আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুলেন বেরি নিয়ে অবাক করা তথ্য সামনে উঠে এল। পুনে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তথ্য অনুসারে ১৪ টি আরও জলের প্ল্যান্ট থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়েছে সেখান থেকেই নাকি আসছে গুলেন বেরির জীবানু। এটি সরাসরি নার্ভকে আক্রমণ করছে। তার ফলে প্রচুর মানুষ এর শিকার হয়েছে।
সম্প্রতি জলের একটি পরীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে এই জলে এক ধরণের জীবানু রয়েছে। ৩০ টি আরও প্ল্যাটের উপরেই এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা যায় এই জলের প্ল্যান্টগুলি থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রোগ সৃষ্টিকারী জীবানু রয়েছে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
এই জলের প্ল্যান্টগুলি নিয়ে এবার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে তারা। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার রাজেন্দ্র ভোসলে জানিয়েছেন, যে ধরণের জীবানু এখান থেকে পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে গুলেন বেরি রোগ হতে পারে। তাই শহরবাসীর স্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রেখে তারা সবকটি প্ল্যান্টের জলকে ফের নতুন করে পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এই বিষয়টি তখন সামনে আসে যখন পুনেতে গুলেন বেরি হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে। এই সংখ্যা মিউনিসিপ্যাল এলাকায় বেশি করে দেখা গিয়েছিল। এরপর বেসরকারি জলের এই সাপ্লাইগুলির দিকে নজর যায় সকলের। সেখানকার জল পরীক্ষা করতেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
এখানেই শেষ নয়, পুনের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জলের প্রতিটি ট্যাঙ্কের জল পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখান থেকেই কপিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মিলেছে। এই জল প্রচুর মানুষ পান করে থাকেন। সেখান থেকেই এই জীবানু ছড়িয়েছে বলেই অনুমান করা হয়েছে।
শ্বাসনালি বা পাচনতন্ত্রের সংক্রমণের পর গুলেন বেরি সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত, 'ক্যাম্পিলোব্যাক্টর জেজুনি' নামে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া এই রোগের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সংক্রামক ব্যাধি নয়, অর্থাৎ এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়ায় না। সেক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এই রোগ থেকে বাঁচার মূল মন্ত্র।
