বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Kaushik Roy | ২১ মে ২০২৪ ১৭ : ০৪Kaushik Roy
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বসিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার পরেই সন্দেশখালি যাবেন মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার বসিরহাটে দলীয় প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচারে এসে জানালেন তিনি। সেইসঙ্গে সন্দেশখালি নিয়ে আক্রমণ হানলেন বিজেপিকে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি'র অভিযান এবং সেখানে ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই গোটা বাংলার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি এবং ভেড়ি দখলের পাশাপাশি এলাকায় কয়েকজন তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। শাহজাহান ও তার শাগরেদদের বিরুদ্ধে জোর করে ভেড়িতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি দখলের অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকী কয়েকজন তৃণমূল নেতার বাড়ি আক্রমণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইকে সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়।
বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম, প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে। সেইসঙ্গে প্রশ্নও তোলা হয় কেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে একবার সন্দেশখালি আসছেন না। এদিন বসিরহাটের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন তিনি তাঁর দলীয় প্রার্থী জেতার পরেই সন্দেশখালি যাবেন। এর পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মাছের ভেড়ি নিয়ে রাজ্যের নতুন পদক্ষেপের কথাও ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মাছের ভেড়ি নিয়ে নতুন পলিসি তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে উপকৃত হবেন মৎস্যচাষীরা। এদিনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, সন্দেশখালির মা-বোনেদের সঙ্গে যা ঘটেছে তার জন্য তিনি অত্যন্ত দুঃখিত। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, মা-বোনেদের সঙ্গে অসম্মানের খেলা যেন কেউ না খেলে। একইসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদির আমলেই দেশে সবচেয়ে বেশি অত্যাচার করা হয়েছে মহিলাদের ওপর। বাংলায় মহিলাদের ওপর যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে তবে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কেষ্ট-বিষ্টু, রাম বা রহিম কাউকেই ছাড়া হয় না। এদিন বারাসতে দলীয় প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনেও একটি সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। ওই সভা থেকে তিনি জানান, বিজেপির থেকে ধর্ম তিনি শিখবেন না বা সার্টিফিকেটও নেবেন না।