বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ : ৫৪Riya Patra
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় দু"বছর লাগল মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিতর্কিত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের "শাপমুক্ত" হতে। প্রকাশ্য মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর তিরষ্কার শোনার পর থেকে শুরু করে ফের তাঁর মুখ থেকে প্রকাশ্যে হুমায়ুনের প্রশংসা শোনা গেল প্রায় দু"বছর পর। আর তাই আজকের দিনটিকে "স্মৃতির মনিকোঠায়" রেখে দিতে চান তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন। হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে বরাবরই বিড়ম্বনার মধ্যে থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর ২০১২ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন হুমায়ুন। এরপর কখনও নির্দল, কখনও বিজেপি, তারপর কংগ্রেস হয়ে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন হুমায়ুন। মাঝে মধ্যেই তাঁকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধাচারণ করতে দেখেছেন রাজ্যবাসী। এমনকি এবারের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরও তিনি প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছিলেন ইউসুফ পাঠানকে তাঁর প্রার্থী হিসেবে পছন্দ নয়।
গত প্রায় দু"বছর আগে নুপুর শর্মা ইস্যুতে যখন দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল সেই সময়ে দুর্গাপুরের একটি সভাতে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে হুমায়ুন কবীরের সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেই সময় শক্তিপুরে হুমায়ুনের নিজের বাড়ির এলাকায় একটি সংঘর্ষের ঘটনায় হুমায়ুনের মদত রয়েছে বলে প্রকাশ্যই তৃণমূল বিধায়ককে ভর্ৎসনা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপর হুমায়ুনের বাড়ির পাশ দিয়ে ভাগীরথী নদী দিয়েও অনেক জল গড়িয়েছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন," হুমায়ুন কাজের ছেলে। তবে একটু কথা বেশি বলে।" দলের সকলকে নিয়ে ভাল কাজ করার জন্য আজ মমতা ব্যানার্জি দলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারেরও প্রশংসা করেন।
প্রায় দু"বছর পর আজ দলের সুপ্রিমোর কাছে এহেন প্রশংসা শোনার পর নিজেকে যথেষ্ট ধন্য মনে করছেন হুমায়ুন। আর তাই তিনি পুরনো দিনের কথা মনে রাখতে চান না। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে নিজের প্রশংসা শোনার পর হুমায়ুন আজ বলেন,"যাঁরা আমার রাজনৈতিক উত্থানের বিরোধী। যাঁরা আমার ভালো দেখতে পারেন না, সেই সময়ে তাঁরাই আমার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু ভুল কথা বুঝিয়েছিলেন। তবে আমার নাম চিরকালই মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয়ে রয়েছে।" হুমায়ুন আরও বলেন,"যে প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী আমার নাম করেছিলেন সেই ঘটনার সময় আমি মুর্শিদাবাদ জেলাতেই ছিলাম না। হুগলিতে একটি কাজে ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর সেদিনের কথায় কিছুটা কষ্ট পেলেও আজ তিনি যেভাবে আমার নাম নিয়ে প্রশংসা করেছেন তাতে আমি আপ্লুত। "