শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Rajat Bose | ১০ আগস্ট ২০২৪ ১৪ : ২৮Rajat Bose
অতীশ সেন, ডুয়ার্স: মাটিতে নয়, বরং গাছের উপর গাছ বোনা শুরু হল জলদাপাড়ায়। মাটিতে গাছ বুনলে বন্য ও গবাদি পশুর কারণে গাছের চারা বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ বর্ষাকালে জঙ্গলে গাছ রোপণের জন্য অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। গাছ বোনার বিকল্প এই পদ্ধতিটিকে ‘ট্রি টপ প্লান্টেশন’ বলা হয়ে থাকে।
ডুমুর জাতীয় উদ্ভিদ বা ‘ফিকাস গণ’ এর উদ্ভিদ জঙ্গলে অসংখ্য জীবের জন্য ফল ও আশ্রয় প্রদান করে। ফলে এদের বনাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাতিরও প্রিয় খাবার এই সব গাছের পাতা। সাধারণত গাছ মাটিতে রোপণ করা হয়ে থাকে। সমস্ত তৃণভোজী প্রাণী, বিশেষ করে হাতিরা এই সব গাছের পাতা এবং শাখা খেতে খুবই পছন্দ করায় প্রচলিত পদ্ধতিতে এই গাছগুলি রোপণ করলে এদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি হয়ে থাকে। ‘ট্রি টপ প্লান্টেশনে’ বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ফিকাস প্রজাতির উদ্ভিদ যেমন–ফিকাস বেঙ্গালেনসিস (বট), ফিকাস রেলিজিওসা (অশ্বত্থ), ফিকাস রেসেমোসা (ডুমুর), ফিকাস রুমফি (পাঁকুড়) ইত্যাদি আশ্রয়দায়ী গাছের উপর রোপণ করা শুরু হল।
বন দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, বট, অশ্বত্থের মতো বড় বড় গাছ জঙ্গলে দীর্ঘদিন টিকে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে বাড়তে পারে। এদের বেঁচে থাকার প্রধান কারণ হল যে, এরা মাটিতে নয়, বরং অন্য গাছের ওপর ডাল পালার শীর্ষে অঙ্কুরিত হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছগুলি বেড়ে উঠেছে এবং শেষ পর্যন্ত সেই গাছকে ছাড়িয়ে ধরে এদের শেকড় মাটিতে নেমে আসে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে চিরহরিৎ এই গাছগুলির বংশবিস্তারের জন্য একই পদ্ধতিতে কৃত্তিমভাবে চেষ্টা করা হল। এই ধরনের গাছ নিজেই একটি বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে। তাদের বিস্তৃত শিকড় জটিল কাঠামো তৈরি করতে পারে, যা বিভিন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং কীটপতঙ্গের জন্য আবাসস্থল প্রদান করে। এছাড়াও, তাদের ফল অনেক পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর খাদ্য হিসেবে কাজ করে। যা এলাকার সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যে অবদান রাখে।
বনকর্তারা জানান, বর্তমানে ২০০টি গাছের চারা জলদাপাড়া উত্তর, জলদাপাড়া পূর্ব, জলদাপাড়া পশ্চিম, চিলাপাতা এবং কোদালবস্তি এই পাঁচটি রেঞ্জে রোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি স্থানের জিপিএস রিডিংও নেওয়া হয়েছে। বনকর্মীরা রোপণ করা চারাগুলির বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং রেকর্ড রাখছেন। চারাগুলি দুই বছর ধরে নার্সারিতে বড় করা হয়েছিল। ফলে এদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়েছে। ভবিষ্যতে রোপণের জন্য আরও চারা নার্সারিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
##Aajkaalonline##Treetopplantation##Jaldapara
বিশেষ খবর
নানান খবর
![](/uploads/adthumb_358.jpeg)
নানান খবর
![](/uploads/thumb_37462.jpg)
ডানকুনিতে চলল গুলি, রক্তাক্ত কাণ্ড ভরসন্ধ্যায়...
![](/uploads/thumb_37460.jpg)
শেয়ালের উৎপাতে ছাড়া পেল অপহৃত! ভেস্তে গেল মুক্তিপণ আদায়ের ছক...
![](/uploads/thumb_37455.jpg)
বিজেপি জেলা সভাপতির ঘরে তালা, প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল...
![](/uploads/thumb_37450.jpg)
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার কারখানার মালিক ...
![](/uploads/thumb_37446.jpg)
টানা তিনদিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, বিপুল সমস্যা এড়াতে এখনই জেনে নিন তারিখগুলি...
![](/uploads/thumb_37337.jpg)
সপ্তাহশেষে আবারও দুর্ভোগের আশঙ্কা, বাতিল বহু লোকাল ট্রেন...
![](/uploads/thumb_37336.jpeg)
ফোন দেখতে চাইত প্রতিবেশী নাবালিকা! সেই সুযোগে লাগাতার ধর্ষণ করল দাদু ...
![](/uploads/thumb_37330.jpg)
পড়ুয়াদের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়তে হবে, অভিনব ভাবনা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের...
![](/uploads/thumb_37327.jpg)
বাণিজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বড় ঘোষণা ২১২টি মউ সাক্ষর এবং কত বিনিয়োগ প্রস্তাব, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ...
![](/uploads/thumb_37325.jpg)
পাওয়া গেল না বিকল্প মুখ, সত্তরোর্ধ্ব অনন্ত রায়ের উপরেই ফের ভরসা সিপিএমের ...
![](/uploads/thumb_37239.jpg)
দত্তপুকুরের কাটা মুন্ডুর রহস্যভেদ, খুনের কারণ জানলে চমকে উঠবেন...
![](/uploads/thumb_372271738767699.jpg)
ফের গুলেন বেরি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে...
![](/uploads/thumb_37226.jpeg)
সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে ধুন্ধুমার, নদীয়ায় বিজেপি অফিসে কর্মীদের ভাঙচুর ...
![](/uploads/thumb_37217.jpg)
ইলেকট্রিক শক দিয়ে 'খুন' করা হল হাতি, বন দপ্তরের হাতে গ্রেপ্তার ১...
![](/uploads/thumb_37218.jpg)
ইলেকট্রিক শক দিয়ে 'খুন' করা হল হাতি, বন দপ্তরের হাতে গ্রেপ্তার ১...