রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

Customer puts a carrot inside rectum in a bizarre medical situation and the doctors warn about it

স্বাস্থ্য | চুরির গাজর মলদ্বারে ঢোকালো চোর! সেই গাজর পায়ুতে আটকে হুলস্থুল কাণ্ড ভরা বাজারে

নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: Syamasri Saha ১৯ মার্চ ২০২৫ ১২ : ৪২Akash Debnath


আজকাল ওয়েবডেস্ক: কখনও কখনও সত্যি ঘটনা গল্পের কাহিনিকেও হার মানায়। তেমনই একটি ঘটনার সাক্ষী রইলেন টেক্সাসের একদল শল্যচিকিৎসক। এক ব্যক্তির পায়ু থেকে আস্ত একটি গাজর বার করলেন তাঁরা! এমন বেনজির অস্ত্রোপচারের সাক্ষী হতে পেরে চমৎকৃত চিকিৎসকরাও। পিটার এডওয়ার্ডস নামের এক চিকিৎসক নিজেই গাজরের ছবি সহ ঘটনার কথা প্রকাশ করেছেন সমাজমাধ্যম এক্স-এ।

ঠিক কী ভাবে নিজের মলাশয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্যের একটি গাজর ঢোকালেন ওই ব্যক্তি? স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত একটি শপিং মার্টে। হঠাতই এক নিরাপত্তাকর্মী খেয়াল করেন, এক ব্যক্তি সবজির টাক থেকে একটি গাজর নিজের জামার ভিতরে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন। এহেন হাতসাফাইয়ের ঘটনাকে স্থানীয় ভাবে ‘শপ লিফটিং’ বলা হয়। ওই ব্যক্তির কাণ্ড দেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকেন ওই নিরাপত্তাকর্মী। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে উল্টে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শৌচাগারে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। ভেতর থেকে আটকে দেন দরজা।

শপিং মার্টের কর্মীরা বারবার দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরেও দরজা খোলেননি ওই ব্যক্তি। কিন্তু মিনিটখানেক পরেই নতুন মোড় নেয় গোটা পরিস্থিতি। আর্তনাদ করতে করতে শৌচাগার থেকে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্ত। জানান, গাজরটি লুকাতে গিয়ে নিজের পায়ুদ্বারে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন সেটিকে। কিন্তু এখন আর বেরোচ্ছে না গাজর। তাঁর যন্ত্রণা দেখে মার্টের কর্মীরাই অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন। রীতিমতো অস্ত্রোপচার করে বার করতে হয় গাজরটি। ঘটনার ছবি যিনি পোস্ট করেছেন তিনি এহেন কাজের পরিণতি নিয়ে সতর্কও করেছেন সাধারণ মানুষকে।

একই কথা বলছেন, কলকাতার শল্যচিকিৎসক সৌরভ দাসও। আজকাল ডট ইনকে চিকিৎসক জানান, “এগুলিকে চিকিৎসার পরিভাষায় আমরা বলি রেকটাল ফরেন বডি। যখন কী ধরনের জিনিস ঢোকানো হয়েছে সেটা বোঝা যায় না, তখন এক্স রে বা সিটি স্ক্যান করে দেখতে হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই ধরনের কাজ খুবই বিপজ্জনক। অনেক সময় দেখা যায় বহিরাগত বস্তুতে খোঁচা লেগে মলাশয়ের দেওয়ার ফেটে যায় বা বড় ধরনের ক্ষত তৈরি হয়। এই ক্ষত থেকে দ্রুত ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরে। অনেক সময় রোগীরা লোকলজ্জার ভয়ে হাসপাতালে আসতে চান না, ফলে দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসা করাও কঠিন হয়ে ওঠে।”


Bizarre medical conditionHealth advisoryrectum

নানান খবর

সোশ্যাল মিডিয়া