বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | EXCLUSIVE: রাজপরিবার নিয়ে মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে মামলা করব ভাবছি: অমৃতা

Pallabi Ghosh | ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৭ : ২১Pallabi Ghosh


পল্লবী ঘোষ, কৃষ্ণনগর: রাজনীতির আঙিনায় প্রথমবার পা। বাংলার ইতিহাস বিজড়িত প্রাঙ্গণ থেকে সোজা সংসদীয় রাজনীতির জন্য লড়াই। তবে একটুও ভীত নন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পরিবারের বধূ হওয়ার সূত্রে তিনি "রানিমা"। বর্তমানে জননেত্রী হওয়ার দৌড়ে সামিল। নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনভর প্রচার আর দলীয় নেতা, কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। সেই ব্যস্ততার ফাঁকে শনিবার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির অন্দরমহলে আজকাল ডট ইনকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি।

* রাজনীতির জগতে আপনি নবাগতা। কীসের তাগিদে এলেন?
অমৃতা: অনেকদিন ধরেই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে ছিল। আসলে দুর্নীতিতে ভরা একটা সমাজে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কমবেশি সকলেই ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই ক্ষোভে আমি ভোট দেওয়াই ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি একা তো একটা সমাজ বদলাতে পারব না। তাই বিজেপির মতো একটা স্বচ্ছ দল আমাকে প্রস্তাব দিতেই রাজি হয়েছিলাম। বাড়ির তরফে প্রথমে সম্মতি ছিল না। তারপর রাজি হতেই রাজনীতিতে এসেছি।

* রাজবাড়ির অন্দরমহল থেকে সোজা সংসদে পৌঁছনোর জন্য লড়াই শুরু। কঠিন মনে হচ্ছে?
অমৃতা: না। বরং প্রচারে বেরিয়ে যে পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি, তা ভাবতেই পারিনি। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন আমার সাহস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

* কৃষ্ণনগর থেকে জয়ী হলে এখানকার মানুষদের হয়ে কী বলবেন সংসদে?
অমৃতা: অনেক কিছুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোনে বলেছেন, ভোটের পর একশো দিনের কাজ প্রস্তুত রাখতে। বেলডাঙার ওভারব্রিজ, জলঙ্গি নদীর সংস্কার, তেহট্টের ব্রিজ, করিমপুরের রেলপথের মতো একাধিক দাবি তুলব।

* আপনার পরিবারের অতীত নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। বিরোধীদের কী উত্তর দেবেন?
অমৃতা: অধিকাংশই বানিয়ে ভুয়ো প্রচার করছেন। তাঁদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না। কোনও সঠিক তথ্য না জেনে, যদি কেউ গায়ের জোরে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাদের কিছু বলার নেই। এটার বিরোধিতা করছি। দরকার হলে মামলাও করতে পারি।

* আপনার দলের কয়েকজন নেতা নানা সময়ে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন বলে ইতিমধ্যেই কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে। আপনি এর প্রতিবাদ করবেন না?
অমৃতা: এখনও পর্যন্ত দলের কোনও নেতার নারীবিদ্বেষী মন্তব্য আমার কানে আসেনি। ভবিষ্যতে কখনও জানলে, নিশ্চয়ই তার প্রতিবাদ করব।

* আপনার প্রতিপক্ষ পোড়খাওয়া রাজনীতিক। তাঁকে নিয়ে আপনি কি চিন্তিত?
অমৃতা: আমি যাই বলব, ও পাবলিসিটি পাবে। আমরা দুজনে দুরকমের মানুষ। ও যা করবে, আমি আমার জায়গা থেকে, শিক্ষা থেকে, সংস্কার থেকে সেগুলো করতে পারব না। তাই তুলনাই করব না।

* কৃষ্ণনগরে বহু সংখ্যালঘুর বাস। সিএএ লাগু হতেই আতঙ্কিত অনেকে...
অমৃতা: আমি এখনও কৃষ্ণনগরে সিএএর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখিনি। বরং, সকলেরই অভিযোগ, সিএএ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। গতকাল পাঁচশোর বেশি সংখ্যালঘু ভাই আমার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সিএএ নিয়ে আতঙ্কিত হলে, বিজেপিতে আসতেন না।

* তার মানে সিএএ চালু হওয়াটা আপনার ভোট ব্যাঙ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে?
অমৃতা: অবশ্যই। গ্রামের মানুষের অনেক বিষয়ে সঠিক ধারণা সবসময় থাকে না। এর মধ্যে কেউ যদি বারবার ভয় দেখায়, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে, দেশের বাইরে বের করে দেওয়া হবে, নাগরিকত্ব হারিয়ে ফেলবেন, তাহলে তো বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ভুল প্রচার রুখতেই লড়াই করব। আশা করছি, মানুষকে বিভ্রান্ত না করেই ভোট পাব।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



03 24