আজকাল ওয়েবডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ১৩ জুলাই খবর এসেছিল তাঁদের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। সাইনা নেহওয়াল এবং পারুপল্লি কাশ্যপের বিবাহ বিচ্ছেদর কথা জানাজানি হয়ে যায়। বিয়ে ভাঙার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছিলেন সাইনা।
২ আগস্ট জানা গেল সাইনা ও কাশ্যপ আরও একটা সুযোগ দিতে চান নিজেদের। একসঙ্গে পথ চলার মূল্য তাঁরা বুঝতে পেরেছেন। বুঝতে পেরেছেন দাম্পত্য জীবনের গুরুত্ব। তাই সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে সাইনা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের বিয়ে টিকিয়ে রাখার আরও একটা চেষ্টা করছেন। তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, কখনও কখনও দূরত্ব উপস্থিতির মূল্য শেখায়। আমরা আরও একবার চেষ্টা করছি।''
আরও পড়ুন: সাক্ষাৎ মৃত্যুর ছোঁয়া পেয়েছিলেন, ভয়াবহ সেই আইপিএল ম্যাচের অভিজ্ঞতা শোনালেন হেডেন
২০১৮ সালে বিয়ে হয় সাইনা নেহওয়াল এবং পারুপল্লি কাশ্যপের। হায়দরাবাদে পুল্লেলা গোপীচাঁদের অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং করতেন দু'জনেই। সেখান থেকেই আলাপ, পরিচয়। যা গড়ায় পরিণয়ে।
বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে সাইনা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, '''কখনও জীবন আমাদের অন্য দিশায় নিয়ে যায়। অনেক ভাবনা-চিন্তার পর আমি এবং পারুপল্লি কাশ্যপ আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা নিজেদের শান্তি, অগ্রগতি এবং আরোগ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছি। সমস্ত স্মৃতির জন্য আমি কৃতজ্ঞ। দু'জনেই এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের বোঝার জন্য এবং এই সময় আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর জন্য ধন্যবাদ।''
কিন্তু নতুন মাস গড়াতেই নিজেদের পূর্ব সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন সাইনা। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতে প্রচারের আলোয় চলে আসেন সাইনা। কার্নাম মালেশ্বরীর পর দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা হিসেবে অলিম্পিকে পদক জেতেন। ২০১৫ সালে মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে একনম্বর স্থান অর্জন করেন সাইনা। অন্যদিকে ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতেন কাশ্যপ। ৩২ বছর পর ভারতীয় প্লেয়ার হিসেবে কমনওয়েলথে সোনা জেতার নজির গড়েন। ভারতের প্রথম পুরুষ ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হিসেবে অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার নজির গড়েন কাশ্যপ। ২০১২ সালে এই রেকর্ড করেন। তার পরের বছর কেরিয়ারের সেরা ব়্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছন। ২০১৩ সালে ছয় নম্বরে উঠে আসেন। তবে চোটের কারণে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। পারফরম্যান্স গ্রাফ পড়তে থাকে।
২০২৪ সালে সাইনা জানান, বাতের ব্যথায় ভুগছেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাইনা বলেছিলেন, 'আমার হাঁটুর অবস্থা ভাল নয়। আমি বাতে ভুগছি। আমার কার্টিলেজের অবস্থা খারাপ। আট-নয় ঘণ্টা খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের কীভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেব? আমার মনে হয়, আমাকে মেনে নিতেই হবে। কারণ মাত্র দুই ঘণ্টার ট্রেনিংয়ে আমি বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারব না।' তারপর থেকে আর কোর্টে দেখা যায়নি সাইনাকে। সেই সাইনা সম্পূর্ণ অন্য কারণে শিরোনামে।
