শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | TRIPURA: ত্রিপুরায় কমিশন ভোট-কর্মীদেরও সুরক্ষা দিতে পারেনি,অভিযোগ

Sumit | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯ : ২৭Sumit Chakraborty


সমীর ধর,আগরতলা: ভোট শেষ ত্রিপুরায় ! কিন্তু নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে কতটা সফল ? এ প্রশ্ন এখন মুখে মুখে। ভোটারদের অধিকার সুরক্ষা করা দূরে থাক্, অভিযোগ, নিজের কর্তব্যরত আধিকারিকদেরও সুরক্ষা দিতে পারেনি কমিশন ! 
শুক্রবার পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনের ভোটে কোথাও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সামনেই বিজেপি-র জেলা সভাপতির হাতে চড় খেয়েছেন খোদ প্রিসাইডিং অফিসার। কোথাও বুথের ভেতরে বিজেপি বিধায়কের নির্দেশে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টকে "বরখাস্ত" করে নতুন নজির গড়েছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ! কোথাও মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের বুথে বুথে বেআইনিভাবে ঢুকে ভোটারদের এবং কর্তব্যরত ভোটকর্মীদের চমক-ধমক দিয়েছেন আবার কোথাও ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও-কে "শাস্তি" হিসাবে প্রখর রোদে আড়াই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেছেন শাসক দলের বিধায়ক !
ভোট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘন্টা কেটে গেছে। ঘটনাগুলোর ভিডিও,খবর এবং লিখিত অভিযোগের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলেও, নির্বাচন কমিশন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি একটি ক্ষেত্রেও।
এটা ঠিক, পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আসনের ভোটে শাসক বিজেপি দলের বিরুদ্ধে যেভাবে বেপরোয়া রিগিং, বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের তরফে উঠেছে, পূর্ব আসনের ক্ষেত্রে ততটা ওঠেনি। বরং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরির ভাষায়, "ফলাফল যা-ই হোক, পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রের ৩০ বিধানসভা ক্ষেত্রেই শাসক জোটের সব আক্রমণ হুমকি অগ্রাহ্য করে মানুষের ভোটদানের যে আগ্রহ দেখা গেছে, তাকে আমরা কুর্নিশ করি। এটা গণতন্ত্রের জয়।" অর্থাত্, পূর্ব আসনে তাঁর দলের প্রার্থী জিতবেন এটা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না জিতেন। আশঙ্কার কারণ হিসেবে বললেন, খোয়াই জেলার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রকে বেছে নিয়ে ব্যাপক রিগিং করেছে শাসক বিজেপি-আইপিএফটি-তিপ্রা মথা জোট। দক্ষিণ জেলার জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথে বুথে ঢুকে আইপিএফটি-র মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বিরোধী এজেন্টদের হুমকি দিয়েছেন বলে কমিশনের কাছে অভিযোগ করে জিতেনবাবু বলেন, মন্ত্রী এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারই নন ! ঋষ্যমুখ,বিলোনিয়াতেও জোর জবরদস্তি হুজ্জতি করেছে ওরা।ধর্মনগরের বাগপাশা বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তর হুরুয়ায় বিজেপি-র জেলা সভাপতি কাজল দাস দলবল নিয়ে বুথে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারকে সিআরপিএফের সামনেই টেনে হিঁচড়ে বাইরে এনে সপাটে চড় কষিয়ে গণপিটুনির উদ্বোধন করেন বলে অভিযোগ। পাবিয়াছড়ার সহকারী রিটার্নিং অফিসার তথা কুমারঘাট মহকুমার এসডিএম এসএন চাকমা-র কাজই ছিল স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী ভগবান দাসের সঙ্গে বুথে বুথে যাওয়া। ১৫ নম্বর বুথে ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছিলেন নন্দকিশোর দত্ত। বিধায়ক ঢুকেই সঙ্গী এআরও-কে নির্দেশ দেন, একে এখুনি বহিষ্কার করুন,এর বিরুদ্ধে অনেক অপরাধের মামলা রয়েছে। নন্দকিশোর প্রতিবাদ জানালেও তাকে এআরও-র নির্দেশে জোর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়া হয়। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ গেলে তিনি জানান, এআরও এটা করতে পারেন না। বিকেলে এক বিএলও-কে নন্দকিশোরের বাড়িতে পাঠিয়ে তিনি "স্বেচ্ছায় বুথ ত্যাগ করেছেন" বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি। এরপর ? জিতেনবাবু জানান, তিনি কমিশনকে চিঠি লিখে সব জানিয়েছেন।
ভোট গণনা অবধি ভোট-বোঝাই ইভিএমগুলোর প্রায় ৪০ দিনের ঘরবন্দি দশা শুরু। বিজেপি দুই আসনেই জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। তাতেও বিরোধী দলের কর্মীদের ঘরবাড়ি দোকানপাটে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনার খবর আসছে, প্রতিদিন।







বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



04 24