বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
RD | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ : ৫৪Rajit Das
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনে এক, রাতে আরেক। সকালে শিক্ষকতা এবং রাতে খাবার ডেলিভারি! এভাবেই দিন যাপন বিহারের এক স্কুল শিক্ষকের। সরকারি চাকরি করেও কেন খাবার ডেলিভারির মত কাজের প্রয়োজন পড়ছে ওই শিক্ষকের? অনেকের মতে, এ হেন ঘটনা সে রাজ্যে শিক্ষকদের করুণ অবস্থাতাই তুলে ধরে।
শিক্ষক অমিত কুমার। তাঁর কঠিন জীবনসংগ্রামের কথা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সকালে বাচ্চাদের পড়িয়ে রাতে খাবার ডেলিভারি করে একটি বহুজাতিক সংস্থার হয়ে। তাও স্ত্রীর পরামর্শে। সংসার চালাতে খাবার ডেলিভারি বয়ের পেশাই বেছে নিয়েছেন অমিত।
বিহারের একটি সরকারি স্কুলে অমিত কুমার পার্শ্ব শিক্ষক হিসাবে কর্মরত। বেতন মাসে মাত্র ৮ হাজার টাকা। এই অগ্নিমূল্যের বাজারে ওই অল্প টাকায় সংসার চালানো দায়। তাই সংসার চালাতে ডেলিভারি বয়ের পেশাই ভরসা এই শিক্ষকের।
২০১৯ সালে, অমিত সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেন। ১০০-র মধ্যে পান ৭৪ নম্বর। দীর্ঘ অপেক্ষা, করোনা অতমারীর পর ২০২২ সালে বিহারের ভাগলপুরের কুমার পরিবারে খুশির খবর আসে। পরিবারের বড় ছেলে অমিত কুমার পায় সরকারি চাকরি। অমিতের কথায়, "আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও বেতনের টাকা বাড়েনি। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন ৪২,০০০ টাকা, সেখানে আমি পাই মাত্র ৮ হাজার টাকা। কাজের কোনও কমতি নেই। অথচ তাঁরা আমার তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি বেতন পান। এই অবস্থায় সংসার চালাতে বহুজাতিক খাবার সরবারকারী সংস্থার ডেলিভারি বয়ের কাজকেই বেছে নিয়েছি।"
অমিতের দাবি, চলতি বছরের শুরুতে অমিত এবং অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকরা চার মাস বেতন পাননি। ফলে সংসার চালাতে বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছিল। কিন্তু ঋণের টাকায় আর কতদিন চলা যায়। শেষপর্যন্ত তাই স্ত্রীর পরামর্শে, খাবার সরবারহ কর্মী হিসাবে ওই বহুজাতিক সংস্থায় যোগ দেন।
অমি কুমার বলেছেন, 'আমি যে টাকা মাইনে পাই তাতে আমি সংসার চালাতে পারছি না। আমি যদি নিজে না খেতে পারি, তাহলে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কী করে খাওয়াবো? আমাকে আমার বৃদ্ধ মায়ের দেখভাল করতে হয়। তাই আমি দু'টি কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি।'
এ খবর জানাজানি হতেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। একজন অভিভাবক প্রশ্ন, "শিক্ষকরা আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড, তাঁদের কেন পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সংগ্রাম করতে হবে?" শিক্ষকদের এই অবস্থা হলে ছাত্রদেরও হাল খারাপ হবে। অনেকের মতে, শিক্ষকরা অতিরিক্ত পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ফলে পড়াশুনোও ভালো হয় না। এই অবস্থা বিহারের শিক্ষাক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত শিক্ষক ও তাঁদের দুরাবস্থার কথাই প্রমাণ করে।
#Bihar#Teacher
বিশেষ খবর
নানান খবর
নানান খবর
দিল্লিতে পালা বদলের ইঙ্গিত দিল এক্সিট পোল, আপকে সরিয়ে ২৭ বছর পর ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি...
মানুষকে হাসান, কিন্তু নিজের মুখে হাসি নেই, কৌতুকশিল্পী সিদ্ধার্থসাগরের...
৫০০ বোনের জন্য বিরাট কাজ করলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি, অবাক হয়ে দেখল দেশবাসী...
'সিসিটিভি-তে আমার বাড়ি কেন দেখা যাচ্ছে', প্রশ্ন তুলে প্রতিবেশীকে গুলি করে মারলেন ব্যক্তি...
ভারতে কোথা থেকে ছড়াচ্ছে গুলেন বেরি, সমীক্ষা থেকে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য...
সরগরম রাজধানী, দিল্লি ভোটের আগে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর ...
ডাকাতির টাকায় বান্ধবীর জন্য কলকাতায় ৩ কোটির বাড়ি, অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত ...
দিল্লি বিধানসভা ভোট ২০২৫: ঝাড়ু-পদ্ম-হাত শিবিরের জোর টক্কর, গেম-চেঞ্জার হতে পারে কোন বিষয়গুলি?...
ভারতরত্নের সঙ্গে কলকাতার একটি যোগ রয়েছে, আপনি কী জানেন ...
টাটা মোটরসের নতুন পদে রতন টাটার ‘বন্ধু’, কে তিনি? জানুন তাঁর পরিচয় ...
লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই NTPC-তে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ, বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা...
দুই মদ্যপের বিবাদ, বন্ধুর গলার নলি কেটে খুন করল যুবক, গ্রেপ্তার ২ ...
ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, বাড়িতে ঢুকে প্রাক্তন সেনাকর্মীকে হত্যা করল জঙ্গিরা...
অতি লোভের মাসুল, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে প্রতারণা! গায়েব ৫১ লাখের-ও বেশি...
আরও স্বস্তি মধ্যবিত্তের! এবার কমতে পারে সুদের হার, বড় ঘোষণার সম্ভাবনা কবে? ...