বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

কলকাতা | Missing: ‌কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি

Rajat Bose | ২১ জুন ২০২৪ ১২ : ০০Rajat Bose


‌আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে নিখোঁজ হয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। কাকতালীয় হলেও মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে নিখোঁজের দুটি ঘটনাই ঘটেছে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার মার্কুইস স্ট্রিট অঞ্চলে। দুটি ঘটনাতেই নিখোঁজ যুবকদের সন্ধানে তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। 
গত ২৪ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসে নিখোঁজ হন রাজশাহীর রাজপাড়া লক্ষীপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম শিহাব (২৪)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। মা–বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন শিহাব। তাঁর নামে লালবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি হয়েছে, তবে এখনও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিহাবের পরিবার উঠেছিলেন মার্কুইস স্ট্রিট সংলগ্ন কলিং স্ট্রিটের শামীমা হোটেলে।
 শিহাবের বাবা শফিকুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে জানান, ২২ মে চিকিৎসার কারণে কলকাতায় এসেছিলাম। ২৪ মে ছেলে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলাম। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজেও দেখতে পাই ছেলে হোটেল থেকে একা বের হয়ে রাস্তার দিকে যাচ্ছে। এরপর কিছু জানি না। প্রায় একমাস হয়ে গেল। আর পারছি না। ছেলেকে নিয়েই দেশে ফিরতে চাই। 
একইভাবে গত ১৮ জুন মা–বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসেন পাবনার বাসিন্দা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। ১৯ জুন রাতেই হঠাৎ হোটেল থেকে দেলোয়ার উধাও হন। এরপর ২০ জুন রাতে পরিবারের তরফে পার্ক স্ট্রিট থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কুইস স্ট্রিটের পারামাউন্ট হোটেলে।
 এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে দেলোয়ারের পরিবার। এ বিষয়ে দেলোয়ারের বোন কামরুন্নাহার অমি জানান, আমার ভাই নার্ভের সমস্যায় আক্রান্ত। সে কিছুক্ষণ পরপরই সবকিছু ভুলে যায়। সহজে কোনো কিছু মনে রাখতে পারে না। যে কারণে আমরা গত ১৯ জুন কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। 
তিনি বলেন, ১৯ জুন রাতে আমি ও আমার স্বামী হোটেলের এক রুমে ছিলাম। পাশের রুমে ভাইকে নিয়ে বাবা–মা ছিলেন। রাত ১১টায় আমার বাবা–মা দেখতে পান হোটেলের রুমের দরজা খোলা। ঘরের মধ্যে ভাই নেই। সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের নিচে আসি। সেই রাতেই পথে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সেই রাতে না পেয়ে পরের দিন পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি।
 কামরুন্নাহার অমি বলেন, ১৯ জুন রাতেই হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় দেলোয়ার রাত ১১টা ২৭ মিনিটে হোটেল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। খুব চিন্তায় আছি। ভাইকে সাত ঘণ্টা অন্তর অন্তর ওষুধ খেতে হয়। না হলে ভাইয়ের কথা আটকে যায়, খাবারও গিলতে পারে না। কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। 
কলকাতা পুলিশের প্রতি আস্থা রেখে অমি বলেন, পার্ক স্ট্রিট থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে আমাদের।




নানান খবর

নানান খবর

সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে, কড়া হতে বললেন মমতা

দুই বাসের রেষারেষি, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা 

সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাজুড়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, কেমন থাকবে পয়লা বৈশাখের আবহাওয়া?

কলকাতা পুলিশ কোয়ার্টারে স্বাস্থ্য শিবির: টেকনো ইন্ডিয়া ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে জনসেবার নতুন দিশা

গ্যাগরিনের মহাকাশ যাত্রার স্মরণে কলকাতায় কসমোনটিক্স ডে উদযাপন, রাশিয়ান কনসুলেটের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সমাধানের জন্য নেওয়া হচ্ছে আইনি পরামর্শ, আলোচনা থেকে বেরিয়ে জানালেন ব্রাত্য

'আমাদের অফিসারকে ভয়ঙ্কর ভাবে মারা হয়েছে', কসবা ঘটনা নিয়ে কমিশনার মনোজ ভার্মা

খোলা আকাশের নিচে সেলুলয়েড: নাকতলার ওপেন এয়ার সিনেমা উৎসবের এক ব্যতিক্রমী গল্প

সোশ্যাল মিডিয়া