কুমিরের চোখে ‘কান্না’ নয়, রয়েছে মানিয়ে নেওয়ার কোন শক্তি
Sumit Charkaborty
শনিবার, 19 এপ্রিল 2025
1
10
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে কুমির। এরা একেবারে ডাইনো যুগ থেকে রয়েছে। তবে এটা অনেকেই ভেবে পান না কীভাবে এত যুগ ধরেও নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রেছেছে এই প্রাণীটি।
2
10
ওকলাহামা বিশ্বভারতীর একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে এরা বহু যুগ থেকে পৃথিবীতে রয়েছে তার প্রধান কারণ হল এদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। সেটাই এদের সবথেকে বড় শক্তি।
3
10
বর্তমান সময়ে তিন ধরণের কুমির দেখা যায়। এদেরকে ক্রোকোডাইল, অ্যালিগেটর এবং ঘড়িয়াল নামে ডাকা হয়। এরা সকলেই প্রায় ২৩০ মিলিয়ন যুগ ধরে বেঁচে রয়েছে।
4
10
এই প্রাচীন প্রাণীটি প্রতি যুগের সঙ্গে নিজেকে বদলে নিয়েছে। পরিবেশ যেমন হোক না কেন সেইমতো নিজেদেরকে তৈরি করে নিয়েছে।
5
10
গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে কুমিরের খাবারের কোনও বিচার নেই। নিজেকে সুস্থ এবং বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে এরা সবধরণের খাবার খেতে পারে। অন্য প্রাণীরা যেখানে পিছিয়ে থাকে সেখানে এরা অনেকটা এগিয়ে থাকে।
6
10
পৃথিবীতে যদি যুগের পর যুগ ধরে রাজত্ব করতে হয় তাহলে সেই প্রাণীকে কুমিরের মতো ক্ষমতা এবং বুদ্ধি রাখতে হবে। তাহলেই সে পৃথিবীতে শাসন করতে পারবে।
7
10
কুমিরের যুগের সবথেকে শক্তিশালী প্রাণী ছিল ডাইনোদের দল। তবে কালের স্রোতে তারা হারিয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর বদলের সঙ্গে নিজেদেরকে তারা মানিয়ে নিতে পারেনি। তবে সেই কাজটি অতি সহজেই করেছে কুমির।
8
10
কুমিরের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তারা জলে এবং স্থলে উভয় দিকেই বিচরণ করতে পারে। তাই জলে যখন সমস্যা হয়েছে তারা স্থলে গিয়েছে। স্থলে বিপদ দেখলে তারা জলের নিচে গিয়েছে।
9
10
গবেষণা থেকে মনে করা হচ্ছে প্রাচীন যুগে কুমিরের আকার অনেকটা বড় ছিল। তবে সেখান থেকে তার বিবর্তিত হয়ে আকারে ছোটো হয়েছে। এরফলে তারা অতি সহজেই মানিয়ে নিতে পেরেছে।
10
10
শক্তি এবং মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বিচার করলে কুমিরের বিকল্প নেই। নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে কুমির সব কাজ করতে পারে। প্রয়োজনে নিজের থেকে বড় আকারের প্রাণীর সঙ্গেও লড়তে পারে।