Rare disease: 21 year old woman suffers from Persistent Genital Arousal Disorder Rare disease: 21 year old woman suffers from Persistent Genital Arousal Disorder

শিরশির করে যোনিপথ! একের পর এক অর্গাজমের পরেও শান্ত হয় না তরুণীর শরীর! কারণ জানলে চোখ কপালে উঠবে

img

আজকাল ওয়েবডেস্ক: যা অধিকাংশ মানুষের কাছে সুখের অনুভূতি, তা আমেরিকার ব্যারিংটনের বাসিন্দা ২১ বছরের এক তরুণীর কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তরুণীর নাম স্কারলেট কেটলিন ওয়ালেন। ছোট থেকেই তিনি এমন এক বিরল রোগে আক্রান্ত যা বিরলের থেকেও বিরলতম।

img

১। ঠিক কী হয়েছে তাঁর? দ্য সান দিয়েগো সেক্স্যুয়াল মেডিক্যাল ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী পারসিস্টেন্ট জেনিটাল অ্যারাউজাল সিনড্রোম নামের একটি বিরল রোগে আক্রান্ত তরুণী।

img

২। কী এই রোগ? পারসিস্টেন্ট জেনিটাল অ্যারাউজাল সিনড্রোম আগে পারসিস্টেন্ট সেক্সুয়াল অ্যারাউজাল সিনড্রোম নামে পরিচিত ছিল। এই রোগে কোনও প্রকার যৌন উদ্দীপনা ছাড়াই অথবা সামান্য উদ্দীপনায় একজন ব্যক্তি দীর্ঘস্থায়ী এবং অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন।

img

৩। এই উত্তেজনা কয়েক ঘণ্টা, কয়েক দিন এমনকী কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই রোগে যৌনাঙ্গের উদ্দীপনা অর্গাজমের পরেও কমে না। এর কারণ পিজিএএস কোনও প্রকার যৌন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত নয় এবং এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।

img

৪। লক্ষণ ও উপসর্গ: পিজিএএস-এর প্রধান লক্ষণ হল যৌনাঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অবিরাম উত্তেজনা অনুভব করা। এর সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গও দেখা যেতে পারে।

img

৫। যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি এবং স্থূলতা অনুভব করা, ক্লিটোরাল, ল্যাবিয়া, পেরিনিয়াম এবং পায়ু অঞ্চলে উত্তেজনা বা চাপ অনুভব করা, যোনিপথে পিচ্ছিলতা এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।

img

৬। এছাড়াও এই রোগে অনিচ্ছাকৃত অর্গাজম হওয়া, যৌনাঙ্গে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করা, যোনি সংলগ্ন অঞ্চলে সুড়সুড়ি লাগা, যোনি সংকোচনের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

img

৭। পিজিএএস-এর সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে গবেষকরা মনে করেন যে বিভিন্ন কারণের সংমিশ্রণে এই রোগ হতে পারে। পেলভিক অঞ্চলে স্নায়ুর সমস্যা বা অস্বাভাবিক সংবেদনশীলতা, পেলভিক অঞ্চলে রক্তনালীর অস্বাভাবিকতা বা রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি। পেলভিক ভেরিকোস (পেলভিসের ভেরিকোজ শিরা)-এর সঙ্গে পিজিএএস-এর সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

img

৮। পাশাপাশি থাকতে পারে হরমোনঘটিত কারণ। কিছু গবেষণা অনুযায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা পিজিএএস-এর লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

img

৯। কিছু ক্ষেত্রে অঙ্গগত সমস্যাও এর মূলে থাকতে পারে। যেমন টারলভ সিস্ট বা মেরুদণ্ডের গোড়ায় সিস্ট তৈরি হওয়া এবং পেরিক্লিটোরাল মাস বা ক্লিটোরাসের কাছাকাছি ফোড়া হওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

img

১০। চিকিৎসা: পিজিএএস -এর কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। মূলত লক্ষণগুলির উপশমের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। পাশাপাশি, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, মানসিক চাপ কমানো, যোগাভ্যাস, মেডিটেশন বা নিয়মিত ব্যায়াম করা সমস্যা কমাতে পারে।

img

১১। কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ বা ব্যথানাশক ওষুধও ব্যবহার করা হয়।

img

১২। স্কারলেটের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন চিকিৎসকরা। প্রথমে তাঁর যৌনাঙ্গের একাধিক পেশি বাদ দেওয়া হয়, তার পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয় সংলগ্ন অঞ্চলের স্নায়ু। সবশেষে প্রয়োগ করা হয় অ্যান্টি ড্রিপ্রেসেন্ট বা মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ।