‘কী আর রান্না করব? একমুঠো চালে দুটো আলু দিয়ে দেব’, এই আলু-ভাতে, কিংবা ভাতে-ভাত বহু মানুষের জন্য সহজ-শান্তির খাবার। কেউ কেউ আলু সেদ্ধ তেল-লঙ্কা দিয়ে মেখে শুধু ভাত নয়, মুড়ি-রুটির সঙ্গেও খান।
2
9
অনেকে আবার আলু সেদ্ধ না খেলেও, আলু ভাজা, আলু পোস্ত, আলুর চচ্চড়ি থেকে শুরু করে রোজকার পাতে নানাবিধ আলুর রান্না রাখেন। বিদেশে আবার এখানকার আলু ভাজাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলু সেদ্ধ স্ম্যাশড পোটাটো। তাছাড়া নানাবিধ মুখরোচক খাবার। সাদা আলুর সঙ্গে মিশে যায় সাদা চিজ।
3
9
এর অন্যতম কারণ অবশ্যই আলু সহজলভ্য। দাম নাগালের মধ্যে। কিন্তু প্রতিদিন আলু খাওয়া কি শরীরের জন্য ভাল? নাকি স্বাদ মেটাতে গিয়ে অজান্তেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ?
4
9
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় রোজ আলু খাওয়ার কারণে বেড়ে যেতে পারে শরীরের ওজন। বিশেষ করে ঝোঁক যদি হয় ভাজা আলু, কিম্বা প্রসেসড খাবারের দিকে। তাতে ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট থাকে বেশি পরিমাণের।
5
9
আলুর কারণে বাড়তে পারে ব্লাড সুগার। আলুর মধ্যে থাকে উচ্চ গ্লাইকেমিক ইনডেক্স। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা মধুমেহর রোগী, তাঁদের জন্য বেশ ক্ষতিকারক আলু খাওয়া।
6
9
অনেকেই আলুর নানাবিধ পদ খান তরকারি হিসেবে। কিন্তু অন্যান্য শাক-সবজির পরিবর্তে কেবল আলু খাওয়া, শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট করে।
7
9
আলুর মধ্যে থাকে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ। রোজদিন আলু খাওয়ার কারণে গোলমাল হতে পারে হজমেও।
8
9
সমীক্ষার তথ্য, বেশিপরিমাণ আলু ভাজা খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা।
9
9
আলুতে রয়েছে বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম।পটাশিয়াম শরীরে প্রয়োজনীয়, কিন্তু তা বেশি মাত্রায় হলে, ক্ষতি করে কিডনির।