Reporter: শ্যামশ্রী সাহা , অঙ্গনা ঘোষ | লেখক: অঙ্গনা ঘোষ ০৪ জুন ২০২৪ ২০ : ০৩Angana Ghosh

নিজস্ব সংবাদদাতা : তিনি আসলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। তিনি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান ! রচনা ব্যানার্জি! আজকের পর থেকে তিনি হুগলির জনপ্রতিনিধি। সেখান থেকেই বিপুল ভোটে বিরোধী প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছেন তিনি। আর এই সব কিছু সুদূর আমেরিকায় বসে টিভির পর্দায় দেখেছেন তাঁর মা সীমা ব্যানার্জি। আজকাল ডট ইন এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বাঁধ ভাঙা আবেগে ধরা দিলেন তিনি। বললেন, ''আমি তো এখন দেশে নেই। আমেরিকায় এসেছি। এখানে এখন সকাল ১০ টা বাজে । সকাল ৬টা থেকেই টিভির সামনে বসে। এই দেখছি লকেট এগিয়ে গিয়েছে। এই দেখছি রচনা এগিয়ে গিয়েছে। কী যে টেনশন। তবে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে মেয়ের জয়ে। মেয়েটা নিজের চেষ্টায় যে এত কিছু করেছে, এটাই অনেক আমার কাছে। ও যেখানেই হাত দেয় সেটাই সাকসেসফুল! নিজের মেয়ে বলে গর্ব করে বলছি না। ওর ভিতরে একটা স্পিরিট আছে।'' 
হঠাৎই রাজনীতির মঞ্চে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রচনা। কয়েক মাস আগেই অভিনেত্রীর জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো'য়ে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই কানাঘুষো, রাজনীতিতে আসছেন রচনা। অবশেষে সব জল্পনা সত্যি করে হুগলি থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হন তিনি। অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, ''আমাদের পরিবারে কেউ কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না। মমতাদি যখন প্রস্তাব দিলেন, আমি খুশিই হয়েছিলাম। কথা ফেলতে পারিনি। রচনার বাবা, আমি সকলেই দিদির অনুরাগী।। মনে হয়েছিল, এই জীবনটাও রচনা দেখুক কেমন। কতটা কষ্ট, কতটা ভাল -মন্দ ! নিজের চেষ্টায় কতটা কী করতে পারে। তাই আমার কোনও আপত্তি ছিল না ওর রাজনীতিতে আসা নিয়ে। আর এখন তো জিতেছে। আনন্দই হচ্ছে। এখন হুগলীবাসীর জন্য ও কতটা কী করতে পারে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।''
সকালেই ফোনে মেয়েকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সীমা দেবী। কলকাতায় ফিরে মেয়েকে ভাল মন্দ করে খাওয়াবেন। এখন শুধু একটাই ইচ্ছে তাঁর, ''মেয়ে মন দিয়ে কাজ করুক। এবং সৎ পথে রাজনীতি করুক। মানুষ ওকে যে সম্মান দিয়েছে, এবার ওর সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার পালা।''
শুরুর দিকে কম ট্রোলের শিকার হতে হয়নি রচনাকে। ভোটের প্রচারে গিয়ে এক একটা কথা নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। কেন কেটেছিল সেই দিনগুলো? উত্তরে সীমা দেবী জানালেন, ''খুব খারাপ লেগেছিল। অত ভেবেচিন্তে তো কিছু বলেনি। তবে ভালই হয়েছে। এই জগতে ও নতুন। হোঁচট খেতে খেতেই তো শিখবে।''