আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শরীরে কখন যে কোন অসুখ জাঁকিয়ে বসবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। বিশেষ করে আজকাল আধুনিক জীবনযাপনে কম বয়সেই শরীরে জটিল রোগ বাসা বাঁধছে। আবার অনেককেই সর্দি, কাশি থেকে ডায়েরিয়ার মতো বিভিন্ন রোগে ঘন ঘন অসুস্থ হতে দেখা যায়। মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কারণেই সহজে হানা দেয় রোগভোগ। জেনেটিক্স যেমন ইমিউনিটির জন্য বড় ভূমিকা পালন করে, তেমনই বেশ কয়েকটি জীবনযাপনের বিষয়ও বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তেমনই বৈজ্ঞানিকভাবে ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলার সাতটি উপায় জেনে নিন-
2
10
প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েটে প্রাধান্য: একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ডায়েট শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ জোগায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
3
10
ভিটামিন সি: সাইট্রাস ফল, বেল পেপার, স্ট্রবেরির মতো খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন ইমিউন কোষের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। সর্দি কাশি থেকে শরীরের বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধ নিয়মিত খান ভিটামিন সি যুক্ত খাবার।
4
10
ভিটামিন ডি: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে সংক্রমণজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে ভাল উৎস। এছাড়াও তৈলাক্ত মাছ, দুগ্ধজাত খাবার থেকেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
5
10
জিঙ্ক: জিঙ্ক আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ ৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ক্ষত নিরাময়, ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং কোষ বিভাজনে জিঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। শরীরে জিঙ্কের মাত্রা ঠিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ ও ডাল খান।
পর্যাপ্ত ঘুম: আপনার কি ঠিক ঠাক ঘুম হয় না? রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খেতে থাকেন? তাহলে যে সাবধান হতে হবে। কারণ সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই৷ নিয়মিত অন্তত ৭ ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
8
10
শরীরচর্চা: ব্যস্ততার জীবনে সময়ের অভাব। অনেকেরই ঘণ্টার পর এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়। কিন্তু সার্বিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা অত্যন্ত জরুরি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে মোটামুটি ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে বা হাঁটলেই উপকার পাবেন।
9
10
দুশ্চিন্তা কমান: দুশ্চিন্তা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেই প্রভাব ফেলে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে মানসিক চাপমুক্ত থাকুন।
10
10
হাইড্রেডেট থাকুন- সুস্থতার জন্য জল খাওয়ার বিকল্প নেই। জলের মাধ্যমেই শরীরের সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে নিয়মিত ২-৩ লিটার জল খাওয়া অবশ্যিক।