বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

বিনোদন | EXCLUSIVE: আমার তাড়া নেই, সময় নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করে ভাল ছবি করতে চাই: চঞ্চল

উপালি মুখোপাধ্যায় | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৮ : ২৩


২০০৭-২০০৮ ধরে শুটিং। ২০০৯-এর ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি গিয়াসুদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’র। সেই সময় মাত্র তিনটি প্রেক্ষাগৃহ পেয়েছিল ছবিটি। বাকিটা ইতিহাস। সেই ছবির ১৫ বছর পূর্তি। আজকাল ডট ইনের টেলিফোনিক আড্ডায় নতুন করে স্মৃতিপথে হাঁটলেন ছবির নায়ক চঞ্চল ‘সোনাই’ চৌধুরী...

প্রশ্ন: ‘মনপুরা’য় অভিনয় না করলে বড়পর্দা এত বড় করে চঞ্চল চৌধুরীকে হয়তো পেত না। পিছনে ফিরে দেখার অনুভূতি ভাগ করবেন?  
চঞ্চল: সে সবই সুখস্মৃতি। ২০০৭-০৮ জুড়ে ছবির শুটিং। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুট হয়েছিল। মনে আছে, বগুরার যমুনার চরে বজরায় অনেক দিন ছিলাম। একই ভাবে ঢাকা, কুমিল্লা-সহ গোটা ওপার বাংলা জুড়ে শুটিং করেছিলাম। ২০০৯-এর আজকের দিনে মুক্তি পেল ‘মনপুরা’। মুক্তির ছমাস আগে থেকেই ছবির গান তুমুল হিট। দর্শক-শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরছে। অর্ণব সুর করেছিলেন। ওঁর সুর মানেই গানে মাটির গন্ধ। যদিও ‘মনপুরা’ প্রথমে মাত্র তিনটি প্রেক্ষাগৃহ পেয়েছিল। সেই সময় বড়পর্দার তারকা অভিনেতারা না থাকলে বেশি প্রেক্ষাগৃহ পেত না। এই ছবি অবশ্য সেই রীতিতেও বদল ঘটিয়েছে। ছবিটি একবছর সারা বাংলাদেশের সমস্ত অঞ্চলে মুক্তি পেয়েছিল। রমরমিয়ে চলেছিল।

প্রশ্ন: আজ তা হলে উদযাপনের না আরও বেশি করে কাজের?
চঞ্চল: আজ শুট নেই। কোনও উদযাপনও নেই। কেবল স্মৃতিরোমন্থনের দিন। সেই অনুভূতি থেকেই ‘মনপুরা’ নিয়ে ছোট্ট পোস্ট দিলাম সামাজিক পাতায়। ছবির কথা অনুরাগীদের মনে করিয়ে দেওয়া। তাঁদের সঙ্গে কিছু কথা ভাগ করে নেওয়া। ব্যস, এটুকুই। স্মরণ করাই প্রকৃত উদযাপন। 

প্রশ্ন: প্রথম ছবিতেই এত সাফল্য...
চঞ্চল: একটু সংশোধন করে দিই। ‘মনপুরা’ আমার দ্বিতীয় ছবি। ২০০৬-এ মুক্তি পেয়েছিল প্রথম ছবি ‘রূপকথার গল্প’। পরিচালনায় তৌকির আহমেদ। তারও আগে ১৯৯৬ থেকে মঞ্চে-ছোটপর্দায় অভিনয়। ‘মনপুরা’ দর্শকদের কাছে আমায় বড় করে পৌঁছে দিয়েছিল। (অল্প হেসে) আসলে যে কাজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেই কাজ সবাই মনে রাখেন বেশি। মনে করেন, ওটাই হয়তো প্রথম কাজ।

প্রশ্ন: কিসের জোরে ছবিটি ব্লকবাস্টার, আপনার জাতীয় পুরস্কার লাভ? কেন সবাই সোনাইয়ের দুঃখে কেঁদেছিলেন?
চঞ্চল: (হেসে ফেলে) এটা দর্শক বা সিনে সমালোচকেরা ভাল বলতে পারবেন। যাঁরা ওই ছবিটি দেখেছেন। আমার কাজ দেখেছেন। আমি অভিনেতা। আমার কাজ অভিনয় করে যাওয়া। এই বিচার আমি কখনও করি না। তবে হ্যাঁ, এটা শুনেছি, দর্শকেরা নাকি পর্দার ‘সোনাই’-এর জন্য চোখের জল ফেলেছিলেন। ‘সোনাই’-এর যন্ত্রণা তাঁদের ছুঁয়ে গিয়েছিল। হয়তো ছবিটি বিয়োগান্তক বলেই। আজকের পোস্টেও সবাই সে কথার উল্লেখ করেছেন।

প্রশ্ন: আপনি মিলনে বিশ্বাসী না বিয়োগে?
চঞ্চল: (জোরে হাসি) আমার ভাবনা দিয়ে কী হবে? পেশাজীবনে কোনও ব্যক্তিগত ভাবনাকে আমল দিই না। চিত্রনাট্য অনুযায়ী ছবি মিলনান্তক-বিয়োগান্তক যা-ই আমি অভিনয় করব। সব ধরনের ভাল ছবিতেই আমার আগ্রহ। তবে বিভিন্ন স্বাদের চরিত্র চাই। যাতে দর্শক প্রত্যেক চরিত্রকে আলাদা করতে পারেন।

প্রশ্ন: শুটিংয়ে মনে রাখার মতো কোনও ঘটনা?
চঞ্চল: অসংখ্য ঘটনা। সব তো বলা যায় না। একটা বিপদের ঘটনা বলি। ২০০৮ সালের কথা। যমুনার চরে আমরা ছবির গান ‘সোনার ময়না পাখি’ শুট করতে গিয়েছি। বৈশাখ মাস। হঠাৎ বালিঝড়। আমাদের ট্রলারে সব সময় বড় ত্রিপল থাকত। সেই ত্রিপলের নীচে সবাই গোল হয়ে আশ্রয় নিলাম। মানে, একজন করে ভিতরে ঢুকছেন। আর নিজের দিকটা চেপে ধরছেন। সবাই ভিতরে ঢুকে যেতেই ত্রিপল ফুলে বেলুনের আকার নিল। আমরা তো ভয়ে কাঁপছি, এই বুঝি কোটি টাকার ক্যামেরা-সহ শুটের সব জিনিস তছনছ হয়ে গেল। একটা সময় ঝড় থামল, বৃষ্টি নামল। দেখতে দেখতে বালি শুষে নিল বৃষ্টির বড় ফোঁটা। প্রকৃতি শান্ত হতেই আমরা কাজ শুরু করলাম। ওই এক-দেড় ঘণ্টা হঠাৎ পাওয়া ছুটির মতোই ছিল। খুব আড্ডা দিয়েছিলাম সবাই মিলে।




প্রশ্ন: ছবিটি দু’বছর ধরে তৈরি হয়েছে। এখন এত বেশি সময় নেওয়া হয় না। ভাল ছবি বানাতে গেলে কি এতটা সময়েরই প্রয়োজন?  
চঞ্চল: (একটু থেমে) আপনি কলকাতার প্রেক্ষিতে কথাটা বললেন। এপার বাংলায় এখন পরিচালক বা প্রযোজক এক বছরে তিন-চারটে করে ছবি করেন। অভিনেতারাও একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন। বাংলাদেশের ছবিটা অন্য। এখনও আমাদের দেশে ভাল ছবি সময় নিয়ে, যত্ন করে বানানো হয়। যেমন, ‘মনপুরা’। আমরা বছরে একটা ছবি দূরঅস্ত, দুই বা তিন বছরে একটা ছবি বানাই। বাংলাদেশের পরিচালক-অভিনেতাদের এত তাড়া নেই। বিশেষ করে যাঁরা একটু ভাল ছবি করতে চান। "মনপুরা" ২০০৭-এ কিছুটা শুট হয়েছে। আবার ২০০৮-এ। তারপর সব গুছিয়ে ২০০৯-এ মুক্তি। আমার অন্যান্য ছবিও তাই। "হাওয়া"র শুট হয়েছিল ২০১৯-এ। মুক্তি পেয়েছিল ২০২২-এ। চার বছর লেগে গিয়েছিল। যদিও করোনাও দেরির একটি কারণ ছিল। 

প্রশ্ন: ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়া পরিচালনা, ছবির বিষয় এবং অভিনয়ের দিক থেকে কতটা এগোল?
চঞ্চল: কিছু প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে সত্যিই নেই। থাকলেও উত্তর দিতে চাই না। আমার মতে, এগুলো দর্শক বা সমালোচকেরা বেশি ভাল বলতে পারবেন। কারণ, ওঁরা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত রয়েছেন। একজন অভিনেতার কাজ অভিনয় করা। অভিনয়ের মাধ্যমে চরিত্রকে জীবন্ত করা। বাকি বিভাগগুলো নিয়ে বক্তব্য রাখা বা বিচার করা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তবে একটা কথা বলতে পারি, ১৫ বছরে ছায়াছবি অবশ্যই এগিয়েছে। ভাল ভাল ছবি হচ্ছে। সেই ছবি কলকাতা-সহ বিশ্বের সর্বত্র সমস্ত বাঙালির আদর কুড়োচ্ছে। তার মানে একটা ভাল জায়গা তো তৈরি হয়েইছে। তবে সেটা শুধুই আমার কাজ নয়। অন্যান্য পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতাদের ছবিও রয়েছে। 

প্রশ্ন: ১৫ বছরে কখনও আত্মবিশ্লেষণ করেছেন? কী দেখলেন? আগামী নিয়েই বা কী ভাবছেন?
চঞ্চল: (আবার হাসি) আমার বিশ্লেষণই বা আমি করব কেন? এটাও আমার দর্শক-অনুরাগী, সমালোচকদের দায়িত্ব। তাঁরা আমার বিচার করবেন। আসলে কী জানেন, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর আমাদের দেওয়ার নয়। তাও আমরা দিয়ে ফেলি। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা দায়িত্ব। যেমন, পরিচাকদের দায়িত্ব ভাল ছবি তৈরি করা। অভিনেতাদের দায়িত্ব ভাল অভিনয় করা। দর্শক, সমালোচকেরা ভাল ছবি বেছে নিয়ে দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। আর আমার আগামীজুড়ে শুধুই অভিনয়। এমন ছবি, চরিত্র বাছব যা করে আমি তৃপ্তি পাব। এবং এমন কাজ করব যা দর্শকদের তৃপ্তি দেবে।

প্রশ্ন: ১৫ বছর এমন কোনও স্বপ্ন রোজ দেখেছেন যা আজও পূরণ হয়নি? 
চঞ্চল: (হাসতে হাসতে) আমি কোনও স্বপ্নটপ্ন দেখি না। আমার কোনও কল্পনাও নেই। আমার যেটা ভাল লাগে সেই চরিত্র বা ছবি আমি করি। 

প্রশ্ন: পরিচালনায় আসবেন?
চঞ্চল: আপাতত ভাবনাতেই নেই। অভিনয়টাই ‘পাখির চোখ’। ভবিষ্যতে কখনও ইচ্ছে হলে তখন ভেবে দেখব।

প্রশ্ন: আর এপার বাংলার ছবি করবেন না?
চঞ্চল: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’-এ অভিনয় করলাম। ওই ছবির কাজও সময় নিয়ে হয়েছে। ছবিটা মুক্তি পাক। তারপর আবার। ওই যে বললাম, আমার তাড়া নেই। কাজের জন্য কাজ করতে হবে এমন ভাবনাও নেই। ঠিকঠাক কাজ করছি কিনা, দর্শকের চাহিদা পূরণ করতে পারছি কিনা— সেটা সবার আগে বিবেচ্য। এবার আজকাল ডট ইনের মাধ্যমে আমার একটা অনুরোধ রাখব?




প্রশ্ন: অবশ্যই....
চঞ্চল: আমার ‘আয়নাবাজি’ মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি ২০১৬-য় প্রথমে বাংলাদেশে মুক্তি পায়। তারপর দুই বাংলার জন্য হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। ছবিটি সবাইকে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। ছবিটি থ্রিলার। আমার অন্যতম প্রিয় ছবি। আমাকে ছ’টি ভিন্ন ধরনের চরিত্রে দেখা যাবে। 





বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর

গোয়াতে গ্রেফতার জানি মাস্টার, তামান্নার 'আজ কি রাত'র নৃত্য পরিচালকের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?...

দিনদুপুরে সেলিম খানকে প্রাণনাশের হুমকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের! ঘোমটার আড়ালে 'স্ত্রী'-এর চরিত্রে ছিলেন কোন অভিনেত্রী...

সমাজমাধ্যমে এ কী 'নোংরা' ভুল করলেন অমিতাভ বচ্চন! জানতে পেরেই প্রায় হাতজোড় করে ক্ষমাপ্রার্থনা ...

জলের তলায় ডুব থেকে নৌকাভ্রমণ, কলকাতার কোলাহল থেকে দূরে ছেলের সঙ্গে অলস দুপুরে হইচই প্রিয়াঙ্কার...

১২ বছর পর ফের জুটিতে সইফ-করিনা! ফ্যামিলি ড্রামা না থ্রিলার? কোন গল্প ফুটিয়ে তুলবেন?...

হৃদয়ের ক্যালেন্ডারে 'শ্রাবণ' চিরস্থায়ী, তাই আশ্বিনে আসছে 'দেখেছি তোমাকে শ্রাবণে'...

'দুই শালিক'-এ নয়া অবতারে ফিরলেন সায়ন, বড় চমক নিয়ে হাজির 'যমুনা ঢাকি' খ্যাত চাঁদনি ...

আম্বানিদের বিয়েতে যাওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন বলিউড তারকারা? বিস্ফোরক দাবি অনন্যা পাণ্ডের...

কোনও সন্তানের মা কেন হননি শাবানা আজমি? নেপথ্যের আসল কারণ প্রথমবার ফাঁস বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর...

'সিংহম এগেইন' পিছোনোর কাতর অনুরোধ কার্তিকের, মন কি গললো অজয় দেবগণ-রোহিত শেঠির?...

বিচ্ছেদের বছর ঘুরতেই বড় ঘোষণা সোশ্যাল মিডিয়ায়! কোন ভালবাসায় বাঁধা পড়লেন পরীমণি?...

অভিনয় জীবনে ২৫ বছর পার করতেই বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে করিনা! কী হতে চলেছে অভিনেত্রীর সঙ্গে?...

পতৌদি প্যালেসের সব হিসাব দেখেন শর্মিলা ঠাকুর! খরচ বাঁচাতে কী কাণ্ড করেছেন সইফ? মুখ খুললেন সোহা...

পতৌদি প্যালেসের সব হিসাব দেখেন শর্মিলা ঠাকুর! খরচ বাঁচাতে কী কাণ্ড করেছেন সইফ? মুখ খুললেন সোহা...

বলিউডের প্রায় সব ছবি কেন ব্যর্থ হচ্ছে? চমকে ওঠার মতো কারণ খুঁজে বের করলেন সঞ্জয় গুপ্তা! ...



সোশ্যাল মিডিয়া



02 24