বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Rachana Banerjee Exclusive: লড়াইটা কঠিন, তবে আমি আশাবাদী: রচনা

Sumit | ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ : ৩৬Sumit Chakraborty


কৌশিক রায়
হুগলি থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে হুগলি। ডেলি প্যাসেঞ্জারিতেই চলছে নির্বাচনী প্রচার। সকাল থেকে রোড শো, জনসভা, টেলিভিশনের পর্দা থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যাওয়া। দিদি নাম্বার ওয়ান এবং হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা ব্যানার্জি।
* আপনার দই খাওয়ার মন্তব্য তো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রতিপক্ষ বলছেন জিতলে আপনার বাড়িতে দই পাঠাবেন।
রচনা: দইটা তো স্বাস্থ্যকর জিনিস। যাঁরা দই খেতে ভালোবাসেন না তাঁরাই দই নিয়ে কটাক্ষ করেন। যাঁরা দই ভালোবাসেন তাঁরা জানেন দইয়ের মর্মটা কী।
* দুবেলা প্রচার চলছে। মানুষের থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
রচনা: রোড শো-তে বেরিয়ে রাস্তার দুধারে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখতে পাচ্ছি। সকলের সঙ্গে তো আলাদা করে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমি যতটা সম্ভব তাঁদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমি বলছি তাঁরা শুনছেন। এখান থেকে যদি সংসদে পৌঁছতে পারি ওঁদের হয়েই তো কথা বলব। কাজেই ওঁদের সমস্যাই আমার সমস্যা।
* প্রতিপক্ষ তো আপনারই অভিনয় জগতের সহকর্মী
রচনা: (প্রশ্নের মাঝেই) ওই তো গতবারের জয়ী সাংসদ। সাধারণ মানুষই আমাকে বলছেন কোনো কাজ হয়নি, কিছুই হয়নি। আপনি এলে কি এর সমাধান হবে? আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি, সবসময় তাঁদের পাশে থাকব। পাঁচ বছর ধরে মানুষ তাঁদের নির্বাচিত সাংসদকে পাশে পাননি। ওঁদের ধারণা হয়ে গেছে যে শুধু ভোটের সময় নেতা নেত্রীরা আসে। সেই ধারণাটা আমি ভাঙতে চাই।
* বিরোধী দলের প্রার্থী তো বলছেন আপনি অভিনয় জগতেই ভাল, রাজনীতিতে নয়
রচনা: উনিও তো একসময় অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। তারপর দলও বদল করেছেন। তৃণমূলে ছিলেন, টিকিটের লোভে বিজেপিতে এসেছেন। পার্টিকে ভালোবেসে তো তিনি আসেননি। সিট পাওয়ার লোভে এসেছিলেন। রাজনীতির দিক থেকে তিনি অবশ্যই সিনিয়র। সেই সম্মানটা আমি তাঁকে দেব। তবে সবারই কোনো একটা সময় শুরু হয়। আমার এখন শুরু হওয়ার ছিল।
* কাজের সূত্রে তো কলকাতাই প্রধান জায়গা। নির্বাচনের চাপ হুগলিতে। সামলাচ্ছেন কীভাবে?
রচনা: বেশিরভাগ সময় হুগলিতেই থাকছি। যখন দরকার পড়ছে কলকাতায় ফিরছি। শুটিংটা তো করতেই হচ্ছে। আমরা তো ডেইলি এপিসোড থাকে। একটু তো চাপ পড়ছে। তবে সামলে নিচ্ছি।
* সংসদে গেলে হুগলির মানুষের হয়ে কী বলবেন কিছু ভেবেছেন?
রচনা: যেটা বিগত পাঁচ বছরে মানুষ পাননি, তাঁদের ক্ষোভ ছিল। যেগুলো নিয়ে মানুষ সমস্যায় ভুগেছেন এবং কেউ কাজ করেনি তাঁদের জন্য। সেগুলোই প্রথম তুলে ধরার চেষ্টা করব। দরকার পড়লে আবারও মানুষের সঙ্গে কথা বলব যে কোনটা তাঁরা আগে চান।
* প্রচণ্ড গরম, প্রচার, শুটিং, রোড শো- নিজেকে সুস্থ রাখছেন কীভাবে?
রচনা: গরম তো সাংঘাতিক। এখনই দাঁড়ানো যাচ্ছে না। এখনও তো দেড় মাস টানতে হবে। এর মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ আসছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকছেন। তখন আর কষ্টটা কষ্ট বলে মনে হয় না।
* মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে? প্রচারে আসবেন হুগলিতে?
রচনা: এখনও সেটা জানি না। তবে আশা করি ভোটের আগে সব জায়গাতেই যাবেন একবার করে।
* জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী?
রচনা: আত্মবিশ্বাসী বলাটা ঠিক হবে না। কোনো কিছুতেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভাল নয়। তবে আমি আশাবাদী। মানুষ তো আমাকে ভালোবেসেছেন এত বছর ধরে। সেই হিসেবে যদি এতটুকু ভরসা করতে পারেন। এতদিন তো একটা মানুষকে ভরসা করে ভোট দিয়েছিলেন, কিছুই হয়নি। এবার যদি তাঁরা আমার কাছে এগিয়ে আসেন, তারপর সেটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়বে যে তাঁদের জন্য কিছু করি। সবটা তো আমাদের হাতে নেই। আমরা প্রচারটা করতে পারি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। তারপর তো জনতা জনার্দন। তাঁরাই সবটা ঠিক করবেন।
* লড়াইটা তাহলে কি কঠিন বলে মনে হচ্ছে?
রচনা: অবশ্যই কঠিন, অবশ্যই। প্রতিপক্ষ একজন বর্তমান সাংসদ। মানুষের নিশ্চয়ই কোনো সময় মনে হয়েছিল যে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করলে উন্নতি হবে। কিন্তু এখন মানুষ বলছেন সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমি তাঁদের আশ্বাস দিয়েছি পাশে থাকার ব্যাপারে।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



04 24