বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
RD | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫ : ৪৩Rajit Das
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২৩শে এপ্রিল, বিদেশমন্ত্রক আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফল হতে চলেছে সুদূরপ্রসারী। এই চেকপোস্টটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, ভ্রমণ এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের একটি প্রধান পথ। অতএব স্পষ্ট যে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে চলেছে নানা দিকে। এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের জন্য দুর্দিন ডেকে আনতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে কী হয়?
আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত হল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত, যা ভারতের আটারি এবং পাকিস্তানের ওয়াঘা শহরের কাছে অবস্থিত। এটি ওয়াঘা সীমান্ত অনুষ্ঠান (বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান) এর জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত, যা সূর্যাস্তের আগে অনুষ্ঠিত একটি দৈনিক সামরিক অনুশীলন।
প্রতিদিন সন্ধ্যায়, ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) এবং পাকিস্তান রেঞ্জার্স একটি সমন্বিত মহড়া করে, যার লক্ষ্য হাই-কিকিং মার্চ, স্যালুট এবং তাদের নিজ নিজ জাতীয় পতাকা নামানো। এই অনুষ্ঠানটি উভয় পক্ষের বিশাল জনতাকে আকর্ষণ করে। আনুষ্ঠানিক প্রকৃতির হলেও, মহড়াটি প্রতীকী, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং পারস্পরিক স্বীকৃতি- উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করে।
দীপাবলি, ঈদ এবং স্বাধীনতা দিবসের মতো দিনগুলিতে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পরিপূর্ণ থাকে। যেখানে উভয় পক্ষের সৈন্যরা মিষ্টি এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও শুভেচ্ছার স্রোত বয়ে যায়।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্তের ইতিহাস-
এই সীমান্ত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের পাশে অবস্থিত, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটগুলির মধ্যে একটি। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের আগে, অমৃতসর এবং লাহোর এই দুই শহর, অবিভক্ত পাঞ্জাবের মধ্যে যমজ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভাজন রেখা এই ঐতিহাসিক করিডোরের মাঝ বরাবর হয়। আটারি-ওয়াঘা চেকপয়েন্টটি দু'টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থল-সংযোগ হিসাবে আবির্ভূত হয়।
সীমান্তের ভারতীয় অংশটি আটারি গ্রামে অবস্থিত, যা একসময় জেনারেল শাম সিং আটারিওয়ালার বাসস্থান ছিল। শাম সিং মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের সামরিক কমান্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৫৯ সাল থেকে প্রতিদিন বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আটারি-ওয়াঘা সীমান্তের অর্থনৈতিক ও অবস্থানগত গুরুত্ব যথেষ্ট। এটি পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের প্রথম এবং একমাত্র কার্যকর স্থলবন্দর এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে বিবেচিত।
এই চেকপয়েন্টের মাধ্যমে ভারত শাকসবজি, সয়া পণ্য এবং প্লাস্টিক সামগ্রীর মতো পণ্য রপ্তানি করে। অন্যদিকে শুকনো ফল, শিলা লবণ, সিমেন্ট এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি করে যা মূলত আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান হয়ে এ দেশে আসে। আটারি চেকপোস্টটি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের একটি অংশ, যা এটিকে আন্তঃমহাদেশীয় সংযোগের একটি কৌশলগত উপাদান করে তোলে।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করায় পাকিস্তানের উপর কেমন প্রভাব পড়বে?
বাণিজ্যের উপর প্রভাব: আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সড়ক বাণিজ্যের একটি প্রধান কেন্দ্র। ২০১৯ সালে ভারত পাকিস্তানের কাছ থেকে মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরেও কিছু পণ্যের (যেমন তাজা ফল, সিমেন্ট এবং টম্যাটো) এই সীমান্ত দিয়ে আমদানি ও রফতানি অব্যাহত রয়েছে। এই চেকপোস্ট বন্ধ হয়ে গেলে ভারত থেকে পাকিস্তানে টম্যাটো, চিনি, চা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির উপরে প্রভাব পড়বে, যার কারণে সেখানে এই পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
পাকিস্তানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ঘাটতি: ২০১৯ সালে যখন পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, তখন সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং কাঁচামালের ঘাটতি দেখা দেয়। আটারি-ওয়াঘা চেকপোস্ট বন্ধ হওয়ার কারণে আবারও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা হবে।
পাকিস্তানের রফতানি প্রভাবিত হবে: পাকিস্তান ভারতে তাজা ফল (পেয়ারা, আম, আনারস), সিমেন্ট, চামড়া এবং মশলার মতো পণ্য রফতানি করে। চেকপোস্ট বন্ধ করে দিলে এই পণ্যের রফতানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে পাকিস্তানের ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতি উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে।
মানুষ ভ্রমণ করতে পারবে না: উভয় দেশের মানুষই আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণ করেন, বিশেষ করে শিখ তীর্থযাত্রীদের কথা বলতেই হয়, যাঁরা যারা পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহেবের মতো গুরুদ্বারগুলিতে যান। চেকপয়েন্ট বন্ধ করে দিলে এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে পরিস্থিতি স্পষ্ট করা হয়নি।
২০১৯ সালে সমঝোতা এবং থর এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক মানুষ তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য বিকল্প এবং ব্যয়বহুল রুট, যেমন বিমান সফরের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়েছিল। চেকপয়েন্ট বন্ধ হওয়ার কারণে এই সমস্যা আবার বাড়তে পারে।
পাকিস্তানের অর্থনীতির উপর প্রভাব: পাকিস্তান ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করলে তার অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। ২০১৯ সালে বাণিজ্য বন্ধের পর পাকিস্তানকে বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানি করতে হয়েছিল, যার ফলে খরচ বেড়ে গিয়েছিল।
নানান খবর

নানান খবর

২০০৮ মালেগাঁও বিস্ফোরণ: সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ অন্য দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চায় এনআইএ

ক্যাব বাইক বুক করেছিলেন মহিলা, চালকের রিপ্লাইয়ে শিউরে উঠলেন তিনি

'পুলওয়ামা, পহেলগাঁও সব সরকারের ষড়যন্ত্র', বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে গ্রেপ্তার অসমের বিধায়ক

'আদর্শ জীবনসঙ্গী'কে খুঁজে পাচ্ছেন না কিছুতেই, দুই বছরে চার বার বিবাহবিচ্ছেদে শিক্ষকের

বাংলার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ানকে আটক করল পাকসেনা, হুগলিতে চরম উৎকণ্ঠা

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে পাকিস্তানিদের, সমস্ত ‘সার্ক’ ভিসা বাতিল: বিদেশ মন্ত্রক

স্থগিত সিন্ধু জল চুক্তি, বন্ধ আটারি সীমান্ত, পহেলগাঁও হামলার পরের দিনেই কড়া পদক্ষেপ ভারতের: সূত্র

Exclusive: ‘আমরা তো অতিথিদের কখনও ধর্মে মাপিনি’, কাশ্মীরী মেহরাজের কান্নায় কেঁপে উঠল দেশ!

তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানায় মিড-ডে মিলে বিষক্রিয়া, পড়ুয়ারা হাসপাতালে

ভেলোর দুর্নীতি মামলা: জলসম্পদ মন্ত্রী দুরাই মুরুগনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ

জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন তিনি

পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা, চালু করা হল হেল্পলাইন নম্বর

রক্তাক্ত কাশ্মীর! পহেলগাঁওতে ২৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, বিস্ফোরক দাবি এক মহিলার

'মোদিকে গিয়ে বলুন', স্বামীর নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা স্ত্রী পল্লবীর

ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন, মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে অপহরণ করল বাপের বাড়ির লোক! তারপর...