Reporter: শ্যামশ্রী সাহা | লেখক: উপালি মুখোপাধ্যায় | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০ : ১০

জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইউটিউব চ্যানেলে নতুন গায়িকা রণিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে তাঁর গান "বাওরা মন"। সুরকার জিৎ। রাতারাতি সেই গান ভাইরাল। কেন? দর্শক-শ্রোতা স্বাভাবিক ভাবেই পুরো কৃতিত্ব সুরকারকে দিচ্ছেন। তাঁর দূরদৃষ্টির প্রশংসা করছেন। জিৎ কিন্তু আজকাল ডট ইনকে অন্য কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রণিতার গলার স্বর অন্য অনেকের থেকে আলাদা। আর ভীষণ দরদ ঢেলে গাইতে পারে। প্রত্যেক কথার মানে বুঝে। যা চট করে সবার মধ্যে দেখা যায় না। তাই ওর গান সবার এত পছন্দ।’’

জিৎ এই প্রথম রণিতার জন্য গান বাঁধলেন তা কিন্তু নয়। এর আগেও জি মিউজিকের গানের রিয়্যালিটি শো-এর জন্য তিনি ‘নয়না’ গান তৈরি করে দিয়েছিলেন। গীতিকার জিৎ-ঘরনি চন্দ্রাণী। সেই গানটিও ভাল সাড়া ফেলেছিল। রিয়্যালিটি শো-এর পরেও রণিতাকে মনে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন জিৎ। ওঁর কণ্ঠস্বরের জন্য। নতুন প্রতিভাকে তুলে ধরতেই এবার নিজের চ্যানেলের জন্য গাওয়ালেন তাঁকে। এবং তিনি যে ভুল করেননি সেটা গানের জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে দিয়েছে।

এবার রণিতার কথা। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থিনী সাঙ্গীতিক পরিবারে বড় হয়েছেন। রণিতার বাবা খুব ভাল গান জানেন। ফলে, ছোট থেকেই গায়িকার অনুভূতিজুড়ে সুরের বসতি। পাশাপাশি, গলা ধরে রাখার জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম। জিতের দাবি, ‘‘রণিতা প্রমাণ করে দিয়েছে, ও গানের দুনিয়ায় থাকতে এসেছে। যেটা রিয়্যালিটি শো-এর অনেক প্রতিযোগীই ভুলে যান। তাঁরা তাঁদের প্রমোট করা দেখেন। ঝাঁ চকচকে মঞ্চ দেখেন। মঞ্চজুড়ে চোখ ধাঁধানো আলোর খেলা দেখেন। যা ওঁদের তুলে ধরার জন্য সাজানো। কিন্তু আলোর পিছনে যে অন্ধকার থাকে সেটাই তাঁরা ভুলে যান। এটা সবার আগে মনে রাখতে হয়। রণিতা সেটা মনে রেখেছে।’’ ইদানীং গানের দুনিয়ায় অজস্র প্রতিভা। শিল্পী তৈরির কারিগরেরা কী করে বোঝেন, কে লম্বা রেসের ঘোড়া? আজকাল ডট ইনের প্রশ্নে সন্তুষ্ট জিতের মতে, রিয়্যালিটি শো থেকে বেরিয়েই প্রতিযোগীরা একের পর এক অনুষ্ঠান করতে শুরু করে দেন। রেওয়াজ শিকেয় তুলে। যার ফলে, খুব তাড়াতাড়ি গলা নষ্ট হয়ে যায়। একটা সময়ের পরে তাঁরা হারিয়ে যান। তাই তাঁর পরামর্শ, রোজ সকালে নির্দিষ্ট সময় ধরে রেওয়াজ করতে হবে। গুরুর দেখানো পথে হাঁটতে হবে। তবেই প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টিকে থাকা সম্ভব।



রণিতাকে নিয়ে সন্তুষ্ট গীতিকার চন্দ্রাণীও। সন্তুষ্ট ওঁর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, অধ্যবসায় দেখে। তৃপ্ত ওঁর এত অল্পবয়সে গানের কথা বুঝে গাওয়ার প্রবণতা দেখে। তাঁরও মত, এখন শুধুই ছবির নেপথ্য গায়িকা হয়ে কাটিয়ে দেওয়ার দিন শেষ। নানা মাধ্যমে নানা ধরনের গান গাওয়ার সুযোগ আছে। যেমন, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইউটিউব চ্যানেল। যেখানে নতুন প্রতিভারা নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পান। রণিতা আগামীতেও তাঁর গুণ ধরে রাখতে পারলে তাঁকে পিছন ফিরে দেখতে হবে না।