শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Pallabi Ghosh | ১১ মে ২০২৪ ২০ : ০২Pallabi Ghosh
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে শনিবার ঠান্ডা লস্যি খেয়ে প্রচারে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান।
গত ১০ মার্চ কলকাতাতে তৃণমূলের "জনগর্জন" সভাতে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার কয়েকদিন পর বহরমপুর শহর থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন ইউসুফ। সেদিন তাঁকে বহরমপুরের মানুষদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য টেক্সটাইল কলেজের মোড়ে বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলার তাবড় নেতারা। এরপর ভাগীরথী নদী দিয়ে বয়ে গেছে বহু জল। রাজনীতিতে আনকোড়া ইউসুফ গত প্রায় দু"মাসে চষে ফেলেছেন নিজের লোকসভা এলাকার অসংখ্য গ্রাম। করেছেন একাধিক নির্বাচনী জনসভা। জনসংযোগ বাড়াতে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে তুলেছেন দেদার সেলফি, বিলিয়েছেন অটোগ্রাফ।
শনিবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনের শেষ বেলায় বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জির সঙ্গে হুড খোলা গাড়িতে চেপে বহরমপুর শহরের বুকে দাপিয়ে প্রচার করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান।
আজ দুপুরে বহরমপুর শহরের কুঞ্জঘাটা মোড় থেকে শেষবারের মতো চব্বিশের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ইউসুফ। হুড খোলা গাড়ি করে নাড়ুগোপাল মুখার্জির সাথে তিনি গোরাবাজার পর্যন্ত যান। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের সদস্য তথা তৃণমূল প্রার্থীকে এক ঝলক দেখার জন্য বহরমপুর শহরের রাজপথের দু"পাশে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন।
আজ কুঞ্জঘাটা এলাকায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করার সময় স্থানীয় একটি দোকান থেকে ইউসুফ ছোট মাটির ভাড়ে এক কাপ লস্যি নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চেপে বসেন। এরপর ইউসুফের গাড়ি বহরমপুর শহরে যত এগিয়েছে ততই মানুষের ভিড় বেড়েছে। নির্বাচনী প্রচারের একেবারে শেষ লগ্নে ইউসুফ পৌঁছে যান শহরের একটি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে কচিকাঁচাদের সাথে হাত মিলিয়ে তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথাও বলেন ইউসুফ।
নাড়ুগোপাল মুখার্জি বলেন, "বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের জয় এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। পাঁচ দফাতে অধীর চৌধুরী সাংসদ থাকলেও বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ তাঁর হাত ধরে উন্নয়নের কোনও স্বাদই পাননি।"
তিনি বলেন, "আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি তৃণমূল সরকারের আমলে মহিলারা "লক্ষ্মীর ভান্ডার" পেয়েছেন, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজ্য সরকার "স্বাস্থ্য সাথী" প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। মহিলারা "কন্যাশ্রী"র মত প্রকল্পের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের আরও একাধিক প্রকল্পের সুবিধা সমস্ত স্তরের মানুষ পেয়েছেন।"
নাড়ু গোপালবাবু বলেন, "উন্নয়নের নিরিখে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চেয়েছি। আমরা আশাবাদী বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হবেন।"