রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর

Rajat Bose | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২০ : ০৭Rajat Bose
রিয়া পাত্র: গিল্ডের পাশে এতদিন একটা ছোট স্টল থাকত। সেখানে গেলেই মিলত সেই বড় কাগজ। যার উপর রঙিন আঁকিবুঁকি কাটা, প্রিয় সব প্রকাশন সংস্থার নাম। বেশিরভাগজনেরই বইমেলা গিয়ে প্রথম কাজ থাকত, ম্যাপ নেওয়া। তারপর ম্যাপ দেখে প্রথমেই ঠিক করে নেওয়া, কোন পথ দিয়ে, কোন স্টলে আগে যাবেন। সেখানে বই নিয়ে, ফের পাশের রাস্তা ধরে অমুক গেটের সামনে। সেখান থেকে বাঁদিক ধরলেই, একটু এগিয়ে ডান দিকে তমুক স্টলে। সেখানেই দাঁড়াবেন অফিসের সহকর্মী, দু’জনে একসঙ্গে বেরিয়ে পড়বেন তারপর। ব্যস। সোজা হিসেব, সোজা ঘোরা।
কিন্তু এবার ছবিটা একটু আলাদা। কেমন আলাদা? এবার মিশ্র ছবি। এবার নস্টালজিয়া এবং ডিজিটাল। এবার হাতের তালুতে বইমেলার মাঠ। এবার গিল্ড আর ইয়া বড় কাগজের ম্যাপ ছাপায়নি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ডিজিটাল বইমেলা। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি বইমেলার জন্য তৈরি করেছে বিশেষ অ্যাপ। বইমেলার মাসখানেক আগেই তাদের প্রস্তাবে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে গিল্ড।
কীভাবে তৈরি হয় এই অ্যাপ? সময়ই বা লেগেছে কতটা? অন্তত তিন থেকে চার মাস সময় লেগেছে এই অ্যাপ বানাতে। বইমেলা শুরুর চারদিন আগে প্রায় ৪০ জন পড়ুয়া গোটা বইমেলা ঘুরে, কোথায় কোন স্টল রয়েছে ঘুরে দেখে, সেসব ইনপুট দেন অ্যাপে। সেই হিসেবে অ্যাপে রয়েছে একের পর এক স্টলের নাম। রয়েছে উস্তাদ রশিদ খান সরণী, থমাস মান সরণী। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি প্রথমে ঠিক করেছিল এমন কিছু করবে, যাতে মেলা প্রাঙ্গণে ইন্টারনেট ছাড়াই অ্যাপ চলে। তবে এবার তা হয়ে ওঠেনি। প্রচেষ্টা, আগামী বছর ইন্টারনেট ছাড়াই বইমেলা প্রাঙ্গণে কাজ করবে এই অ্যাপ।
গিল্ড, প্রস্তুতকারকদের কথা গেল। কী বলছেন ব্যবহারকারীরা? একটা অংশ খুশি। ‘ইস্, এতবড় ম্যাপ বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে না।’ বারাসতের মৌপিয়া, কল্যাণীর সোমা, বাঘাযতীনের সঙ্কলন খুব খুশি। অ্যাপ দেখতে অভ্যস্ত। বলছেন, ‘গাড়ি থেকে খাবার, খবর সব অ্যাপভিত্তিক। বইমেলা আলাদা হবে কেন? জুম করে দেখা যাচ্ছে রাস্তা, স্টল। অ্যাপে সব হয়, বইমেলাও ঘোরা যাচ্ছে। অ্যাপ দেখে করুণাময়ী আসছি, মাঠে ঢুকেও চলছি অ্যাপ দেখে। এর থেকে ভাল আর কী।’