রবিবার ২৭ অক্টোবর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

রাজ্য | মৃত স্বামীকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন বেহুলা, আজও এই গ্রামে হয় বেহুলা-লখিন্দরের বিয়ে 

দেবস্মিতা | ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৬ : ৫৭Debosmita Mondal


আজকাল ওয়েবডেস্ক: রীতি মেনেই বেহুলা-লখিন্দরের বিয়ে হয় পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। এই বিয়ে উপলক্ষ্যে উৎসবে মেতেছে মঙ্গলকোটের জলপাড়া ও পাশ্ববর্তী গণপুর গ্রাম। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই উৎসব। একসপ্তাহ ধরে চলবে এই মেলা। আগামী শনিবার বেহুলা-লখিন্দরের বিয়ের প্রতীকী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই প্রাচীন প্রথা। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বেহুলা-লখিন্দরের বিয়ের অনুষ্ঠানই এই এলাকার প্রধান উৎসব বলে জানান বাসিন্দারা। তবে বেহুলা লখিন্দরের সেই বিয়ে ছিল বড় বিয়োগান্তক। কারণ মনসাদেবীর কোপে পড়ে বাসরঘরেই প্রাণত্যাগ করতে হয়েছিল নববধূ বেহুলার স্বামী লখিন্দরকে। 

 

 

মনসামঙ্গল কাব্যে আছে সেই বিয়োগান্তক কাহিনী। জালপাড়া ও গণপুর গ্রামের বাসিন্দারা মনসাদেবীর আরাধনার পাশাপাশি আজও পালন করেন বেহুলা-লখিন্দরের প্রতীকী বিয়ে। শনিবার দুই গ্রামের বাসিন্দারা মেতে উঠলেন বেহুলা লখিন্দরের বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে। এলাকাবাসীর দাবি, বেহুলার বাপের বাড়ি হল এই মঙ্গলকোটেই। তাই বেহুলা-লখিন্দরের বিবাহ অনুষ্ঠানের রীতি আজও রয়েছে। প্রাচীন রীতি মেনেই প্রাচীন একটি বটগাছের প্রতীকী বিবাহ দেওয়া হয়। আর বটগাছের চারিদিকে বিয়ের গায়ে-হলুদের সুতো বেঁধে সাত পাক ঘোরানো হয় দেবী মনসার ঘটটি। ধর্মীয় উৎসব চলে আটদিন ধরে। অষ্টমঙ্গলায় শেষ হয়। অনুষ্ঠান ঘিরে আয়োজন করা হয় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।  

 

 

পুজোর সাতদিন আগে থেকে স্থানীয় লোকশিল্পীরা মনসা মন্দিরে খোল করতাল নিয়ে মনসার পালাগান করেন। অষ্টম দিনে কোনও গৃহবধূ দেবী মনসার ঘট নিয়ে এই মন্দির থেকে গ্রামেরই আর এক মনসার থানে যান। সেখানেই রীতি অনুযায়ী পুরনো বটগাছকে সাক্ষী রেখে বেহুলা-লখিন্দরের প্রতীকী বিয়ে হয়। বটগাছের চারদিকে সাতপাক ঘুরে তারপর আবার মূল মন্দিরে চলে পুজো। পুজোয় ধুনো পোড়ানো হয়। এই ধুনো পোড়ানোর দৃশ্য দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।

 

 

মনসা মন্দিরের এক সেবাইত দয়াময় পাল জানিয়েছেন, জালপাড়া গ্রামে বহু বছর আগে একটি পুকুর থেকে একটি প্রস্তরখণ্ড পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন রাতে এক গ্রামবাসীর স্বপ্নাদেশ হয় ওই প্রস্তরখণ্ডে বিরাজ করছেন দেবী মনসা। তখন থেকেই ওই প্রস্তরমূর্তির পুজো হয়ে আসছে। যখন এই মূর্তিটি পাওয়া গিয়েছিল তখন ছিল কার্তিক মাস‌। তাই দেবীর আবির্ভাব দিবস হিসাবে কার্তিক মাসে এই পুজো হয়। গ্রামবাংলায় মনসাদেবীর পুজো বহুল প্রচলিত। তবে জালপাড়ার মনসা পুজোর রীতি একটু ব্যতিক্রমী। এলাকাবাসীর দাবি, উজানিনগর বলতে মঙ্গলকোটকেই বোঝায়। মঙ্গলকোটে এক সাধুর কন্যা ছিলেন বেহুলা। তাঁর সঙ্গেই চম্পকনগরের বণিক চাঁদ সওদাগরের কনিষ্ঠ পুত্র লখিন্দরের বিয়ে হয়েছিল। তাই এই পুজোয় বিয়ের অনুষ্ঠানের রেওয়াজ।  




বিশেষ খবর

নানান খবর

নানান খবর

বেহাল রাস্তা, খাটিয়ায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোগীকে, ভাইরাল ছবি...

পেট্রাপোল সীমান্তে মৈত্রী গেট ও যাত্রী প্রতীক্ষালয় উদ্বোধন করলেন অমিত শাহ...

জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ ...

ওয়েব সিরিজ নয় বাস্তব, প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্য রাজ্যের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি!...

১৬ ঘন্টা পর ইস্পাত আধিকারিকের দেহ উদ্ধার কারখানার লিফটের নিচে, চাঞ্চল্য এলাকায় ...

ঝুলন্ত তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, মুর্শিদাবাদে মর্মান্তিক পরিণতি প্রৌঢ়ের ...

আদিবাসীদের শিকার পরবে পাল্টা হামলা বন্য শুকরের, হাসপাতালে ভর্তি তিন ...

আরও সহজ হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য, পেট্রাপোলে নতুন প্রবেশদ্বার, উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ...

‘ডানা'য় ভাঙা ডাল সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, মৃত কিশোরের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা রাজ্যের...

রাস্তা থেকেই অপহৃত ব্যবসায়ী, উদ্ধারের পর কারণ জেনে অবাক পুলিশ ...

গভীর রাতে দুয়ারে মহকুমাশাসক, প্রশাসন পাশে আছে, খুশি বাসিন্দারা...

টানা বৃষ্টিতে থিম গলে জল, একদিন পুজো বাড়ানোর আবেদন পাণ্ডুয়ায়...

গড়বেতা থেকে হাইজ্যাক! লরি উদ্ধার হল মগড়ায়

গিয়েছে মোমো চুরি, করা হল সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাইকের ডিটেলস চেক ...

গভীর রাতে দুয়ারে মহকুমাশাসক, ‘ডানা’ মোকাবিলায় জেগে প্রশাসন...





রবিবার অনলাইন

সোশ্যাল মিডিয়া



10 24