শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৮ : ১২Riya Patra
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেবের সমর্থনে ঘাটালে রোড শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। রোড শো শেষের বক্তব্যে দেবকে পাশে নিয়ে উঠে এল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গ। বুঝিয়ে দিলেন, ঘাটালে ভোট ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে সামনে রেখে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের স্বার্থে ভোট। বললেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ঘোষণা, ২০১৭-১৮ থেকে যাঁরা আবাসের জন্য ঘুরছেন, যেখান থেকে, বিধানসভা, পঞ্চায়েত এলাকা বা পুরসভা আপনারা আমাদের হাত শক্ত করবেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনকারীরা পেয়ে যাবেন প্রথম কিস্তির টাকা। বাংলার সরকার দেবে সেই টাকা।
অভিষেক বললেন, বিজেপি নেতারা এলাকায় ভোট চাইতে গেলে তাঁর হয়ে দুটি মাত্র প্রশ্ন করতে। প্রথম প্রশ্ন, সেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। নরেন্দ্র মোদি ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে কেন্দ্রীয় সরকারের যে ৬০ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কেন দেওয়া হয়নি? দ্বিতীয় প্রশ্ন, কলকাতায় অমিত শাহের নেতৃত্বে মেদিনীপুরের বীর সন্তান বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভাঙা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? ঘাটালে দাঁড়িয়ে বারবার তিনি মনে করলেন বিদ্যাসাগরের কথা। কটাক্ষ করে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, "এই বিদ্যাসাগর না থাকলে নিজের নাম লিখতে পারতেন, লিখতে পারতেন "অব কি বার ২০০ পার, ৪০০ পার?"
দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির কৃষকদের চোখে জল কেন? প্রধানমন্ত্রীর পুরনো কথা মনে করিয়েই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন।
দেবের অভিমান, না হওয়া কাজ নিয়ে এদিন মুখ খোলেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগের তীর কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। অভিষেক এদিন বলেন, তিনি দেবকে আগেই বলেছিলেন, কেন্দ্রের থেকে আশা না করতে। অভিষেকের কথায়, " যাঁরা মানুষের বাড়ির টাকা বন্ধ করে রাখে, গরীব শ্রমিকের টাকা আটকে রাখে, তারা কোনওদিন কৃষকের স্বার্থে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবে না।" এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, প্রতিশ্রুতির কথা এদিন তুলে ধরেন তিনি। অভিষেক সাফ বলেন, "মমতা ব্যানার্জি দেবকে পাশে নিয়েই ঘোষণা করেছেন, এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রের তরফ থেকে সদুত্তর না এলে, কারও দয়া দাক্ষিণ্য নয়, যা টাকা লাগবে তা মা মাটি মানুষের সরকার দেবে।" অভিষেক বলেন এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের গ্যারান্টি। তারপরেই অভিষেক বলেন, " আজ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করে দেখাব।" একশো দিনের কাজের টাকার বঞ্চনার প্রসঙ্গও এদিন ফের তুলে ধরেন অভিষেক। বাংলার সরকার যে রাজ্যের মানুষের জন্য বিকল্প অর্থের ব্যবস্থা করেছে, সেকথাও বলেন অভিষেক। লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে অভিষেক বোঝান, মমতা ব্যানার্জির সরকার যদি বছরে ২৫ হাজার কোটি খরচ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে পারে দিল্লির সাহায্য ছাড়া, তাহলে ১৫০০ কোটি খরচ করে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করত পারবে না কেন? অভিষেক বলেন, "আগামীর ভোট প্রতিবাদের ভোট, প্রতিশোধের ভোট, প্রতিরোধের ভোট।" ইডি সিবিআই প্রসঙ্গও তুলে আনেন বক্তব্যে। বলেন, দেবকে যেদিন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হল, তার পরের দিনই ইডি ডেকে পাঠাল দিল্লিতে। এনআইএ প্রসঙ্গেও এদিন সরব হন অভিষেক। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বলেন, "আমার দপ্তরে এসেছিল ৬-৮ মাস আগে। ঢুকতে দিইনি। তারও সিসিটিভি ফুটেজ আছে।"