Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৩ : ১০Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সংবাদ সংস্থা মুম্বই: গত ২৩ জুন দীর্ঘ বছরের প্রেমিক জাহির ইকবালের সঙ্গে চারহাত এক করেছেন বলি-অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। অভিনেত্রীর বান্দ্রার বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে বসেছিল বিয়ের আসর। ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আত্মীয় পরিজনদের মধ্যেই আইনি ভাবে বিয়ে সারেন জাহির-সোনাক্ষী।সইসাবুদের পর অর্ধাঙ্গিনীর হাতে চুম্বন এঁকে দিয়েছিলেন জাহির। সোনাক্ষীও জাহিরকে আলিঙ্গন করে ভাসলেন আবেগে। জানা গিয়েছিল, জাহিরের বাড়ি থেকেই পাঠানো হয়েছিল সোনাক্ষীর বিয়ের সাজপোশাক।

নবদম্পতির ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছিলেনন অন্যান্য বলিউড তারকারা। বিয়ের দিনেই মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল রেঁস্তরায় আয়োজন করা হয়েছিল সোনাক্ষী-জাহিরের রিসেপশনের অনুষ্ঠান। কেন জুনের ২৩ তারিখটিকে বিয়ের দিন হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা, এতদিনে তার হদিস দিলেন নবদম্পতি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, জাহির বললেন, “সোনাক্ষীর সঙ্গে আমার প্রথম মোলাকাত সলমন খানের এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। মজার কথা, ২০১৩ সাল থেকে সলমন ভাইয়ের প্রায় সব জন্মদিন ও তাঁর বাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা দু'জন্যেই হাজির থাকলেও প্রথমবার আমাদের পরিচয় হয় ২০১৭ সালে। সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে। সেই প্রথম পরস্পরের সঙ্গে টুকটাক কথা বলা আমাদের। এরপর আরও একদিন আমাদের দেখা হয় সলমনের বাড়িতেই। সেই দিন প্রথম ভাল করে কথা হয় আমাদের। শুরু হয় আড্ডা। পরে তা এতটাই জমে যায় যে ঘন্টা পাঁচেক আড্ডা মেরেছিলাম। এতটাই ডুবে গিয়েছিলাম পরস্পরের সানিধ্যে যে খেয়াল ছিল না অনুষ্ঠান শেষে বাকিরা সবাই চলে গিয়েছে। সেই তারিখটা ছিল ২৩ জুন। তাই আমাদের বিয়ের তারিখ হিসাবে ওই তারিখটিকেই বেছে নিয়েছিলাম আমরা”।

প্রসংত, বেশ সাদামাঠাভাবে বিয়ে সেরেছিলেন বলিপাড়ার এই দুই ব্যক্তিত্ব।  ডেস্টিনেশন ওয়েডিং বা অন্য কোন রীতিও সেই ভাবেও পালন করতে দেখা যায়নি তাঁদের। কেন? সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন ‘দবাং’ অভিনেত্রী। পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, তাঁর বরাবরই ইচ্ছে ছিল বিয়ের দিনটা খুব সাধারণভাবে কাটাতে চেয়েছিলাম। জাঁকজমক থেকে দূরে। পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও পরিজনদের সাক্ষী রেখেই সব সময় বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তাঁরা, একথাও জোর গলায় জানালেন সোনাক্ষী ও জাহির।

বক্তব্যের একেবারে শেষে সোনাক্ষী যোগ করেন, “বিয়েতে নিজের সাজ নিজেই ঠিক করেছিলাম। রূপটান থেকে কেশসজ্জা সব নিজের হাতেই সেরেছিলাম। শুধু চেয়েছিলাম পুরো বিষয়টা যেন ছিমছাম থাকে, একটা ঘরোয়া গন্ধ জড়িয়ে থাকে। সবাই যেন স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। অতিরিক্ত ঝক্কি যেন আমাকে পোহাতে না হয়। আর অনুষ্ঠানে সবাই যেন জমিয়ে খানাপিনা করে আনন্দ করতে পারেন, এইটুকুই। এর বাইরে কোনওরকম চাপ নিতে চাইনি!”