শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ : ৫৫Riya Patra
বিভাস ভট্টাচার্য
২০১১ এবং ২০১৬, দু"বার ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন শীলভদ্র দত্ত। ২০২১ সালে বিজেপির হয়ে খড়দা থেকে দাঁড়িয়ে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান। এবার শীলভদ্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রে।
* ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে খড়দা বিধানসভায় লড়ে আপনি যখন হেরে যান, তখন বলেছিলেন আর ভোটে দাঁড়াব না। এবছর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলেন। হঠাৎ এমনকী হল যার জন্য মত বদলালেন?
শীলভদ্র: রাজনৈতিক নেতাদের কথার "টুইস্ট" বুঝতে হবে। দাঁড়াব না অর্থে আমি বলেছিলাম বিধানসভায় আর লড়ব না।
* তখন থেকেই কি লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার কথা ভেবেছিলেন?
শীলভদ্র: না, সেরকম কোনও ব্যাপার নেই। না হলে না হতো। তবে এটাও ঠিক, এবছর যদি টিকিট না পেতাম, তবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতাম না।
* আপনার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেস। যে দলে আপনি ছিলেন একজন বিধায়ক। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঘাসফুল ছেড়ে হাতে পদ্মফুল তুলে নেন। তৃণমূলে যেসব দেখে আপনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই জিনিসগুলো কি এখনও তৃণমূলে আছে না পরিবর্তন হয়েছে?
শীলভদ্র: (মুখের কথা কেড়ে নিয়ে) তার থেকে আরও খারাপ হয়েছে। সেদিন দেখেছিলাম চুরি করতে যাচ্ছে আর আজ দেখছি চোরেরা জেলে আছে। সেদিন চুরি হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু হাতে প্রমাণ ছিল না। আজ তো হাতে প্রমাণই আছে। ওই দলের দু"দুটো মন্ত্রী জেলে। বিধায়ক জেলে। নেতারা জেলে। চাকরি বিক্রি হয়েছে সেটা প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে আগের থেকে ফারাক তো অনেকটাই হয়েছে।
* তার মানে আপনি বলতে চাইছেন ভোটের ময়দানে আপনার হাতে অনেক ইস্যু?
শীলভদ্র: হ্যাঁ, আমার হাতে এবং লোকের হাতে অনেক ইস্যুই আছে। কিন্তু আমার বা বিজেপির লোকেদের হাতে মূল ইস্যু বিকশিত ভারত আঁকার ইস্যু। নরেন্দ্র মোদির কাজের ইস্যু। ফলে নেগেটিভ প্রচারের দরকার নেই।
* তৃণমূলে থাকাকালীন আপনার একবার লিভারে খুব বড় সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবং সেটা প্রায় জীবন মরণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেইসময় তো তৃণমূল দলই আপনার পাশে চিকিৎসার প্রয়োজনে অর্থ নিয়ে দাঁড়ায়। এটা মানবেন তো?
শীলভদ্র: একেবারেই ভুল তথ্য। দল বা মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি বা সৌগত রায় কেউই আমাকে সেইসময় কোনওরকম অর্থ সাহায্য করেননি। দলের কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমি যখন সাহায্যকারীদের আবার টাকা ফেরত দিতে যাই, তখন তাঁদের মধ্যে কিছু লোক নেননি।
* এখনকার দিনে রাজনীতিতে একটা জিনিস চালু হয়েছে। আজকে একটা দল ছেড়ে অন্য একটা দলে কেউ চলে গেল আবার দু"দিন পর দল ত্যাগ করে অন্য দলে চলে গেল। এটাকে কীভাবে দেখেন?
শীলভদ্র: দেখুন যারা এরকম করেছেন তাঁরা তো ভুল হয়েছে বলে স্বীকারই করছেন। তাঁরা তো বলছেন যে ভুল করে চলে গেছিলাম।
* দমদম লোকসভা কেন্দ্রে আপনার পুরনো দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের সৌগত রায়। তাঁর সম্পর্কে কিছু বলবেন?
শীলভদ্র: না, কিছু বলব না। আমি শুনতে পাচ্ছি তিনি অনেক কথাই বলছেন। কিন্তু একটা কথা জোর দিয়ে বলতে পারি, আমি গরীব এমনকী ভিখারিও হতে পারি, কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে কোনওদিন কেউ হাত পেতে টাকা নিতে দেখেনি বা "হিউজ মানি" বলে লাফাতেও দেখেনি।
* ভোটের ময়দানে হার-জিত আছেই। যদি হেরে যান তাহলে কি আবার কখনও দাঁড়ানোর কথা ভাববেন?
শীলভদ্র:জেতার বিষয়ে আমি যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী। ফলে যেটা ভাবতেই পারছি না, সেটা নিয়ে কী বলব?