বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

খেলা | Mohun Bagan: হাবাসের অনুপস্থিতিতে নাটকীয় হার, লিগ শিল্ডের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল বাগান

Sampurna Chakraborty | ৩১ মার্চ ২০২৪ ২২ : ১৭Sampurna Chakraborty


মোহনবাগান - (কাউকো, পেত্রাতোস-পেনাল্টি)

চেন্নাইন এফসি - (মারে, এডওয়ার্ডস, ইরফান)

আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক গোলে এগিয়েও তিন গোল হজম। আন্তোনিও হাবাস জমানায় আইএসএলে প্রথম হার মোহনবাগানের। রবিবাসরীয় রাতে ঘরের মাঠে ২-৩ গোলে হেরে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। হাবাসের অনুপস্থিতি পার্থক্য গড়ে দিল। লিগ শিল্ডের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল বাগান। হেড কোচের অভাবে বেরিয়ে এল রক্ষণের কঙ্কালসার চেহারা। দ্বিতীয়ার্ধ নাটকীয়। না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। প্রতি মোড়ে বদলে যায় ম্যাচের রং। শেষ ৪৫ মিনিটে চার গোল। তারমধ্যে অতিরিক্ত সময়ে দুই। ৭১ মিনিট পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে ছিল বাগান। ৮০ মিনিটে সমতা ফেরায় চেন্নাই। তারপর রক্ষণ এবং বিশাল কাইতের ভুলে ডুবল পালতোলা নৌকা। দুটো গোলের ক্ষেত্রে দায়ী বাগানের কিপার। শেষ গোলের ক্ষেত্রে নিজের জায়গা ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে আসেন বিশাল। ১-২ গোলে পিছিয়ে থাকাকালীন সবুজ মেরুনকে পেনাল্টি পাইয়ে দেন সাদিকু। সমতা ফেরায় দিমিত্রি পেত্রাতোস। হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন যুবভারতীতে উপস্থিত বাগান সমর্থকরা। অন্তত হার বাঁচানোর উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু আরও নাটক বাকি ছিল। বিশাল কাইতের ভুলে বাগানের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন ইরফান। তবে যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, দুর্দান্ত খেলেন জর্ডন মারে। চেন্নাইকে ম্যাচে ফেরান "দ্য স্নেক ম্যান।" তাঁকে এই সুযোগ করে দেয় হাবাসের ডেপুটি ম্যানুয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি ক্লান্ত দেখায় কাউকোকে। কিন্তু প্রথম পরিবর্তনের জন্য ৮০ মিনিট অপেক্ষা করেন তিনি। চেন্নাই সমতা ফেরানোর পর ফ্রেশ লেগ নামান। ফিফা বিরতির পর ছন্দপতন হল বাগানের। হাবাস বেঞ্চে থাকলে হয়তো এই পরিণতি হত না। ১৯ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানেই রইল মোহনবাগান। সমসংখ্যক ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে একনম্বরে মুম্বই সিটি। অন্যদিকে এদিনের জয়ে ১৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ন"নম্বরে উঠে এল চেন্নাই। ওয়েন কয়েলের দলের সামনে প্লে অফের দরজা এখনও খোলা। গোলের নীচে দুরন্ত দেবজিৎ মজুমদার। দলের জয়ের পেছনে প্রাক্তন বাগানির অবদান অপরিসীম। 

অসুস্থতার কারণে আগের দিন প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে আসেননি আন্তোনিও হাবাস। প্র্যাকটিসেও ছিলেন না। রবিবার চেন্নাই ম্যাচের ডাগআউটেও অনুপস্থিত হাবাস। রিং মাস্টারের দায়িত্ব ছিল তাঁর ডেপুটি ম্যানুয়াল পেরেজের ওপর। সামনে একা আর্মান্দো সাদিকুকে রেখে ৩-২-৪-১ ফরমেশনে দল সাজান। এক দলের লক্ষ্য ছিল আবার একনম্বর স্থান দখল করা, অন্য দলের প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকা। তাই তিন পয়েন্টের টার্গেটে শুরু করে দু"দলই। প্রথমার্ধে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন জনি কাউকো। এদিন অনেকটা ওপরে উঠে খেলতে দেখা যায় ফিনিশ মিডিওকে। তাঁকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো আক্রমণও তৈরি হয়। বাঁ দিকে দুর্দান্ত লিস্টন‌‌ কোলাসো। ম্যাচের ৬ মিনিটে কাউকোর শট বাইরে যায়। তার এক মিনিটের মধ্যে তাঁর পাস থেকে মনবীরের হেড তালুবন্দি করেন দেবজিৎ। প্রথম থেকেই দাপট বেশি ছিল বাগানের। ম্যাচের ১৯ মিনিটে লিস্টনের জোরাল শট সরাসরি দেবজিতের গায়ে লাগে। ২৮ মিনিটে সাদিকুর হেড তালুবন্দি করেন চেন্নাইয়ের কিপার। কিন্তু বেশিক্ষণ গোল অক্ষত রাখতে পারেনি বাগানের প্রাক্তনী। ম্যাচের ২৯ মিনিটে জনি কাউকোর গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ভিন্সি ব্যারেটোকে কাটিয়ে বাঁ দিক থেকে লিস্টনের ঠিকানা লেখা মাইনাস। চলন্ত বলে ডান পায়ের শটে গোল কাউকোর। চলতি মরশুমে বাগানে যোগ দেওয়ার পর তাঁর প্রথম গোল। 

প্রথম ৪৫ মিনিটে দুটো পজিটিভ সুযোগ চেন্নাইয়ের। ১৬ মিনিটে মারের ফ্লিক একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের শেষদিকে সুযোগ এসেছিল। ভিন্সি ব্যারেটো বিশাল কাইতের হাতে তুলে দেয়। বিরতির পর সবুজ মেরুন রক্ষণে লাগাতার চাপ সৃষ্টি করে চেন্নাই। কোনও অজ্ঞাত কারণে অনেকটাই গুটিয়ে যায় বাগান। এক গোলের মার্জিন যে নিরাপদ নয়, সেটা বোঝার জন্য ফুটবল বিশেষজ্ঞ হতে লাগে না। কিন্তু ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা না করে নিজেদের অর্ধেই ডিফেন্ড করছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। যার খেসারত দিতে হয়। ম্যাচের ৭২ মিনিটে সমতা ফেরায় চেন্নাই। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে গোল করেন জর্ডন মারে। তার এক মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল। মারের ক্রস থেকে রহিম আলির বাঁ পায়ের শট পোস্টে লাগে। শেষ কোয়ার্টারে সবুজ মেরুন রক্ষণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চেন্নাই। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাগান ডিফেন্স। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল মারে। কিন্তু অনবদ্য সেভ আনোয়ার আলির। তার দু"মিনিটের মাথায় বাগানকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন বিশাল। নিশ্চিত গোল বাঁচান। মারের হেড শেষমুহূর্তে হাত দিয়ে সেভ করেন বিশাল। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ১-২ করে চেন্নাই। কর্নার থেকে হেডে গোল রায়ান এডওয়ার্ডসের। ম্যাচের অন্তিমলগ্নে বক্সের মধ্যে সাদিকুকে ফাউল করেন অঙ্কিত মুখার্জি। পেনাল্টি দেন রেফারি রাহুল গুপ্ত। বিতর্কিত পেনাল্টি। ম্যাচের ৯০+৪ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তারপরও নাটক বাকি ছিল। ম্যাচের ৯০+৭ মিনিটে রহিম আলির পাস থেকে ফের চেন্নাইকে এগিয়ে দেন ইরফান ইয়াওয়াদ। এরপরও সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল বাগানের সামনে। কিন্তু একেবারে শেষ মিনিটে সাদিকু এবং শুভাশিসের হেডে দুরন্ত সেভ দেবজিতের। ম্যাচের সেরা মারে হলেও, চেন্নাই কিপার পেলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। 

ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর

মোলিনাকে গো ব্যাক স্লোগান! পা দিয়ে রক্ত পড়ছিল, রেফারিং নিয়ে কী বললেন দিমিত্রি?...

একাধিক সুযোগ নষ্ট দিমিত্রিদের, এসিএলের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল মোহনবাগান...

ক্যান্সার কেড়ে নিল তারকাকে, বিশ্বফুটবলের নক্ষত্র সময়ের আগেই হারিয়ে গেলেন চিরতরে ...

পদ্মাপারে ক্রিকেট নিয়ে নেই উত্তাপ! ভারতে শেখ হাসিনা? প্রশ্ন নিয়েই ভারত জয় করতে মরিয়া বাংলাদেশ ...

ইউ টার্ন না পসন্দ, নিজের কোন সিদ্ধান্ত বদল করবেন না রোহিত? ...

দুই পেসার, তিন স্পিনার? কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশ?...

মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে বাড়ল পুরস্কার মূল্য, কত টাকা পাবেন স্মৃতি-হরমনপ্রীতরা?...

টেস্টের প্রস্তুতির মাঝেই জন্মদিনের উৎসবে মাতলেন রোহিত-কোহলিরা...

ওদের মজা নিতে দিন, সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে বিদ্রুপ রোহিতের...

রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা নয়, গম্ভীর এবং নতুন স্টাফ নিয়ে কী বললেন রোহিত? ...

দেখিয়ে দিলাম আমরা ম্যাচ উপহার দিতে আসিনি, বলেন মহমেডান কোচ...

আলাদিনের 'আশ্চর্য' গোলে অভিষেকে নিশ্চিত পয়েন্ট হাতছাড়া মহমেডানের...

আলাদিনের 'আশ্চর্য' গোলে অভিষেকে নিশ্চিত পয়েন্ট হাতছাড়া মহমেডানের...

একাধিক নজিরের সামনে বিরাট, বাংলাদেশ সিরিজে কোন কোন রেকর্ড ভাঙবেন কিং কোহলি...

সময় নষ্ট নয়, ভারতে এসেই অনুশীলন শুরু করে দিল বাংলাদেশ ...



সোশ্যাল মিডিয়া



03 24