বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Reporter: প্রীতি সাহা | লেখক: Kaushik Roy ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ : ২৫Kaushik Roy
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভোটের আবহে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সোমবার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন সকাল থেকেই নজর ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তের দিকে। ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল আদালত। এক ধাক্কায় বাতিল প্রায় ২৬ হাজার চাকরি। আর ভোটের আবহে আদালতের এই সিদ্ধান্তের জেরে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষাকর্মীদের অনেকেরই ভোটের কাজে নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল। চাকরি বাতিল হলে সেক্ষেত্রে তাদের ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে নিযুক্ত করতে পারবে না কমিশন। যার জেরে চিন্তার ভাঁজ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। তবে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দেশের শীর্ষ আদালত যদি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় তবে পুনরায় ভোটের কাজ করতে পারবেন চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীরা।
তবে মামলা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দিকেই চলে এলে ফের চিন্তা বাড়বে কমিশনের। প্রথম দফার নির্বাচন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হতে চলেছে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে অনেকেরই ভোটের ডিউটি রয়েছে ওই দিন। সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে হলে বুথে বুথে কর্মীরা সংখ্যা বাড়াতে হবে কমিশনকে। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলেঅতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানান, "আমাদের ভোটকর্মীদের বেশ কিছুটা অংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা আছেন। কিন্তু ভোটকর্মীদের ২০-২৫% রিজার্ভ থাকে। ফলে তা দিয়ে আমরা ভোট করাতে পারব। রিজার্ভ ফোর্সে থাকা ভোটকর্মীদের ডিসি অফিসে রিপোর্ট করার চিঠি চলে গিয়েছে। তাঁরা ডিসি অফিসে চলে যাবেন। ভোটের ডিউটি বন্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিজার্ভ ভোট কর্মী দিয়ে রিপ্লেস করা হবে।"