বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | EXCLUSIVE: বিজেপি নারীবিদ্বেষী, তাই আমার মতো শিক্ষিত মহিলাকে সহ্য করতে পারে না: মহুয়া

Pallabi Ghosh | ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৪ : ৪২Pallabi Ghosh


পল্লবী ঘোষ, কৃষ্ণনগর: গত এক বছরে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। মহুয়া মৈত্র, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী। হাতে যেটুকু সময় আছে, তা একটুও নষ্ট করতে নারাজ। রাতে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম। সকাল হতেই ছুটছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। প্রখর রোদের তোয়াক্কা না করে কৃষ্ণনগরের আনাচে কানাচে পৌঁছে যাচ্ছেন মহুয়া। ছুঁয়ে দেখছেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের। শুনছেন তাঁদের কথা। শনিবার সেই সফরে সঙ্গী হল আজকাল ডট ইন।

* আগামিকাল আপনার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি লোকসভা ভোটের প্রথম প্রচার শুরু করছেন...
মহুয়া: আমি সত্যিই খুব খুশি। দিদিকে সবসময় পাশে পেয়েছি। আমার কেন্দ্র থেকে প্রথম প্রচার শুরু করছেন, এটা একটা বড় প্রাপ্তি। খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে।

* সংসদ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, বিরোধীদের অন্যতম টার্গেট আপনি। কেন?
মহুয়া: তিনটে কারণ।
এক, আমি মহিলা। বিজেপির মতো নারীবিদ্বেষী দল শিক্ষিত, সোজা মেরুদণ্ডের নারীদের সহ্য করতে পারে না।
দুই, আমি এমন একটা দলের সৈনিক, যারা একমাত্র সংসদে দাঁড়িয়ে মোদি, শাহের চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করতে পারে। সপাটে বলতে পারে, মোদির দল ফ্যাসিস্ট। দেশের জন্য কতটা বিপজ্জনক কেন্দ্রের সরকার, তা আমরাই বলতে পারি। আমাদের কোনওভাবে দমাতে পারে না।
তিন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার, নির্বাচনী বন্ড, আদানি ইস্যু। এগুলো নিয়ে আমি বহুবার সরব হয়েছি। আমার কণ্ঠরোধ করতেই এখন উঠেপড়ে লেগেছে।

* ভোটের আবহে বারবার ইডির তলব, সিবিআইয়ের হানা। এ দৃশ্য কার্যত দেখা যায়নি...
মহুয়া: সত্যিই দেখা যায়নি। মোদি সরকার আসলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আগে কখনও দেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন একজনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনআইএ তদন্ত করছে! ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স এরা আসলে কেন্দ্রের হাতের পুতুল হয়ে গেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনও নিরপেক্ষ নয়। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনার বেছে দিচ্ছেন। ফলে বেঠিক কিছু বলার বুকের পাটা এদের নেই।

* সংসদে বিজেপি বিরোধী অন্যতম মুখ আপনি। আপনার ব্যক্তিগত জীবনের বহু মুহূর্ত ভাইরাল করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ। কীভাবে সামলাচ্ছেন?
মহুয়া: আমি নিজের মতাদর্শে বিশ্বাসী। যেভাবে দেশের সাংবিধানিক গণতন্ত্রকে বিজেপি তিলে তিলে মারছে, তার বিরুদ্ধে আমি প্রতিবার রুখে দাঁড়াব। এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণের জায়গা নেই বলেই মনে করি। আমার এই লড়াই জারি থাকবে।

* ভোটের আবহে আবার যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকে, সাড়া দেবেন?
মহুয়া: আমি আমার কেন্দ্রেই থাকব। কোথাও তো পালাচ্ছি না। কেউ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে, এখানে আসুক। আমি আমার কাজ করে যাব। বেআইনিভাবে কেউ তলব করলে, সাড়া দিতে কোথাও ছুটব না।

* আপনাকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি বলেছেন, আপনার লড়াই আপনি একাই লড়তে পারবেন। এই ভরসার জায়গা তৈরি করলেন কীভাবে?
মহুয়া: দেখুন, আমি বরাবরই একা লড়ে এসেছি। দলে যেদিন যোগ দিই, সেদিন দিদি বলেছিলেন, তিনিও একা লড়েই এই জায়গায় পৌঁছেছেন। আমার মতোই দলের বহু নেত্রীর পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা দিদি। এর আগে করিমপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিটে একা লড়ে জিতেছি। বিজেপি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বহু কুৎসা করেছে। তারপরেও লড়াই থামেনি। দিদির থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তো লড়ে যাচ্ছি।

* দিন কয়েক আগেই আপনার প্রতিপক্ষ অমৃতা রায়কে প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। ইডির বাজেয়াপ্ত করা ৩ হাজার কোটি টাকা বাংলার গরিবদের ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভোট ব্যাঙ্কে এর প্রভাব পড়বে?
মহুয়া: অত্যন্ত হাস্যকর প্রতিশ্রুতি। মোদির আগের প্রতিশ্রুতি মতো এখনও কারও ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকেনি। নির্বাচনী বন্ডের দুর্নীতি সামনে আসার পরেও প্রার্থী আর প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনটা হাস্যকর মনে হয়েছে।

* আপনি দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। প্রতিপক্ষ নবাগতা। জয়ের বিষয়ে আপনি কি নিশ্চিত?
মহুয়া: লড়াইয়ের ময়দানে কখনও প্রতিপক্ষের যোগ্যতাকে খাটো করে দেখতে নেই। আমার মতো আমি লড়ে যাচ্ছি। আবার সংসদে ফিরব, এটা আমি নিশ্চিত। আসলে আমি যে ময়দানেই পা রাখি, সেখানে জিততেই নামি। বিজেপির মুখে ভাল করে ঝামা ঘষে দিতেই এবার নেমেছি।

* দলের ৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে নতুন যারা সংসদীয় রাজনীতির জন্য লড়াই করছেন, তাঁদের মধ্যে কাকে কাকে সংসদে দেখতে চান?
মহুয়া: আমি তো চাই ৪২ জনই জিতে সংসদে যান। তবে মন থেকে চাই, আমাদের পুরনো টিম যেন ফের সংসদে ফিরে যাই।

* কৃষ্ণনগর থেকে জিতে সংসদে গিয়ে বাংলার হয়ে কী বলবেন?
মহুয়া: সেটা এখনই ফাঁস করব না। তবে সংসদে ফিরে আরও জোর গলায় বলব, এটা কথা দিলাম। খেলা অনেক বাকি আছে।




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



03 24