শীতকালে খুশকি দূর হবে, চুল পড়া বন্ধ হয়ে ফিরবে জেল্লা, এইসব খাবার রোজ খেলেই চুল হবে প্রাণবন্ত

img

শীতকালে চুলের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। এই সময়ে ধুলোবালি, দূষণের প্রভাব থাকে তুলনামূলক বেশি। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমতে শুরু করে। তাই স্ক্যাল্পে, চুলে এবং ত্বকেও তার প্রভাব পড়তেই থাকে। স্ক্যাল্প ও চুল তার প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। শীতে চুল পড়াও বাড়ে। রুক্ষ স্ক্যাল্পে চুলের গোড়া অনেক দুর্বল হয়ে যায়। তাই এই সময়ে চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারে শুধুই যে চুলের ক্ষতি হয় তা নয়, বরং একটি সঠিক হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে চলাও হয় না। তাই চুলের স্বাস্থ্যকে বজায় রাখতে শুধু শীতকালে নয়, তার যত্ন করুন সারাবছরই। রইল কিছু খাবারের সন্ধান যা রোজ ডায়েটে রাখলে খুশকি দূর করবে, চুল পড়া বন্ধ হবে এমনকি নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রেও ভীষন কার্যকরী

img

মেথি- চুল ভাল রাখতে গেলে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন। মেথির মধ্যে রয়েছে লেসিথিন নামক একটি উপাদান, যা চুল এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল ঝরে পড়াকে প্রতিরোধ করে। অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান খুশকির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি বা র‌্যাশের সমস্যা হলেও তা কমিয়ে দিতে পারে মেথি। মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত।ছেঁকে নিয়ে সেই জল স্প্রে বোতলে ভরে সকালে চুলে লাগাতে পারেন।

img

সূর্যমুখী ফুলের বীজ: সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ যা মাথার স্কাল্পে অক্সিজেন সাপ্লাই করে।এতে চুলপড়া বন্ধ হয় ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। কপারের উপাদান চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে। নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ফুটিয়ে সেই তেল মাথায় মাখতে পারেন। চুলে গোড়া মজবুত হবে। তাছাড়াও মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই তেল।

img

কুমড়োর বীজ: কুমড়োর বীজে ভিটামিন এ, বি এবং সি, আয়রন, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ফসফরাসের মতো প্রচুর প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপযোগী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং স্ক্যাল্পকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায় এবং চুল পড়া ও স্প্লিট-এন্ডের সমস্যা দূর করে। ব্রেকফাস্টে স্মুদি, ওটস বা সিরিয়ালসের সঙ্গে এই বীজ খেতে পারেন। তাছাড়া কুমড়োর বীজের তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাজারচলতি অনেক ধরণের কুমড়োর বীজের তেল এখন সর্বত্রই পাওয়া যায়।

img

খেজুর: চুলের যত্নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে খেজুর। খেজুরে আয়রন এবং ভিটামিন সি রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। চুলের জেল্লা বজায় রাখে খেজুর। খেজুরে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ ও কপার। যা চুলকে পুষ্টি জোগায়। সারাদিনের যে কোনোও সময় রোজ দুটি খেজুর খেলেই চুলের যত্ন সম্পূর্ণ হবে।

img

আমলকী: আমলকিতে আছে ফাইটোৎনিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল। যা আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলকে মজবুত রাখার পাশাপাশি কন্ডিশনিংও করে। আমলকিতে ৮১.২ শতাংশ ময়শ্চার আছে। তাই রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে এই আমলকি বেশ কার্যকরী। স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার জন্যে আমলকির রস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও পুষ্টির জোগান দেয়। চুলের গোড়া মজবুত করে ও ফেরায় প্রাকৃতিক জেল্লা। আমলকীর রস খালি পেটে বা নুন মাখিয়ে খেলে উপকার পাবেন।