রবিবার ০৩ আগস্ট ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
RD | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩ : ০৬Rajit Das
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেছে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স ৫০ বছর। বহু ভারতীয়র প্রশ্ন, গণতন্ত্র ধরে রাখতে ভারত সফল হলেও কেন পারছে না তার পড়শি দেশটি? কেন বারে বারে বাংলাভাষী এই রাষ্ট্রে সামরিক শাসন জারি করতে হয়?
ঔপনিবেশিক শাসন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর ভারত পরিচালনায় তার কোনও কুপ্রভাব তেমনভাবে পড়েনি। তর্কের খাতিয়ে যদি ধরে নেওয়া হয় যে, বহু জাতি, ভাষা এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় সমাজে গণতন্ত্রের যেকোনও ধরনই আগোছালো- তবে ভারতীয়দের বাহবা দিতেই হবে।
ডজন ডজন বিষয়ের প্রকেষিতে এই তুলনা চলে। তবে প্রশ্ন, আমরা কি এখানে কমলার সঙ্গে আপেলের তুলনা করছি? যদি তাই হয়, তাহলে ফলাফল হতে পারে যে কমলা ভালো। কিন্তু এভাবে বেশিরভাগ সংবেদনশীল তুলনাই দুর্বলতা দোষে দুষ্ট। পদ্ধতির ত্রুটির কারণেই এক্ষেত্রে, বাংলাদেশকে খুব খারাপ আলোতে দেখা হবে। যাই হোক না কেন, আমরা যদি আমাদের পদ্ধতিগত অস্বস্তিকে মুহুর্তের জন্য একপাশে রেখে তুলনাটি ফের দেখি, তাহলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে নিম্নলিখিতগুলি বিবেচনা করতে পারি।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগের সময়, বৃহত্তম উত্তরসূরি দেশ হিসাবে ভারত বেশিরভাগ বেসামরিক পরিকাঠামো এবং সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ সেভাবে এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ছিল না। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সম্পদের দিক থেকেও, ভারতের সুবিধা ছিল, যার ফলশ্রুতিতে ভারত তার নেহেরু পরিচালিত নীতির মাধ্যমে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করতে পেরেছিল। নবগঠিত ভারত এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকাঙ্খা পূরণে কর্মসংস্থান দিতে সক্ষম হয়েছিল। শিল্প, রেল, উদীয়মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং পরে ক্রমবর্ধমান বাজার-চালিত কর্পোরেট বিশ্বে ভারতীয়দের কর্মসংস্থান আশীর্বাদস্বরূপ।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল- হিন্দুরা প্রতিযোগিতার বাজার থেকে সরে দাঁড়াবে বলে যেসব মুসলিম অভিজাতরা ভারত থেকে তৎকালীন পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁরা দ্রুত জানতে পেরেছিলেন যে- এইসব নয়া দেশে সামরিক বাহিনী ছাড়া রাষ্ট্রে শ্রেণী অগ্রগতির বহু পথ রুদ্ধ। শিল্প বিকাশের দুর্বলতা, পেশায় বৈচিত্র্যের অভাব এবং পণ্য ও পরিষেবার পরিকাঠামো তৈরির চেয়ে আমদানিতে বেশি আগ্রহী ছিল রাষ্ট্র নেতৃত্ব। ফলস্বরূপ, সামরিক বাহিনী সেসব দেশের অভিজাত স্বার্থের একমাত্র স্বার্থবহনকারী হয়ে ওঠে। এই কারণেই সামরিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিকভাবে অভিজাতদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। আমরা যদি স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রগুলির প্রকৃতি বিবেচনা করি তবে এটি আরও স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকারী, এছাড়াও পাকিস্তানি দমন-পীড়নের উত্তরাধিকারী। ফলে জন্মগতভাবেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিরোধী হওয়ার দিকে এগিয়েছে।
বিপরীতে, আগেই সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতীয় অভিজাত এবং মধ্যবিত্তদের শ্রেণীস্বার্থ প্রকাশের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হয় না। অপর্যাপ্ত হলেও সুযোগের আধিক্য মধ্যবিত্তদের জন্য বিভিন্ন পেশা এবং বৃত্তির বিভিন্ন দিক অন্বেষণে কার্যকর হয়েছে। ভারতীয়রা আশাহত হননি। রাজনৈতিক প্রশাসনের প্রতি সামরিক বাহিনীর অধীনতা (বেশ কিছু দুর্বলতা সত্ত্বেও) একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভারতীয় নেতাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাষা, ধর্ম, বর্ণের পার্থক্য সত্ত্বেও সংসদীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশাল বৈচিত্র্যকে একসুতোয় বাঁধার রাজনৈতিক ক্ষমতা কায়েম হয়েছে। বহু ভাষা, শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণের স্তরবিন্যাস ভারতীয় গণতন্ত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই দ্রুত একবার আফ্রিকা মহাদেশের দিকে তাকানো যাক। দেশগুলি দীর্ঘ ঔপনিবেশিক দমন-পীড়ন থেকে শক্তিশালী ঔপনিবেশিক বিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিল। সেসব দেশের সংগ্রামের দরুন একাধিক ক্যারিশম্যাটিক নেতা বিশ্ব-দরবারে পরিচিতি পেয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে ছিল জনসমর্থন। কিন্তু তাঁরাই শেষ পর্যন্ত শাসন ব্যবস্থাকে স্বৈরাচারে পরিণত করেছিল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের লাভকে অস্বীকার করেছিল। অতএব আমরা এই উপসংহারে পৌঁছাতে পারি যে, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড ভারতের সঙ্গে তুলনীয় নয়। তবে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে উদ্ভূত বিশ্বের অন্যান্য অংশের দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে ন্যায্য।
উপমহাদেশ আমাদের সকলের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শিক্ষা। রাজনৈতিক অভিজাতরা রক্ষণশীলতাকে ভিত্তি করে প্রচোলিত ব্যবস্থাকে রক্ষার চেষ্টা চালাবে। এইভাবে স্থিতিশীলতা বজায়ের চেষ্টা চলবে। এক্ষেত্রে ধর্মই হবে সেরা কৌশল। তবে,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ভালোভাবে পরিচালিত হলে অর্থনীতি ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় ক্ষমতা আছে। প্রকৃত বিপদসমুহ যেমন- কর্মসংস্থান, খাদ্য, আশ্রয় এবং সুযোগের অভাব থাকলেও ভিন্নমতকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যেই জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং গণতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্রকে খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের দুর্দশা সাম্প্রদায়িক অবস্থানের কারণে। আমরা যদি সতর্ক না হই তবে এই অবস্থা আমাদেরও হতে পারে। সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার মড়ক আমাদের আঁকড়ে ধরলে ঘোর বিপদ। কারণ আমরা কখনই যেন ভুলে না যাই যে, সার্বভৌমত্ব আমাদের আলাদা করেছে, কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।
(লেখক পরিচিতি- শ্রী সুরজিৎ সি মুখোপাধ্যায়, ডিন - স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্স, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি)
নানান খবর

কখনও নৌকায়, কখনও পায়ে হেঁটে, বন্যার জলে ভিজে একশা হয়ে বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছলেন পাত্র, দেখে চোখে জল পাত্রীর

টিভিতে দেখেছিলেন ছেলেকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে, এরপর থেকেই ফোন সুইচড অফ, মহারাষ্ট্রে নিখোঁজ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক

বোনের দু'বার বিয়ে, একটিও টেকেনি! লক্ষ লক্ষ টাকা ঢেলেও পরিবারের সুনাম নষ্ট, রাগের মাথায় দাদা যা করল

কলকাতাগামী বিমানে সহযাত্রীকে সপাটে চড়, অভিযুক্তকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইন্ডিগো

মোঘল থেকে ব্রিটিশ, পরাক্রমশালী এই দুই শক্তিই ব্যর্থ হয়েছিল ভারতের এই অঞ্চলটি দখলে, জানেন কোনটি?

একটা নয়, দুটো নয়, আটটা! গত পনেরো বছরে আটজন পুরুষকে প্রথমে বিয়ে, তারপর তাঁদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি, হাতেনাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

এই এক বছরে এতগুলো ট্রেন দুর্ঘটনা ভারতে! সত্যিটা প্রকাশ করেই দিল ভারতীয় রেল

বিখ্যাত অমরনাথ যাত্রা স্থগিত! প্রবল বৃষ্টির জেরে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত রুট, জানুন...

আর সুইমিং পুল নয়, এবার রাস্তাতেই সাঁতার! গুরুগ্রামে একদল শিশুর ভিডিও ভাইরাল, কী বলছেন নেটিজেনরা?

'ও যখন জন্মায় তখন থেকেই ভালবাসতাম, অপেক্ষা করছিলাম বড় হওয়ার!' পঁচিশ বছর অপেক্ষা করে অবশেষে নাতনিকে বিয়ে করলেন দাদু, ঘটনায় চোক্ষু চড়কগাছ সবার

গোয়ায় বিচের ধারে বসে বিয়ার খাওয়া যাবে আর? আসছে বড়সড় পরিবর্তন, বিধানসভায় বিরাট সিদ্ধান্ত

নেতাজির প্রাণ বাঁচাতে হত্যা করেছিলেন নিজের ‘ব্রিটিশ অনুগত’ স্বামীকেই, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা ‘স্পাই’-কে?

১৫ দিন ধরে হবে যাত্রা, থাকবেন তেজস্বী যাদবও, ভোটমুখী বিহারে এসআইআর ইস্যুতে যাত্রা করবেন রাহুল

দেশজুড়ে সব রাজ্যেই হবে এসআইআর, জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন

পেটে সন্তান জেনেও লাথি, মাটিতে ফেলে মারধোর! ‘আমি না মরলে, মেরে ফেলবে ওরা’, মা’ কে মেসেজ করেই ওই কাজ করে বসলেন মেয়ে

সিরাজ ইয়র্কারে ইংল্যান্ডের সাজঘরে বাড়ল অস্বস্তি, ইতিহাস গড়ে কি জিততে পারবেন ডাকেটরা?

নবজাগরণ-এর প্রতিষ্ঠা দিবস, সংবর্ধিত ব্রাত্য বসু-ঝুলন গোস্বামী

যশস্বী-আকাশের পরে ওয়াশিংটনের 'সুন্দর' ঝড়, বড় টার্গেট ইংল্যান্ডকে, কী হবে ওভালে?

Putul Nacher Itikotha: 'পুতুল নাচের ইতিকথা'র মুক্তিতে উচ্ছ্বসিত তারকারা

সেই তো আবার কাছে এলে! ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগানোর চেষ্টা সাইনা-কাশ্যপের, বিচ্ছেদ ঘোষণার ১৯ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল

বিচ্ছেদের পর নতুন প্রেমে তিথি বসু, প্রেমিককে প্রকাশ্যে এনে কোন সুখবর দিলেন?

সাক্ষাৎ মৃত্যুর ছোঁয়া পেয়েছিলেন, ভয়াবহ সেই আইপিএল ম্যাচের অভিজ্ঞতা শোনালেন হেডেন

স্কুলের মাঠে খেলতে খেলতেই বিপত্তি, সাপের কামড়ে লুটিয়ে পড়ল খুদে পড়ুয়া, হুগলির স্কুলে তীব্র আতঙ্ক

জাতীয় সড়কের উপর উল্টে গেল দেশি মদের গাড়ি, বোতল কুড়ানোর জন্য তৈরি হল যানজট

সিরাজের মাথায় সাদা হেডব্যান্ড কেন? কারণ জানলে শ্রদ্ধা বেড়ে যাবে

মাস্কড আধার কার্ড কী? কীভাবে করবেন ডাউনলোড?

ওভালেও বিতর্ক, যশস্বীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন ইংল্যান্ডের দুই তারকা

Exclusive: অভিনয়ের পাশাপাশি এবার অন্য ভূমিকায় রুকমা রায়! নতুন যাত্রা শুরু নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী?

তোমার মস্তিষ্ক কে নিয়ন্ত্রণ করছে? তুমি, না তোমার স্মার্টফোন?

কলেজে পড়াতে চান? রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা—WB SET 2025-এর আবেদন শুরু, পরীক্ষার দিন নির্ধারিত ১৪ ডিসেম্বর

খাট থেকে ঘরের জমা জলে পড়ে দমবন্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু

পুজোর সাজে ব্লাউজও এখন নজর কাড়ার অস্ত্র। এবার কোন ট্রেন্ডের ব্লাউজ কিনবেন? রইল হদিশ

নিঃশব্দে কিডনি ঝাঁঝরা হওয়ার আগে বিপদ সংকেত দেয় চোখ! কোন কোন লক্ষণ অবহেলা করলেই বাড়বে মৃত্যুর ঝুঁকি

ফের একই দৃশ্য ওভালে, ডাকেটের কাঁধে আবার হাত রাখলেন আকাশদীপ, এবার ডাকেট যা করলেন...রইল ভিডিও

মুন্নাকে খুন করতে দেওয়া হয়েছিল তিন লক্ষ টাকার সুপারি, কোন্নগরে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করল পুলিশ

ওভালে যশস্বীর অনবদ্য শতরান, ভাঙলেন শচীনের আরও একটি রেকর্ড

বীর্যে অ্যালার্জি! সঙ্গম করলেই ফুলে যায় যোনি, চেষ্টা করেও মা হতে পারছেন না তরুণী

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, হুগলিতে শুরু হল 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান' কর্মসূচি, কী কী দাবি স্থানীয়দের?

মাত্র চার বছর বয়সে বাবার সামনেই পরিচালকের কাছে 'হেনস্থা' হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী! কী হয়েছিল সেদিন শুটিং ফ্লোরে?