These foods help to overcome iron deficiency in body These foods help to overcome iron deficiency in body

শরীরে আয়রনের ঘাটতি? কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ ছাড়ুন, নিয়মিত এই সব খাবার খেলেই ছুঁতেও পারবে না রক্তাল্পতা

img

আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরে যে কোনও পুষ্টির ঘাটতি হলে উপসর্গ দেখা যায়। হানা দেয় বিভিন্ন রোগভোগ। তেমনই আয়রনের ঘাটতির অন্যতম সমস্যা হল রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া। রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে তাকে মূলত অ্যানিমিয়া বলা হয়। হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত এক প্রকার প্রোটিন, যার মধ্যে আয়রন এবং ট্রান্সপোর্টস অক্সিজেন থাকে। শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।যার জন্য ওষুধই একমাত্র সমাধান নয়। বরং রোজের ডায়েটে বেশ কিছু খাবার রাখলে শরীরে সঠিক মাত্রায় আয়রনের পরিমাণ বজায় থাকে।

img

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। দেহের সমস্ত কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব থাকে হিমোগ্লোবিনের হাতে। শরীরে আয়রনের অভাব হলে তখনও হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ব্যাহত হয়। পরিসংখ্যান বলছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি রক্তাল্পতায় ভোগেন।

img

শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে বিটের জুড়ি মেলা ভার। বিটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে বিট এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।

img

আয়রনের ঘাটতি মেটাতে খান কুলেখাড়া এবং হেলেঞ্চা এই দুই ধরনের শাক। হিমোগ্লোবিন সঠিক মাত্রায় বজায় রাখার জন্য এই দুই শাকের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও নিয়মিত থোড়, মোচা খেলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কখনই কম হবে না।

img

বেদানার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি। এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। একগ্লাস ইষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে বেদানা মিশিয়ে খান। এতেও শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়বে।

img

পালংশাকে রয়েছে ভরপুর আয়রন। বাহারি পালং পনির কিংবা পালংশাকের তরকারি, যে কোনওভাবেই পালংশাক খেলে উপকার মিলবে।

img

ভরপুর প্রোটিনের সঙ্গে মুসুর ডালে রয়েছে আয়রনও। তাই নিয়মিত মুসুর ডাল খেতে পারেন। শুধু মুসুর নয়, বিভিন্ন ধরনের ডাল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান। এতে আয়রনের সঙ্গেই মিটবে অন্যান্য পুষ্টির চাহিদাও। তবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে মুসুর ডাল কম খাওয়া উচিত।

img

আম, আপেল, পেয়ারা, লেবুর মতো ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। যা শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বেদানায় আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। রোজ এই ফল খেলেই রক্তাল্পতার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

img

চিংড়ি, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এই ধরনের মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

img

কাজু, আমন্ড, আখরোট, কিশমিশ, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুটস রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রোজের ডায়েটে এইসব বাদাম ও শুকনো ফল রাখলে কমে একাধিক রোগের ঝুঁকিও।