শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ : ৪১Riya Patra
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথম দফার নির্বাচন মিটেছে। এখনও বাকি ৬ দফা। প্রার্থীদের সমর্থনে চলছে সভা। তীব্র দাবদাহ মাথায় নিয়েই এদিন প্রার্থী মুকুটমণির সমর্থনে সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। নদীয়ায় দাঁড়িয়ে একগুচ্ছ বিষয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন কেন্দ্র সরকারের দিকে। তাঁতের সুতোয় জিএসটি, মূল্যবৃদ্ধি, ক্যা নিয়ে সুর চড়ান। একই সঙ্গে তৃণমূলের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে প্রশ্ন করেন, কাকে ভোট দেওয়া উচিত সাধারণ মানুষের। এদিন রাজনাথ সিং বলেন, বিজেপি আসছে, ক্যা হবেই, কেউ রুখতে পারবে না। কিছুক্ষণ পরেই তীব্র সুর চড়ালেন অভিষেক।
শুরুতেই সভাস্থলে মানুষের উপস্থিতি নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, তাঁরা যদি জোড়া ফুলে ভোট দিয়ে দেন তাহলে "ভোকাট্টা, বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।" "আচ্ছে দিন" নিয়েও কটাক্ষ করেন অভিষেক। উঠে আসে তাঁত শ্রমিকদের কথা। মোদি সরকারের তাঁতের সুতোর ওপর জিএসটি, জিরায় জিএসটি নিয়ে সুর চড়ান। সঙ্গে মনে করান, তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবনার, পরিকল্পনার কথা। মোদির "ট্রেলার " মন্তব্যের কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, মোদির দেখানো ট্রেলার আদতে দেখাল চরম মূল্যবৃদ্ধি। নাম করে জগন্নাথ সরকারকে কটাক্ষ করেন অভিষেক। মতুয়া সমর্থকদের উপস্থিতিতে এদিন ফের ক্যা নিয়ে সুর চড়ান। বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে বলেছিলাম ক্যা জুমলা। তারপরেই প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, "আজকে মায়েরা বুঝছেন ক্যা জুমলা? " একই সঙ্গে বলেন, "বিজেপির নেতারা বলছে ক্যা এর অ্যাপ্লাই করুন। বিজেপির কোনও নেতা ক্যা পোর্টালে অ্যাপ্লাই করেছে? অ্যাপ্লাই করতে গেলে আগে আপনাকে ঘোষণা করতে হবে যে আমি বাংলাদেশী। সঙ্গে সঙ্গে রেশন, আধার, ভোটার কার্ড বাতিল করে দেবে।" এদিন মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, "বিজেপি অনেক জায়গায় বলছে ক্যা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। কেড়ে নেবার নয়। ক্যামেরার সামনে বলছি যাঁরা অ্যাপ্লাই করবে, তাদের ৭ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব দিন। আর নোটিফিকেশন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তর যদি বলে, ভারতে আমরা ক্যা-এর পর এনআরসি করব না। অভিষেক ব্যানার্জি ক্যা সমর্থন করবে।" গেরুয়া শিবিরকে চরম কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, এরা মিথ্যে কথা বলে। সঙ্গেই বলেন "বিজেপির মাথার চুল থেকে পায়ের নোখ সব দুনম্বরী।" অভিষেকের মতে, "আপনার পাড়ায়, এলাকায়, গ্রামে, অঞ্চলে কোনও ভদ্র, মার্জিত, সভ্য শিক্ষিত লোক দেখবেন বিজেপি করে না। " মমতাবালার শপথ অনুষ্ঠানের দিনের প্রসঙ্গ ফের তুলে আনেন অভিষেক। বলেন, রামের নামে শপথে বাধা দেওয়া হয় না, ঈশ্বরের জায়গায় গুরুচাঁদ ঠাকুর, হরিচাঁদ ঠাকুর বলা হচ্ছে তখন বাংলা বিরোধীরা শপথ বন্ধ করে দিচ্ছে মাঝপথে। কটাক্ষ করেন শান্তনু ঠাকুরের নাম করেও। মনে করিয়ে দেন, ঠাকুর বাড়ি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। অভিষেক এদিন ফের মনে করিয়ে দেন, এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দেবেন, নিজের অধিকারকে সামনে রেখে।