বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Rajat Bose | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১৮ : ০৩Rajat Bose
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশ তখন পরাধীন। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল তখনকার অবিভক্ত বাংলা। লর্ড কার্জন ডাক দিয়েছেন বঙ্গভঙ্গের। যার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। শেষমেশ চাপে পড়ে ইংরেজ সরকার ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ করে। কিন্তু তার আগেই ঘটে গিয়েছিল আরও একটি ঘটনা। আর তা ফুটবলকে ঘিরে।
সেবারই প্রথম আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে ওঠে ভারতের কোনও ক্লাব। একদিকে চলছে ধরপাকড়। চলছে বোমা–গুলির আওয়াজ। আর একদিকে মাঠে খালি পায়ে ফুল ফোটাচ্ছিলেন অভিলাষ ঘোষ, শিবদাস ভাদুড়িরা। সবার প্রিয় মোহনবাগান ক্লাব। ফাইনালে সবুজ–মেরুনের প্রতিপক্ষ ছিল ইস্ট ইয়র্কশায়ার। শিবদাস ভাদুড়ি ও অভিলাষ ঘোষের গোলে মোহনবাগান জিতে গিয়েছিল ২–১ ব্যবধানে। ফুটবলপ্রেমীরা বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাংলার মানুষকে একজোট করতে এবং তাঁদের ভিতরের জাতীয়তাবোধকে আরও বেশি করে জাগিয়ে তুলতে সেই খেলার ভূমিকাও কিছু কম ছিল না।
প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে ছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়ক শিবদাস ভাদুড়ির গোলে সমতায় ফেরা। শেষমুহূর্তে অভিলাষ ঘোষের গোলে জয়। গোরাদের হারিয়ে বাগানের শিল্ড জয় জায়গা করে নিয়েছিল ইতিহাসে।
এটা ঘটনা শিবদাস, অভিলাষ গোল করলেও শোনা যায় সেদিন মাঠে ১১ জন মোহনবাগানি ইংরেজদের হারানোর জন্য পণ করেছিলেন। মাঠে সাহেবরা রাফ ফুটবল খেললেও মোহনবাগানিরা লড়াই ছাড়েননি। পা দিয়ে গলগল করে রক্ত ঝরছে। তাও লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল বাগান। ওই দলের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ছিলেন অভিলাষ ঘোষ। পড়তেন কলেজে।