Reporter: Syamasri Saha | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১৪ : ৫১Rahul Majumder

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সমাজমাধ্যমে বিস্তর ট্রোলড হচ্ছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। সৌজন্যে, ভুল বানান। দিবস ও ভারতবর্ষ বানানটি অভিনেত্রী লিখেছিলেন ‘দিবেস’ও ‘ভারতবর্শ’। মধুমিতার ছবির ক্যাপশনে ভুল বানান দেখে তাঁর শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। তাঁকে অভিনয়জগতের কলঙ্ক বলেও আখ্যা দেন তিনি। শুধু তাই নয়, মধুমিতার করা পোস্টটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে কড়া ভাষায় অভিনেত্রীকে নিন্দা করেন 'নগরকীর্তন' ছবির এই অভিনেতা। এবার তার পাল্টা জবাবে ঋদ্ধিকে 'বাচ্চা ছেলে' বলে আজকাল ডট ইন-এর কাছে বাগ্‌যুদ্ধ জারি রাখলেন মধুমিতা।


যদিও ঋদ্ধির উদ্দেশ্যে গতকালই মধুমিতা বলেছিলেন ‘‘আপনার শিক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলব না ঋদ্ধি। কারণ সেটা করলে আপনার পারিবারিক শিক্ষার উপর প্রশ্ন ওঠে। সেটা করতে চাই না। কারণ আপনার মা ধারাবাহিকে আমার মায়ের চরিত্রে পার্ট করেছেন।’’ আরও বলেছিলেন মধুমিতার, ‘‘আসলে একটা পোস্টে দুটো টাইপো দেখে উনি ভেবেছেন উনি আমাকে খুব চেনেন।’’ 

শুক্রবার অবশ্য খানিক আক্রমণাত্মক স্বরে 'চিনি'র অভিনেত্রী বললেন, " ঋদ্ধির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। জীবনে কোনওদিন ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। বরং বৃদ্ধি বাবা ও মা-কৌশিকদা এবং রেশমিদির সঙ্গে কাজ করেছি।‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকে রেশমিদি আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ওঁদের দু'জনের সঙ্গেই আমার ভাল সম্পর্ক। যাই হোক, ঋদ্ধির কথায় ফিরি। বাচ্চা ছেলে তো, হয়তো খুব উত্তেজিত হয়ে গিয়েছে। আমার ওই পোস্টটা দেখে ভেবেছে এই তো একটা বিষয় পেয়েছি, এবার মানুষের সামনে এটা তুলে ধরব!"


মধুমিতা আরও বলেন, " কৌশিকদা এবং রেশমিদির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকার দরুণ ঋদ্ধিকে খারাপ কিছু বলতেই পারব না আমি। আমার না সত্যিই খুব অবাক লেগেছে। আমি মেনেই নিলাম অশিক্ষিত তাহলে উকিলরা লেখার সময় যখন অনেকসময় বানান ভুল লেখেন, তখন? আবার স্কুল-কলেজে দেখতাম প্রশ্নপত্রে বানান বা কিছু ভুল থাকলে সেটা শিক্ষকরা বলে শুধরে নিতে বলতেন। তাঁরা তো শিক্ষিত। তাহলে, তাঁদেরও তো ভুল হয়”।

“আরও একটা কথা বলি, আমার তো এখন নিজেরই মানতে ইচ্ছে করছে আমি অশিক্ষিত। ঋদ্ধির এই বক্তব্যের পর বলব, যাঁরা তথাকথিত স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ পাননি আমি তাঁদের মুখ। আচ্ছা, যাঁরা কোনওদিন স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ পায়নি তাহলে কি তাঁরা নাগরিক নন ভারতের? তাঁরা কি দেশদ্রোহী? অনেক বড় বড় কথা বলেছে ঋদ্ধি...”

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যম থেকে ওই পোস্ট মুছে দিয়েছেন ঋদ্ধি।