নিজস্ব সংবাদদাতা | ০১ মে ২০২৪ ২৩ : ৫৫

তিমির বিশ্বাসের গলায় অদ্ভুত জাদু! যখন যাঁর হয়ে কণ্ঠ দেন তখন তাঁর হয়ে যান। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-ইশা সাহা-গৌরব চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘বেঁচে থাকার গান’ ছবিতে গেয়েছেন। তখন তিনি যেন পরমব্রতর কণ্ঠস্বর। এবার তিনি ‘পুষ্পা ২’-এর ‘পুষ্পা পুষ্পা’ গানের বাংলা ভার্সনের গায়ক। ফোনে ধরা দিতেই গায়ককে আজকাল ডট ইনের প্রশ্ন, গান শুনে শ্রোতারা নাকি গায়ককে গরীবের ‘অল্লু অর্জুন’ বলছেন? কারণ, গলা ছেড়ে চেহারাতেও নাকি মিল পাচ্ছেন তাঁরা! স্বতঃস্ফূর্ত হাসি বলে দিয়েছে, তিনি কথাটা উপভোগ করেছেন। 

কী করে সবটা সম্ভব হল? গায়কের কথায়, ‘‘ছবিটি ৬টি ভাষায় মুক্তি পাবে। এই প্রথম ওরা বাংলা ভাষাকেও যুক্ত করল। গানটির বাংলা সংস্করণ লিখেছেন শ্রীজাতদা। লেখক-কবি-পরিচালক এর আগেও কয়েক বার দক্ষিণী ছবির বাংলা ভার্সনে কলম ধরেছেন। এবারে প্রোডাকশন থেকে ওঁকেই জিজ্ঞেস করেছিল, বাংলায় কোন গায়কের গলা নায়কের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলবে? শ্রীজাতদা আমার নাম বলেন। ওরা আমায় নিয়ে গবেষণা করে। আমার গান শোনে। কণ্ঠস্বর মানানসই মনে হওয়ার পরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে।’’ তাঁকে গান গাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। সেই সময় তিমির ব্যস্ত। তাই দক্ষিণ ভারতে গিয়ে গান রেকর্ডিং করা হয়নি। বদলে শহরের প্রথম সারির স্টুডিওয় রেকর্ডিং হয়েছে। গায়কের হাসতে হাসতে দাবি, তিনি ঘরের মাঠে খেলেছেন! নিজের সেরাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।



তিমির একবার কোনও গান শুনলে হুবহু গাইতে পারেন। সব ধরনের গান তাঁর কণ্ঠে যেন পোষা পাখি। কোন বিশেষত্ব তাঁকে অল্লু অর্জুন পর্যন্ত পৌঁছে দিল? গায়কের দাবি, হয়তো তাঁর গলার রেঞ্জ, উঁচু তার পর্যন্ত গলা ছুঁয়ে যাওয়া, গায়কি ভাল লেগেছে। তিনি সঠিক জানেন না। তাঁর ছায়াছবির গান গাইতে খুব ভাল লাগে। তাই অরিজিনালসের পাশাপাশি ছবির গান করেন। কারণ, ছায়াছবিতে নানা স্বাদের গান গাওয়া যায়। এবং প্রত্যেকটা গান তিনি উপভোগ করে গান। তাঁর দাবি, ‘‘এত দিন ধরে যা যা গেয়েছি, সব গান আমার পছন্দের। সেই ভাললাগা নিয়েই গাই। বাকিটা শ্রোতাদের উপরে ছেড়ে দিই। কখনও আমার পছন্দের সঙ্গে ওঁদের পছন্দ মেলে। কখনও মেলে না। এই গানের ক্ষেত্রেও তাই।’’ অর্থাৎ, আবারও সবাই গানের তালে নাচবে, রিল বানাবে? ফের লাজুক হাসি। জানালেন, সেটা তিনি কী করে বলবেন! তবে আশা অবশ্যই করছেন। আর দক্ষিণের ব্লকবাস্টার ছবি "পুষ্পা"র পরের কিস্তির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারছেন। এতেই তিনি সন্তুষ্ট। ইতিমধ্যে ১ লক্ষেরও বেশি দর্শক-শ্রোতা গানটি শুনেছেন। কিন্তু "পুষ্পা পুষ্পা" ট্রেন্ডিংয়ে নেই! কেন? যেমন, ‘অথৈ’-এর টিজার #৮ ‘দাবাড়ু’র ট্রেলার #১৩... তিমিরের সপাট জবাব, ‘‘আজ পর্যন্ত ট্রেন্ডিং নিয়ে মাথা ঘামাইনি! এই গানের বেলাতেও না। আমার গান গাওয়া কাজ। সেই কাজে আমার ফাঁকি নেই। (একটু থেমে) যেগুলো ট্রেন্ডিং সেগুলো বাংলার নিজস্ব কাজ। তাই খুব খুব খুশি, তারা ট্রেন্ডিং-এ আছে। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা তাদের জন্য।’’

অল্লু অর্জুনের বঙ্গ সংস্করণ কি ‘ঝুঁকেগা নহি’ বলেও সামান্য ঝুঁকলেন?