বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Sumit | ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৯ : ৪৬Sumit Chakraborty
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলায় ইডির উদ্ধার করা টাকা বিলি করা হবে বাংলার মানুষদের মধ্যে। চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজেয়াপ্ত এই ৩ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করতে নেওয়া হচ্ছে আইনি পরামর্শ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। বুধবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়-এর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় এই দাবি করেছেন তিনি। যা বিরোধীদের চোখে "ভাঁওতা" বলেই মনে হয়েছে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এবিষয়ে একযোগে মোদির সমালোচনা করেছে বাম ও কংগ্রেস দল।
রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও উত্তর কলকাতার কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যকে ভোটের আগে একটি "গিমিক" বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।
আদালতের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিষয় নিয়ে কীভাবে এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায়? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল ও বামেরা।
সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবিধান বা আইন ভুলে গেছেন কিনা আমি বুঝতে পারছি না। ইডি তদন্ত করেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেবে কী হবে। সুপ্রিম কোর্টের উর্দ্ধে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলার কে যে ওই টাকা এই খাতে ব্যয় করা হবে। ২০১৪ সালে সেই ১৫ লক্ষ টাকার গল্প কি দেশের জনগণ ভুলে গেছেন বলে তিনি ভাবছেন? নতুন করে আবার একটা ৩ হাজার কোটি টাকার গল্প নামালেন। ইডি তো এখন পর্যন্ত ৩ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারই করেনি! যদিও বা উদ্ধারই করে তবে প্রধানমন্ত্রী কি তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী আমার আপনার মধ্যে বিলি করতে পারে? সেই অধিকার কি তাঁর আছে? ভোটের আগে বাংলার মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য আবার একবার মিথ্যা এবং শঠতার আশ্রয় নিচ্ছেন। বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করবেন এবং প্রকৃত সৎ ও বামপন্থীদের পাশে থাকবেন।"
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, "সম্পূর্ণ ভাঁওতা। প্রথমত টাকা দেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই, দ্বিতীয়ত দিতেও পারবেন না। তিনি বলেছেন পরের সরকার বা নতুন সরকার গঠন হলে দেখব। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি এই সরকারের সময় সেটা করেননি কেন? তিনি ভবিষ্যতের কোর্টে খেলে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন নতুন আইন আনার চেষ্টা করব। এতদিন করেননি কেন? সবচেয়ে বড় বিষয় হল ইডি অ্যাটাচ করেছে বলে আমি বিতরণ করতে পারব বিষয়টি কিন্তু এত সহজ নয়। এটা একটা বিচারাধীন বিষয়। যতক্ষণ মামলা চলছে ততক্ষণ বিলি বা বিতরণ কোনওভাবেই সম্ভব নয়।"