আজকাল ওয়েবডেস্ক: শচীন তেন্ডুলকরকে ছাপিয়ে গেলেন মহম্মদ সিরাজ। ব্যাট হাতে নয়, বল হাতে। শুনে অদ্ভুত লাগলেও, এটাই সত্যি। লাল বলের ক্রিকেটে বোলার শচীনও সমান পারদর্শী ছিলেন। এবার মাস্টার ব্লাস্টারকে পেছনে ফেললেন তারকা পেসার। ওভালে পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় দিন বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স মহম্মদ সিরাজের। ২২৪ রানে ভারত অলআউট হওয়ার পর, পেসারদের দাপটে ম্যাচে ফেরে শুভমন গিলরা। চারটে করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ২৪৭ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। সিরাজের শিকার ছিলেন অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক এবং জেমি স্মিথ। ছাপিয়ে যান শচীন তেন্ডুলকরকে। চার উইকেটের ফলে টেস্টে ১১৮ উইকেট হয়ে গেল তাঁর। এছাড়াও একদিনের ক্রিকেটে সংগ্রহ ৭১ উইকেট। টি-২০ ক্রিকেটে ১৪ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট উইকেটের সংখ্যা ২০৩। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটিং গ্রেট শচীনের সংগ্রহ ২০১ উইকেট।
ইংল্যান্ডে এই নিয়ে সিরাজ ষষ্ঠবার চার উইকেট নিলেন। যশপ্রীত বুমরাকেও ছাপিয়ে যান তিনি। পাঁচবার চার উইকেট নেন বর্তমানে বিশ্বের একনম্বর বোলার। এশিয়ানদের মধ্যে একমাত্র ওয়াকার ইউনিস ইংল্যান্ডের মাটিতে ছ'বার চার উইকেট নেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকার উইকেট সংখ্যা ৪৫। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান অস্থায়ী অধিনায়ক অলি পোপ। দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটাররা। সপ্তম উইকেটে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করুণ নায়ার এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের। ১০৯ বলে ৫৭ রান করেন করুণ। ৫৫ বলে ২৬ রান ভারতীয় অলরাউন্ডারের। প্রত্যাবর্তনে পাঁচ উইকেট নেন গাস আটকিনসন। তিন উইকেট জস টংয়ের।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেটে ৯২ রানের পার্টনারশিপ জ্যাক ক্রলি এবং বেন ডাকেটের। ইংল্যান্ডের ১২৯ রানের মাথায় ফিরে যান দুই ওপেনার। তারপরই ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। সিরাজ এবং প্রসিদ্ধের বোলিংয়ে ছারখার হয়ে যায় ব্রিটিশদের ব্যাটিং অর্ডার। অর্ধশতরান করে কিছুটা চেষ্টা করেন হ্যারি ব্রুক। কিন্তু একা ইংল্যান্ডকে বড় রানের দিকে এগিয়ে দিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসের শেষে মাত্র ২৩ রানে এগিয়ে ছিলেন পোপরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ছিল ৭৫। ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন যশস্বী জয়েসওয়াল। ৪ রানে ব্যাট করছিলেন নাইটওয়াচম্যান আকাশ দীপ। তৃতীয় দিনের শুরুতে উইকেট ফেলতে পারেনি ইংল্যান্ডের বোলাররা। প্রথম সেশনের এক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরও কোনও উইকেট হারায়নি ভারত।
