বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Syamasri Saha | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২ : ৩৮Soma Majumder
জহুরি জহর চেনে। ঠিক সেভাবেই সঞ্জয় লীলা বনশালি চিনে নিয়েছিলেন বর্ণালী চট্টোপাধ্যায়কে। ‘সইয়া হঠো যাও...’, ‘ফুল গেন্দওয়ানা মারো...’, ‘আজাদি...’ ‘হীরামাণ্ডি’র এই তিন গানে মজেছেন শ্রোতা। ভালবাসা, শুভেচ্ছায় ভরিয়েছেন শিল্পীকে। আজকাল ডট ইনের সঙ্গে কথা বললেন তাঁর সাধনা, ভালবাসা, সঙ্গীত সফর নিয়ে। শুনলেন শ্যামশ্রী সাহা
‘হীরামাণ্ডিতে’ গাওয়া আপনার গান আট থেকে আশি গুনগুন করছে..
থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনার গায়কি বলে দেয় শুরুটা অনেক ছোট থেকে..
সাড়ে তিন বছর। যখন পাঁচ বছর বয়স তখন থেকেই গানের ব্যাপারে আমি বেশ সিরিয়াস। দুর্গাপুরে থাকতাম। কলকাতায় এসে গান শিখতাম। অত ছোট বয়স থেকেই গান ছাড়া কিছু ভাল লাগত না। খেলাধুলো করতাম না। দিনরাত গান নিয়েই থাকতাম। আমাদের পরিবারেও একটা গানের পরিবেশ ছিল। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বাবা খুব ভালবাসতেন। দাদুরা ছিলেন জমিদার। মামার বাড়িতে লক্ষ্মৌ থেকে তাবড় তাবড় সঙ্গীত শিল্পীরা আসতেন। গানের আসর বসত। বিসমিল্লাহজি, দাউদ খাঁ। ছোট থেকেই ওঁদের দেখেছি। ওঁদের কথা আবছা মনে আছে। কিন্তু ওঁদের গান-বাজনা এখনও কানে স্পষ্ট। পরিবারে সকলকেই গান-বাজনার তালিম দেওয়া হত। সেটা শখে। আমার ক্ষেত্রেই ওটা ভালবাসা হয়ে গিয়েছিল। দিদা খুব ভাল গাইতেন। সঙ্গীত এতটাই ভালবাসতেন, হারমোনিয়ামটাকে শাড়ির খুঁটের সঙ্গে বেঁধে রাখতেন।
ঠুমরি বেছে নিলেন কেন?
ছোটবেলা থেকে নানা ধরনের গান শিখেছি। ঠিক কবে থেকে জানি না, এটুকু মনে আছে যখন ষোল-সতেরো বছর বয়স, ঠুমরির প্রতি একটা টান তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এর জন্য আমার গুরু শোভা গুট্টুর, গিরিজা দেবী, পূর্ণিমা চৌধুরির অনেক অবদান।
সুরেশ ওয়াডকরের সঙ্গে আলাপ কীভাবে?
বহুদিন থেকে মুম্বইয়ে যাতায়াত। অনেক অনুষ্ঠানও করেছি ওঁর সঙ্গে। আমার কিছু ঠুমরি রেকর্ড করে রেখেছিলেন। সঞ্জয়জিকে পাঠিয়েছিলেন। উনি ফোনে সঞ্জয়জিকে আমার কথা বলেছিলেন। একদিন সকালে হঠাৎ সঞ্জয়জির ফোন পাই। ওই দিনটা স্মৃতি হয়ে থাকবে।
প্রথম সাক্ষাৎটা কেমন ছিল?
অসাধারণ। মনে হচ্ছিল অনেকদিন থেকেই পরস্পরকে চিনি। যে কোনও বিষয়ে ওঁর জ্ঞান অবাক করে দেয়। প্রচুর গান শোনেন। ঠুমরি নিয়ে উনি জানেন না এমন কিছু নেই। কথা বলতে বলতে কতটা সময় কেটে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি। তারপর ওঁর বাড়ি থেকে খাবার এল। একসঙ্গে খেলাম। একদিনের সাক্ষাতেই ওঁর আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পেরেছিলাম।
বলিউডের সেলিব্রেটিরা আপনার গান শুনে কী বললেন?
সবাই প্রশংসা করেছেন। সায়রা বানু, রেখাজি বাড়িতে ডেকে গান শুনেছেন।
রেখাজি কেন অভিনয় করলেন না, জানতে চাননি?
না। গান ছাড়া আর কোনও বিষয়ে কথা হয়নি।
আর মুম্বইয়ের সঙ্গীত পরিচালকরা কী বললেন? নিশ্চয়ই অনেক অফার আছে?
বিশাল ভরদ্বাজ, শেখরজি, সেলিম-সুলেমান সবাই প্রশংসা করেছেন। বেশ কয়েকটা হিন্দি ছবিতে গাইছি। এখনই বলতে পারব না।
এর আগে বাংলা ছবিতেও গেয়েছেন, কিন্তু ‘হীরামাণ্ডি’ জনপ্রিয়তা দিল। কতটা পাল্টেছে কাজের জগৎ?
এটা সত্যি। এখন যে লোকমুখে আমার নাম, সঞ্জয় লীলা বনশালির জন্যই। আমার কাছে একটা দিগন্ত যেন খুলে গিয়েছে। একজন বড় মানুষের সান্নিধ্যে গেলে এমনটাই তো হয়।
দুর্গাপুর থেকে কলকাতা। তারপর মুম্বই। জার্নিটা কেমন?
আমাকে না কোনও স্ট্রাগল করতে হয়নি। গান আমার কাছে তপস্যা। আত্মস্থ করেছি সঙ্গীতকে। সঙ্গ দিয়েছে ভাগ্য।
আপনার বাংলা গান কবে শুনবেন শ্রোতারা?
এখনও বাংলা গান গাইনি, ডাকও পাইনি। খুব ইচ্ছে বাংলা গান গাওয়ার।
একটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে, এখন তো রিয়্যালিটি শো হয়। প্রতিযোগী খুব তাড়াতাড়ি বিখ্যাত হয়ে যান। তারপর অনেককেই খুঁজে পাওয়া যায় না। কেন বলুন তো?
আমিও ওদের গান শুনি। আমাকে বাবা-মা, গুরুরা শিখিয়েছিলেন যতক্ষণ না শেখা শেষ হচ্ছে, প্রদর্শন কর না। খুব তাড়াতাড়ি লাইমলাইটে এলে একটা লোভ তৈরি হয়, সেখান থেকে অহংকার। তখনই সব ঘেঁটে যায়। সঙ্গীতের জগতটা খুব ডিসিপ্লিনড। সুর চরিত্র তৈরি করে। তেহজিব, লিহাজ সবটাই জানতে হয়। এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে সেটা কোথায়?
আজ আপনি অন্যরূপে, ফ্যাশন ফ্লোরে...
আমার কাছে মিউজিক যেমন, ফ্যাশনও ঠিক তেমন। একটা শিল্প। এখানেও তো প্যাশন আছে। ফ্যাশনের একটা টাইম লিমিট আছে। নতুন পরিবর্তনকে আপন করে নিতে হয়। মিউজিকের ক্ষেত্রটাও ঠিক তেমন। নতুন কিছু শেখার ইচ্ছে। আর রং আমাকে ভীষণ আকর্ষণ করে।
শাড়িই নিশ্চয়ই প্রিয় পোশাক?
একদম। ক্যারিও করতে পারি। সিল্ক খুব পছন্দের। তসরের শাড়িও ভাল লাগে। কোন অনুষ্ঠানে গাইব সেই হিসাবে রং বাছি। কৃষ্ণের গান গাইবার সময় বেছে নিই নীল রং, আর রাধা হলে রানি বা লাল। বিশ্বাস করবেন না, যখন রান্না করি মেনুর সঙ্গে টেবিলে কোন রঙের ফুল থাকবে সেটা নিয়েও ভাবি।
রান্না করতে যখন ভালবাসেন, খেতেও নিশ্চয়ই ভালবাসেন?
খুব ফুডি। তবে পরিমাণে কম খাই। চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল প্রিয় খাবার। পেট নয়, মন ভরাটা জরুরি।
সকাল থেকে রাত কীভাবে কাটে?
সূর্য ওঠার আগে সকাল হয়। সারাদিন গান নিয়েই কেটে যায়। রেওয়াজ, ক্লাস, অনুষ্ঠান। মাঝে যোগব্যায়াম।
ছোটবেলায় দুর্গাপুজো কীভাবে কাটত?
বাড়িতেই পুজো হত। পরিবারের সবাই একসঙ্গে অঞ্জলি দিতাম। খাওয়াদাওয়া করতাম। গানের জলসা হত। আত্মীয়স্বজনরা আসতেন। মহালয়ার সকালে চণ্ডীপাঠ শোনা, শিউলিফুল কুড়নো। কী আনন্দের ছিল দিনগুলো। এবার পুজোয় বিষ্ণুপুরে বন্ধুর বাড়িতে যাব। ওদের বাড়িতে পুজো হয়। তারপর রাজস্থানে ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালে গাইতে যাব।
গান তো আপনার সাধনা। এর জন্য জীবনে কী কী স্যাক্রিফাইস করতে হল?
কিছু স্যাক্রিফাইস তো করতেই হয়েছে। আমার জীবনেও অনেক চড়াই-উতরাই আছে। মেয়ে থাকে আমার সঙ্গে। ও ভাল বলতে পারবে। ওর ছোটবেলা বা বেড়ে ওঠা, অনেক কিছুই মিস করেছি।
#Durga Puja Fashion 2024 of barnali chattopadhyay#Barnali chattopadhyay#Durga Puja 2024#Durga Puja Fashion
বিশেষ খবর
নানান খবর
নানান খবর
ডায়বেটিস থেকে ওবেসিটি, কমায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়ও, শীতকালীন এই সবজিতে আর কী গুণ আছে জানুন...
শীতের এই ৫ খাবার ভিটামিনের খনি, নিয়মিত পাতে রাখলে চড়চড়িয়ে বাড়বে ইমিউনিটি...
খাবার খেতে বসে মুঠো মুঠো কাঁচা লঙ্কা খান? আদৌও কোনও উপকার হচ্ছে নাকি বাড়ছে বিপদ? জানুন সত্যিটা...
রোজ রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস? অজান্তেই কোনো বড় বিপদ শরীরে জাঁকিয়ে বসছে না তো? জানুন আসল সত্যি ...
পেট থেকে মুখের দূর্গন্ধ, সব কিছুতেই অব্যর্থ এই পাতা, কেন খাবেন জানুন ...
নিয়মিত মদ্যপানে বাড়তে পারে ওজন! সত্যি কি তাই? বিভ্রান্তি না রেখে জানুন গবেষণা কী বলছে...
জব্দ হবে ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল, শীতে মধুর সঙ্গে এই মশলা খেলেই কাছে ঘেঁষবে না সর্দি-কাশি...
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে গ্যাস্ট্রিক-সহ বহু রোগের উপশম করে, জানুন অন্য উপকারিতাও...
রাতভর পার্টির প্ল্যান? দেদার খানাপিনার পর এই ৫ নিয়ম মানলেই সকালে থাকবেন চাঙ্গা...
ক্রিসমাসে কেন লাল-সবুজ রং বেশি ব্যবহার হয়? বড়দিনে কোন রঙের কী বার্তা? আসল ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন...
পার্লারে গিয়ে ওয়াক্সিং করার সময় নেই? এই ঘরোয়া উপায়ে নিমেষেই দূর করা যাবে অবাঞ্ছিত লোম...
এক সবজিতেই ধরাশায়ী হবে সুগার ও কোলেস্টেরল। পাতে রাখলেই চিরযৌবন...
নামিদামী কোম্পানির ময়েশ্চারাইজার ভুলে যাবেন, শীতে শুষ্ক ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ব্যবহার করুন এই বাদামের ক্রিম...
পার্লারে খরচ নয়, বলিরেখা ও ট্যান দূর করতে রান্নাঘরের এইসব সস্তার জিনিসেই হবে বাজিমাত ...
প্রেগন্যান্সিতে ঘন ঘন গা গুলোচ্ছে? শুকনো কাশি হলেও বিপদ, ঘরোয়া এই আদার ক্যান্ডিতেই মিলবে স্বস্তি, জানুন কীভাবে বানাবেন...