাৎ, বাংলা ছবিও এখন হাসতে হাসতে কোটির ঘরে পা রাখছে। সৌজন্যে পুজোমুক্তি।

এই ফলাফলই কি আশা করেছিলেন পরিচালকজুটি? জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল অন্যতম পরিচালক নন্দিতা রায়ের সঙ্গে। তাঁর সাফ জবাব, ‘‘প্রথম পুজোমুক্তি। প্রথম থ্রিলার ছবি। তাছাড়া, পুজোর চারটে ছবিই ভীষণ ভাল। ফলে, সত্যিই এতটা আশা করিনি। দর্শকদের এত ভাল লেগেছে জেনে আমরাও তৃপ্ত।’’ পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, ভাল ফল করবে এই বিশ্বাস পরিচালক-প্রযোজকজুটির ছিল। কারণ, কাজ শেষে করে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, পরিশ্রম বৃথা যাবে না।

এই ছবির অনেক আকর্ষণ। এক, পুজোর আবহে ছবির গল্প। তার উপরে ঘরোয়া থ্রিলার। যা খুব কমই দেখা যায়। দুই, আবীর চট্টোপাধ্যায়-মিমি চক্রবর্তী জুটি। টাটকা অথচ আকর্ষণীয়। তিন, টানটান চিত্রনাট্য, সংলাপ। যার জোরে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত ‘কী হয় কী হয়’ উত্তেজনা ছিল। চার এবং সবচেয়ে জোরালো কারণ, বহু বছর পরে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ছবির দুনিয়ায়। নন্দিতার দাবি, ‘‘ওঁর মতো তারকাকে আবার দেখার আগ্রহেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে এসেছেন।’’ বিশেষ করে তিনি রাষ্ট্রপতির ভূমিকায়। এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। খাগড়াগড় কাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানার আগ্রহও ছিল দর্শকদের। সব মিলিয়ে এই ফলাফল।

ছবির শেষ দৃশ্যে নতুন ‘রক্তবীজ’ অঙ্কুশ হাজরা। আগামী পুজোয় ‘রক্তবীজ’-এর সিক্যুয়েল আসছে?

প্রশ্ন রাখতেই হেসে ফেলেছেন নন্দিতা। বলেছেন, ‘‘সমস্ত দর্শকদের মুখেই এই কথা, আমরা সিক্যুয়েল দেখতে চাই। ওঁদের আবদার আমাদেরও ভাবাচ্ছে। তবে কবে আসবে বা আদৌ আসবে কিনা, এক্ষুণি সেটা বলতে পারছি না।’’